কলকাতা: শনিবারের বড় ম্যাচ খেলতে বাধা রইল না ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার আনোয়ার আলির। পিছিয়ে গেল আনোয়ার মামলার শুনানি। আজ প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির শুনানি স্থগিত রাখা হল। অক্টোবরের ২২ অথবা ২৩ তারিখ হতে পারে আনোয়ার মামলার শুনানি। ফলে শনিবারের ডার্বি খেলতে মাঠে নামতে পারবেন পঞ্জাব তনয়। মোহনবাগানের চুক্তি বাতিল করে ইস্টবেঙ্গলে সই করায় আনোয়ারকে আগেই শাস্তি দিয়েছিল ফেডারেশন। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব, আনোয়ার আলি আর আনোয়ারের প্রাক্তন ক্লাব দিল্লি এফসি। এরপরই ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটিতে বিষয়টি শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেয় দিল্লি আদালত। ২৭ সেপ্টেম্বরের পিঠের অস্ত্রোপচারের জন্য সময় চেয়ে নেন আনোয়ারের উকিল। ৩০ সেপ্টেম্বরের শুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয় ১৪ অক্টোবর। আজ শুনানি ফের পিছিয়ে গেল। সামনের সপ্তাহে হবে ফেডারেশনের প্লেয়ারস স্ট্যাটাস কমিটির শুনানি।
শুনানি হঠাৎ পিছনোর কারণ কী? নির্দিষ্ট ভাবে কারণ জানা না গেলেও ফুটবলমহল মনে করছে দুই প্রধানকে স্বস্তি দিতেই এমনটা করছে ফেডারেশন। যাতে সাপও মরে, লাঠিও না ভাঙে। আনোয়ারকে ডার্বিতে খেলাতে পারলেই খুশি ইস্টবেঙ্গল। তারপর পঞ্জাব তনয় আর ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে শাস্তি দিয়ে মোহনবাগানকে খুশি করার চেষ্টায় ফেডারেশন। অন্য একটা দিকও আছে। আইএসএলের অন্যতম সেরা ম্যাচ। এই ম্যাচ ঘিরে উন্মাদনা যেমন থাকে সমর্থকদের মধ্যে, গ্যালারিও উপচে পড়ে। ব্যবসায়িক দিক থেকে এই ডার্বিকে সফল করার একটা চাপ হয়তো এআইএফএফ-এর উপর থাকতে পারে। যদিও বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আনোয়ার আলির আইনজীবির অনুপস্থিতির কারণেই আরও একবার শুনানি পিছিয়ে গেল।
এতেই ব্যাপারটা শেষ হচ্ছে না। ডুরান্ড ডার্বি বাতিল হয়েছিল। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এটাই মরসুমের প্রথম ডার্বি। মোহনবাগান থেকে ইস্টবেঙ্গলে আসা আনোয়ারকে নিয়ে প্রত্যাশা কম ছিল না। সেটা এখনও পূরণ করতে পারেননি। আনোয়ার আলির কাছেও তাই এই ডার্বি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। লাল-হলুদ ডিফেন্সকে তিনি যদি নেতৃত্ব দিতে পারেন, চাপ অনেকটাই কমে যাবে টিমের। ডার্বির মতো উত্তেজক ম্যাচে অনেক খোলা মনে খেলতে পারবে ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ। আনোয়ার চান, পুরনো দলের বিরুদ্ধে প্রথম ডার্বিতে যেন জয়ের স্বাদ দিতে পারেন লাল-হলুদ সমর্থকদের। টানা চার ম্যাচ হেরে এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল।