টুর্নামেন্টের বাছাই পর্ব থেকে মূলপর্ব। এরপর নকআউট। দীর্ঘ সফর। কঠিন পরিশ্রমের ফলও আদায় করে নিল বাংলা। রেকর্ড ৩৩ বার সন্তোষ ট্রফি জয়। সঞ্জয় সেনের নেতৃত্বে বাংলায় এল সন্তোষ ট্রফি। সকলেই মেতে বর্ষবরণের উৎসবে মেতে। বাংলার ফুটবল প্রেমীদের কাছেও উৎসব। রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে শক্তিশালী কেরলকে ১-০ গোলে হারিয়ে ভারতসেরা বাংলা। ৮ বছর পর সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন। কোচ সঞ্জয় সেনের হাত ধরে কাটল ট্রফি খরা। বাংলার হয়ে জয়সূচক গোল রবি হাঁসদার। ম্যাচের অ্যাডেড টাইমে ট্রফি জয়ের গোল রবির।
কোনও তারকা নয়, একঝাঁক পরিশ্রমী ফুটবলারকে বেছে নিয়েছিলেন সঞ্জয় সেন। তাঁকে নিয়ে অবশ্য বিতর্কও হয়েছে। তিনি ব্যক্তিগত পছন্দের ভিত্তিতে প্লেয়ার বেছেছেন, এমন প্রশ্নও উঠেছিল। বাংলার কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর সঞ্জয় সেন এ সব প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন। তাঁর কাছে লক্ষ্যটা পরিষ্কার ছিল। ট্রফি জিততে পারলে যে সব প্রশ্নই অতীত হয়ে যাবে, ভালোভাবেই জানতেন ময়দানের অন্যতম সফল কোচ। আর সেটাই করে দেখালেন। ভরসা রাখলেন তাঁর বেছে নেওয়া ফুটবলাররাও।
বাছাই পর্ব থেকেই ধারাবাহিক ভালো ফুটবল খেলছে বাংলা দল। যা নিয়ে কিছুটা ভয়েও ছিলেন কোচ সঞ্জয় সেন। ধারাবাহিক সাফল্য পেলেও অনেক সময় তা সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। টিমের মধ্যে আত্মতুষ্টি ঘিরে ধরতে পারে। টিমের প্লেয়ারদের তাই বারবার সতর্ক করেছেন। ফাইনালে কেরলের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে যেন জবাবের মঞ্চ ছিল অনেক ফুটবলারের কাছে। রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ। এর মাঝেই রবির-উদয়। অ্যাডেড টাইমে গোল করে বাংলাকে চ্যাম্পিয়ন করলেন রবি হাঁসদা। টুর্নামেন্টে সব মিলিয়ে একডজন গোল। রবি হাঁসদা ভেঙে দিয়েছেন ভারতীয় ফুটবলের কিংবদন্তি মহম্মদ হাবিবের রেকর্ডও।