হায়দরাবাদ: ৮ বছর পর আবারও বাংলার সামনে ভারতসেরা হওয়ার সুযোগ। মঙ্গলবার সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে (Santosh Trophy Final) বাংলার প্রতিপক্ষ কেরল। এই টুর্নামেন্টে বাংলার পাশাপাশি কেরলও দুরন্ত ফুটবল খেলছে। এমনকি মাঝে দু’বার সন্তোষের ফাইনালে উঠলেও কেরলের (Kerala) কাছে হারতে হয়েছে বাংলাকে (Bengal)। ৩ বছর আগেও কেরলের কাছে টাইব্রেকারে হারে বাংলা। এবারে সেই কাঁটা সরাতে মরিয়া বঙ্গব্রিগেড। চাকু মান্ডি, মনোতোষ মাজি, রবি হাঁসদা, নরহরি শ্রেষ্ঠারা আশা জাগাচ্ছেন। ১১ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা রবি হাঁসদা। ছুঁদে ফেলেছেন মহম্মদ হাবিবের রেকর্ড। তাঁকে ঘিরে প্রত্যাশা রয়েছে বঙ্গ শিবিরে।
দলের পারফরমেন্সের যাবতীয় কৃতিত্ব ছেলেদের দিচ্ছেন সঞ্জয় সেন। দেশের অন্যতম সেরা কোচ এই মুহূর্তে ক্লাবহীন। আইএফএ তাঁকে সন্তোষে বাংলার দায়িত্ব দিয়েছে। নামের প্রতি সুবিচার করতে চান চেতলার চাণক্য। সোমবার বাংলার কোচকে শুভকামনা জানালেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অধিনায়ক চাকু মান্ডিকেও ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা জানান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাও রয়েছে দলের সঙ্গে। সেই বার্তা বাংলার কোচ আর অধিনায়ককে দিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী। বাংলা দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে ফিরলে জমকালো পুরস্কারও দেবে ক্রীড়া দফতর।
ফাইনালে বাংলার প্রতিপক্ষ শক্তিশালী কেরল দলে রয়েছে ইস্টবেঙ্গলের ৫ ফুটবলার। নাসিব রহমান, আদিল অমল, রোশাল, মোশাররফ, জোসেফ জাস্টিনরা কলকাতা লিগে লাল-হলুদ জার্সিতে খেলেছেন। সেমিফাইনালে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমে হ্যাটট্রিক করেন রোশাল। বিনো জর্জ এই ফুটবলারদের ইস্টবেঙ্গলে নিয়ে আনেন। ফাইনালে চাকু, মনোতোষ, নরহরি, রবিদের বাড়তি সতর্ক থাকতেই হবে।