Bengal Football Team: জোড়া হ্যাটট্রিক, UP-কে সাত গোল দিয়ে কার্যত মূলপর্বে বাংলা
Santosh Trophy Preliminary Round: তাদের একটি ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছিল। কল্যাণী স্টেডিয়ামে এ দিন উত্তরপ্রদেশকে সাত গোলের মালা পরাল বাংলা। দুর্দান্ত একটা পারফরম্যান্স। বাংলার মূল পর্বে ওঠা কার্যত নিশ্চিত। বিশাল জয়ের পর বাংলার কোচ সঞ্জয় সেনই বা কী বলছেন?
সন্তোষ ট্রফির বাছাই পর্বে দুরন্ত ছন্দে বাংলা। প্রথম ম্যাচে ঝাড়খণ্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল। বাংলার অভিজ্ঞ কোচ সঞ্জয় সেন অবশ্য তাতেও সতর্ক ছিলেন। অচেনা প্রতিপক্ষ। তাদের বিরুদ্ধে ভালো পারফর্ম করা সহজ নয়। সেটাই বারবার বলেছেন সঞ্জয় সেন। তবে তুলনামূলক পরিচিত প্রতিপক্ষ বলা যায় উত্তর প্রদেশকে। তাদের একটি ম্যাচ দেখার সুযোগ হয়েছিল। কল্যাণী স্টেডিয়ামে এ দিন উত্তরপ্রদেশকে সাত গোলের মালা পরাল বাংলা। দুর্দান্ত একটা পারফরম্যান্স। বাংলার মূল পর্বে ওঠা কার্যত নিশ্চিত। বিশাল জয়ের পর বাংলার কোচ সঞ্জয় সেনই বা কী বলছেন?
টানা দুটি ম্যাচে জিতল বাংলা। উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে বাংলার জোড়া হ্যাটট্রিক। প্রথম ম্যাচে ৪-এর মধ্যে জোড়া গোল করেছিলেন রবি হাঁসদা। উত্তর প্রদেশের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক সহ ৪ গোল করলেন। হ্যাটট্রিক করলেন মনতোষ মাজিও। গত ম্যাচেও গোল করেছিলেন মনতোষ। দু-ম্যাচে ছয় পয়েন্ট। গোলপার্থক্য +১১। বাংলা মূলপর্বে পৌঁছে গিয়েছে বলাই যায়। তবে অঙ্কের নিরিখে পুরোপুরি নয়। উত্তরপ্রদেশ দু-ম্যাচই হেরেছে। বিহার প্রথম ম্যাচ জিতেছিল। এ দিন অবশ্য ঝাড়খণ্ডের কাছে হেরেছে। তাও আবার ৩-৫ ব্যবধানে। গ্রুপে বাংলার শেষ প্রতিপক্ষ বুধবার বিহার। সেই ম্যাচে বিহার যদি ১০ গোলের বেশি ব্যবধানে হারায় তবেই একমাত্র ছিটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বাংলার। আবার ঝাড়খণ্ড যদি শেষদিন উত্তরপ্রদেশকে গোলের মালা পরায় সেক্ষেত্রেও একটা চাপ থাকবে। বাংলার ছিটকে যাওয়া কার্যত অসম্ভব।
উত্তরপ্রদেশকে হারিয়েও সতর্ক বাংলার কোচ সঞ্জয় সেন। বলছেন, ‘ঝাড়খণ্ড আগের ম্যাচে আমাদের কাছে ৪ গোল খেয়েছিল। তারাই কিন্তু আজ ৫ গোল করেছে। এরকম প্রত্যাবর্তন দেখা যায় না। আমরা ছেলেদের বলেছিলাম, যত বেশি সম্ভব গোল করতে হবে। প্রথমার্থে তিন গোল হয়ে গেলে ধরে নেওয়া যায় প্রতিপক্ষ আর কামব্যাক করবে না। সবই ছেলেদের কৃতিত্ব। আরও একটা ম্যাচ বাকি। সুতরাং, তিনটে ম্যাচ যদি বড় ব্যবধানে জিতে যেতে পারি, সেক্ষেত্রে মানসিক ভাবে এগিয়ে থাকব। পরের ম্যাচে জিততে না পারলে আবারও মানসিক চাপ বাড়বে।’