দোহা : দুই মাঠ। উত্তেজনার পারদ শেষ মুহূর্ত অবধি। জাপানের অনবদ্য ফুটবলে জার্মানির বিদায়। প্রতি মুহূর্তে অঙ্ক বদলে গেল। জাপানের বিরুদ্ধে এগিয়ে ছিল স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের রং বদলে দিল জাপান। স্পেনকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিল তারা। নিজেরা যেমন ইতিহাসের দিকে এগোচ্ছিলেন, জার্মানির বিদায়ের রাস্তা তৈরি হচ্ছিল। স্পেন অল্পের জন্য বেঁচে গেল। প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিরুদ্ধে ৭-০ ব্যবধানে জিতেছিল স্পেন। সেই গোলপার্থক্যই স্পেনকে নকআউটে পৌঁছে দিল। প্রথম ম্যাচে জার্মানি, এদিন স্পেনকে হারিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে নকআউটে জাপান। বিস্তারিত রিপোর্ট TV9Bangla-য়।
জাপান ২ (রিতসু ৪৮’, তানাকা ৫১’)
স্পেন ১ (মোরাতা ১১’)
ঠিক যেন জার্মানি ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। আলভারো মোরাতার গোলে পিছিয়ে পড়েছিল জাপান। টানা তিন ম্যাচে গোল করলেন আলভারো মোরাতা। সিজার আজপিলিকুয়েতার ক্রসে হেডে গোল মোরাতার। ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটেই এগিয়ে যায় স্পেন। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার রং বদলে দিল জাপানের পরিবর্তন। রিতসু দোয়ান মাঠে নামতেই অনবদ্য পারফরম্যান্স জাপানের। প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকার হতাশার ছাপ স্পষ্ট গ্যালারিতে। কিন্তু বিরতিতে পরিবর্ত হিসেবে রিতসু দোয়ান নামতেই মাঠের খেলা, গ্যালারির মেজাজ পাল্টে গেল পুরোপুরি। আড়াই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল জাপানের। প্রথমটি রিতসু দোয়ানের। দ্বিতীয় গোলটি নিয়ে কিছুটা বিতর্ক থাকতেই পারে। মিতোমার মাইনাসে গোল তানাকার। যদিও খালি চোখে মনে হয়েছিল বল মাঠের বাইরে, সেখান থেকে মাইনাস। রেফারি ভিএআরে গোলের সিদ্ধান্ত নেন। ২-১ এগিয়ে যায় জাপান। সেখান আর পিছন ফিরে তাকায়নি জাপান। বরং বারবার চাপে ফেলেছে স্পেনকে। হয়তো গোলের ব্য়বধান বাড়াতেও পারতো তারা। স্পেনের ফলের উপর নির্ভর করছিল জার্মানির সম্ভাবনা। একই ভাবে জাপান এগিয়ে যাওয়ায় স্পেনের ভাগ্য নির্ভর করছিল আর এক ম্যাচে। কোস্টারিকা জিতলে ছিটকে যেত স্পেন।
কোস্টারিকা ২ (তেজেদা ৫৮’, ন্যুয়ের ৫৮’-আত্মঘাতী)
জার্মানি ৪ (ন্যাব্রি ১০’, হাভার্ৎজ ৭৩’, ৮৫’, ফুলক্রুগ ৮৯’)
অন্য ম্যাচে কোস্টারিকাকে ৪-২ ব্যবধানে হারায় জার্মানি। ম্যাচের মাত্র ১০ মিনিটে সার্জ ন্যাব্রির গোলে এগিয়ে যায় জার্মানি। প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে চূড়ান্ত নাটক। ম্যাচের ৫৮ মিনিটে কোস্টারিকার হয়ে সমতা ফেরান ইয়েলসিন তেজেদা। ৭০ মিনিটে জার্মান গোলরক্ষক ম্যানুয়েল ন্যুয়েরের আত্মঘাতী গোলে ২-১ এগিয়ে যায় কোস্টারিকা। সেই মুহূর্তে স্পেনের বিদায়ের সম্ভাবনা তৈরি হয়। তবে ৭৩ ও ৮৫ মিনিটে কাই হাভার্ৎজের জোড়া গোল ফের ম্যাচে ফেরায় জার্মানিকে। সঙ্গে অক্সিজেন পায় স্পেন। ৮৯ মিনিটে জার্মানির হয়ে ব্যবধান ৪-২ করেন নিক্লাস ফুলক্রুগ। যদিও স্পেন জিততে না পারায়, জিতেও বিদায় নিতে হয় জার্মানিকে। টানা দ্বিতীয় বার গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিল ২০১৪ সালের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি।