Croatia vs Spain: টাইব্রেকে সিমোনের হাতে হার্টব্রেক, কার্ভাহালের ‘দ্বাদশ’ শটে চ্যাম্পিয়ন স্পেন
UEFA Nations League Final: নির্ধারিত সময়, এমনকি অতিরিক্ত সময়েও ক্রোয়েশিয়া বনাম স্পেন ম্যাচের ফয়সালা হল না। টাইব্রেকারে দু-দলেরই পরিসংখ্যান খুব ভালো। টাইব্রেকার যদিও লটারির মতো। কার ভাগ্যে কী থাকবে, পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝা যাবে না।
ফাইনাল রুদ্ধশ্বাস এমনটাই প্রত্যাশিত। উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনালে প্রত্যাশা করা হয়েছিল গোলের বন্যা। ফাইনালের আগে শেষ তিন ম্যাচে দু-দল মিলে করেছিল ১৯টি গোল। গোলের বন্যা হল না। বরং মূল খেলা যেন শুরু হল অতিরিক্ত সময়ে। তাতেও গোলের দেখা মিলল না। হাতে গোনা কয়েকটি সুযোগ। গোলে শটও হল সীমিত। ম্যাচ গড়াল টাইব্রেকারে। উয়েফা নেশন্স লিগে ক্রোয়েশিয়া বনাম স্পেন ম্যাচের বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ক্রোয়েশিয়ার গোল্ডেন জেনারেশন। লুকা মদ্রিচদের এই টিমটাকে তাই বলা হয়েছে। ২০১৮ সালে স্বপ্নের উত্থান। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ক্রোয়েশিয়া। পুরোটাই যেন সিলেবাসের বাইরে ছিল। ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে উঠতে পারে, তাদের ফুটবলাররাও বিশ্বাস করতে পেরেছিলেন কীনা সন্দেহ থাকে। অনবদ্য ফুটবল উপহার দিলেও রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। গত বছর কাতার বিশ্বকাপে প্রত্যাশার চাপ নিয়ে নেমেছিল ক্রোয়েশিয়া। সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হার। তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল ক্রোয়েশিয়া।
ট্রফি ছাড়া ‘গোল্ডেন জেনারেশন’ তকমা যে অপূর্ণ থাকবে, বলার অপেক্ষা রাখে না। উয়েফা নেশন্স লিগের ফাইনাল তাই ক্রোয়েশিয়ার কাছে অনবদ্য সুযোগ ছিল। উল্টোদিকে স্পেন। ২০১০ সালের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। তিকিতাকায় প্রতিপক্ষকে তিতিবিরক্ত করে রাখে। সেমিফাইনালে ইতালির মতো শক্তিশালী দলকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল। নতুন কোচ লুই দে ফুয়েন্তের প্রথম বড় ট্রফি জয়ের সুযোগ। কিন্তু ফাইনালের চাপ বাকি ম্যাচের তুলনায় যে কত আলাদা, প্রতি মুহূর্তে যেন টের পেলেন।
নির্ধারিত সময়, এমনকি অতিরিক্ত সময়েও ক্রোয়েশিয়া বনাম স্পেন ম্যাচের ফয়সালা হল না। টাইব্রেকারে দু-দলেরই পরিসংখ্যান খুব ভালো। টাইব্রেকার যদিও লটারির মতো। কার ভাগ্যে কী থাকবে, পরিসংখ্যান দিয়ে বোঝা যাবে না। হলও তাই।
ক্রোয়েশিয়ার হয়ে প্রথম শট ভ্লাসিচের। আটকানো সম্ভব ছিল না। স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন সেভ করতে পারেননি।
স্পেনের হয়ে প্রথম শট জোসেলুর। তিনিও অনবদ্য স্পটকিক নিলেন। আটকাতে পারেননি লিভাকোভিচ।
প্রথম চার শটের পর স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-২। ক্রোয়েশিয়ার তৃতীয় শট লুকা মদ্রিচের। তিনিও হতাশ করেননি।
মায়েরের শট বাঁচিয়ে স্পেনকে অ্যাডভান্টেজ দেন উনাই সিমোন। আসেন্সিও গোল করতেই উচ্ছ্বসিত স্পেন শিবির। ৪-৩ এগিয়ে গিয়েছিল তারা। গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে লড়াইয়ে রাখেন পেরিসিচ। দশম শটটি লিভাকোভিচ বাঁচালে তবেই সুযোগ থাকতো। স্পেনের হয়ে শট নেন লাপোর্তে। ক্রসবারে লাগে। অ্যাডভান্টেজ স্পেন থেকে ফের সমানে সমানে। উনাই সিমোন ফের একটি শট (পেতকোভিচ) বাঁচিয়ে স্পেনকে অ্যাডভান্টেজ দেন উনাই সিমোন। টাইব্রেকে দ্বাদশ শট নেন ড্যানি কার্ভাহাল। অভিজ্ঞ এই তারকার শটেই চ্যাম্পিয়ন স্পেন। টাইব্রেকারে স্পেনের পক্ষে স্কোর ৫-৪।