কলকাতা: ডুরান্ড কাপে কলকাতা ডার্বি বাতিল। শনিবার থেকেই ভারতীয় ফুটবল মহলে এই নিয়ে তোলপাড়। রবিবারের বড় ম্যাচে দুই দলের সমর্থকদের এক হওয়ার পালা ছিল। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। ডার্বি হচ্ছে না, কিন্তু প্রতিবাদ হবে। প্রতিবাদ থামবে না। আরজি করের বিচারের দাবি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সঙ্গে যোগ দিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সমর্থকরাও। একজোট হয়ে সল্টলেক স্টেডিয়াম চত্বরে প্রতিবাদে সামিল হলেন ফুটবল সমর্থকরা। সমস্ত তথ্য রইল TV9Bangla Sports -এর এই লাইভব্লগে।
প্রতিটি প্রতিবাদ, প্রতিটি বিক্ষোভই জন্ম দেয় নতুন নতুন স্লোগানের। আর স্লোগান তৈরিতে তো ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের জুড়ি মেলা ভার। রবিবার, খেলা ছিল না, ছিল প্রতিবাদ। আর সেখানেও দুর্দান্ত সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিলেন তাঁরা। বিস্তারিত পড়ুন: ‘…মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে’, সৃষ্টিশীল স্লোগানে জমল ইস্ট-মোহনের ‘খেলা’
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে প্রতিবাদ চলছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী। এ ছাড়াও প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাসের মতো ফুটবলারও আওয়াজ তুলেছেন। যুবভারতীর বাইরে তিন প্রধানের সমর্থকদের মাঝে মোহনবাগান অধিনায়ক সুভাশিস বোস। বিস্তারিত পড়ুন: প্রতিবাদে রাস্তায় বাগান ক্যাপ্টেন সুভাশিস বোসও; বলছেন, ‘স্ত্রী যদি…’
তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যুবভারতী চত্বরে প্রতিবাদ চলছে ফুটবলপ্রেমীদের। পুলিশের ধরপাকরও হয়েছে। আন্দোলন দমানো যায়নি। তিন প্রধান, ফুটবল সমর্থকদের একটাই স্লোগান জাস্টিস ফর আরজি কর। আরও বাহিনী আনা হচ্ছে!
খেলার মাঠে এমন ছবি দেখা গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচে আবেগ থাকে বাধভাঙা। প্রতিবাদে আজ আর ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান কিংবা মহমেডান নয়। আজ সকলেই একসঙ্গে। এমনকি ক্রাচ নিয়েও প্রতিবাদে সামিল এক সমর্থক। সকলের একটাই স্লোগান, জাস্টিস ফর আরজি কর। বিস্তারিত পড়ুন: এত্ত পুলিশ, তাও ডার্বি হল না… ক্রাচ নিয়েই প্রতিবাদে ফুটবলপ্রেমী
প্রতিবাদ চলছেই। পুলিশ ক্রমশ প্রতিবাদকারীদের সরানোর চেষ্টা করছেন। স্লোগান উঠেছে, লাঠি চার্জ করবি কর-জাস্টিস ফর আরজি কর। স্থানীয় বাসিন্দারাও এগিয়ে এসেছেন। তাঁদেরও বক্তব্য, আমাদের বিচার চাই। ভিড় থেকে আবারও স্লোগান- ডার্বি কাড়বি কেড়ে নে, মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে।
পুলিশের তাড়া, লাঠিচার্জ, আটক। প্রতিবাদ থামানো যায়নি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেন লাঠিচার্জ করতে হল! প্রশ্ন উঠছে। সমর্থকদের আটক করা হলেও প্রিজন ভ্যান নিয়ে এগতে দিচ্ছেন না সমর্থকরা। একটাই বক্তব্য, এই লড়াই মা-বোনেদের জন্যও। ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলছেন, ‘যাদের আটক করা হয়েছিল, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফুটবল সমর্থকদের জয়।’
পুলিশের কথা অনুযায়ী যুবভারতীর ভিআইপি গেটের ২০০ মিটার দূরেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। এমন কি ঘটল যে পুলিশের লাঠিচার্জ করতে হল? বাদ যাননি মহিলারাও। প্রচুর সমর্থককে প্রিজন ভ্যানে তুলেছে পুলিশ। বাকিরা প্রতিবাদ থামানো যায়নি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহমেডান সকলেরই একটাই স্লোগান ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’
পুলিশের কথা অনুযায়ী যুবভারতীর ভিআইপি গেটের ২০০ মিটার দূরেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। কিন্তু তারপরও পুলিশের লাঠিচার্জ। তাড়া করে পুলিশ। সমর্থকদের অনেককেই আটক করা হয়। মহিলাদের উপরও লাঠিচার্জ। বিস্তারিত পড়ুন: যুবভারতীর সামনে রণক্ষেত্র, টেনে হিঁচড়ে প্রতিবাদীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ; মহিলাদের উপরও লাঠিচার্জ
ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকদের সঙ্গে সামিল মহমেডান স্পোর্টিংও। বাংলা ফুটবলের তিন প্রধান। সকলেরই প্রশ্ন, এত পুলিশ এখানে কেন, তা হলে খেলা কেন করা গেল না? বিস্তারিত পড়ুন: ডার্বি বাতিল, যুবভারতীর প্রতিবাদে ইস্ট-মোহনের সঙ্গে সামিল মহামেডান সমর্থকরাও
যেখানে পুলিশের তৎপরতা দরকার ছিল, সেখানে পুলিশ লুকিয়েছে। এ ভাবে জনগণকে আটকানো যাবে না। বলছেন, উষসী চক্রবর্তীও। অন্য দিকে, বিধাননগর পুলিশের তরফে যে সমর্থককে ফোন করা হয়েছিল, সেই সৌরিশ বলছেন, ‘এখানে এত পুলিশ। অথচ খেলার জন্য পুলিশ দেওয়া গেল না!’
নিরাপত্তার জন্য বাতিল করা হয়েছিল ডুরান্ড ডার্বি! অথচ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ডার্বি হলে হয়তো উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগানটাই থাকত। খেলাটাও হত। সত্যিই কি নিরাপত্তার কারণে বন্ধ ডার্বি? তা হলে এখানে এত পুলিশ বাহিনী কী ভাবে মোতায়েন করা গেল? উঠছে প্রশ্ন।
বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা অবধি ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। ফুটবলের আবেগে আঘাত পড়েছে। বাঙাল-ঘটি এক হয়ে প্রতিবাদে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান আজ এক জোট। এ দৃশ্য বিরল। হাতে নানা প্ল্যাকার্ড। মূল দাবি একটাই, জাস্টিস ফর আরজি কর।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে জমায়েতে বাধা। স্টেডিয়ামের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত নয়। সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে। বিশাল পুলিশ বাহিনী প্রতিবাদস্থলে। বিস্তারিত পড়ুন: আটক ৫, আরজি করে রাত দখলের মতো আশঙ্কা! জমায়েতে বাধা বিধাননগর পুলিশের
বাঙালির পা থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ফুটবল। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী ডার্বি বাতিল এবং আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। এরপরই তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলই উধাও! আরজি করের ন্যায় বিচার চেয়ে প্রতিবাদে অন্যান্য ফুটবলাররা। বিস্তারিত পড়ুন: সৌভিক একা নন, আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ প্রীতম-প্রবীরদের মতো ফুটবলারদেরও
চিংড়ি-ইলিশ ভাই ভাই, আরজি করের বিচার চাই…
উই ওয়ান্ট জাস্টিস…
লোটা-মাচা ভাই ভাই, আরজি করের বিচার চাই…
এই সকল স্লোগান দিয়ে হাওড়ায় প্রতিবাদের মিছিল করছেন দুই প্রধানের সমর্থকরা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই প্রতিবাদ মিছিলে চলছেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ফ্যানেরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাঁদের স্লোগানে মুখরিত চারিদিক।
খেলার মাঠ বন্ধ তবে, খেলার বদলে বিচার হবে… ঘটি বাঙাল ভাই ভাই, আরজি করের বিচার চাই… ১৮ তারিখ দেখতে চাই। দুই গ্যালারির একটা স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর… এমন সব বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকরা আজ, রবিবার আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে সামিল হবেন।
পড়ুন বিস্তারিত – ডুরান্ড ডার্বি বাতিল, যুবভারতীতে একজোটে ‘বড় ম্যাচ’ ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের
আজকের ডুরান্ড ডার্বি বাতিলের করা নিয়ে সমালোচনা ও জাস্টিস ফর তিলোত্তমা এই দাবিকে সামনে রেখে হাওড়ায় পথে নামল দুই প্রধানের সমর্থকেরা। তিলোত্তমা কাণ্ডে রবিবাসরীয় আজকের ডার্বি বাতিল করেছে প্রশাসন। তাতেই ক্ষুব্ধ দুই দলের সমর্থকরা। আজ বেলা বারোটা নাগাদ হাওড়ার কদমতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে পাওয়ার হাউস মোড় পর্যন্ত তিলোত্তমা কান্ডের সঠিক দোষীদের চিহ্নিত করার কঠোর শাস্তির দাবিতে দুপক্ষের সমর্থকদের একটি পদযাত্রার আয়োজন করেছে। এই পদযাত্রা থেকে স্লোগান ওঠে ‘ডার্বি বাতিল করছিস কর, জাস্টিস ফর আরজি কর’। শুধু ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সদস্যরা ছাড়াও প্রচুর সাধারণ মানুষ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এই পদযাত্রায় অংশ নেন।
সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে আজ দুই প্রধানের সমর্থকরা গর্জে ওঠার ডাক দিয়েছে । অভিনব প্রতিবাদে সামিল হবেন দুই দলের সমর্থকরা। এরই মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের এক সমর্থকের দাবি, তাঁকে ফোন করে হুমকি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। সেই কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল লাল-হলুদ সমর্থকের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ডে সরব হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের কিছুক্ষণ বাদেই সৌভিকের প্রোফাইল আর ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে না। বাক স্বাধীনতা হারাতে হচ্ছে একজন ফুটবলারকে? এমন অদৃশ্য চাপ কীসের?
পড়ুন বিস্তারিত – কণ্ঠরোধের চেষ্টা, সৌভিক চক্রবর্তীর ফেসবুক প্রোফাইল ডিলিট!
ডার্বির স্রোতে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য সুবিচার চাইবেন ভেবেছিলেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা। কিন্তু রবিবারের ডুরান্ড কাপ ডার্বিতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা করছিল পুলিশ। তাই ডুরান্ড ডার্বি বাতিল হয়েছে।
পড়ুন বিস্তারিত – আরজি কর কাণ্ডের জের, রবিবারের ডুরান্ড ডার্বি বাতিল
ডুরান্ড কাপে কলকাতা ডার্বি বাতিল হয়েছে। শনিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে তোলপাড় চলছে। আজ, রবিবার ডুরান্ড ডার্বি হওয়ার কথা ছিল। ডার্বি হবে না। কিন্তু আজ ইস্ট-মোহন সমর্থকরা একজোট হবেন।
কলকাতা: ডুরান্ড কাপে কলকাতা ডার্বি বাতিল। শনিবার থেকেই ভারতীয় ফুটবল মহলে এই নিয়ে তোলপাড়। রবিবারের বড় ম্যাচে দুই দলের সমর্থকদের এক হওয়ার পালা ছিল। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকরা একজোট হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন। ডার্বি হচ্ছে না, কিন্তু প্রতিবাদ হবে। প্রতিবাদ থামবে না। আরজি করের বিচারের দাবি। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগানের সঙ্গে যোগ দিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সমর্থকরাও। একজোট হয়ে সল্টলেক স্টেডিয়াম চত্বরে প্রতিবাদে সামিল হলেন ফুটবল সমর্থকরা। সমস্ত তথ্য রইল TV9Bangla Sports -এর এই লাইভব্লগে।
প্রতিটি প্রতিবাদ, প্রতিটি বিক্ষোভই জন্ম দেয় নতুন নতুন স্লোগানের। আর স্লোগান তৈরিতে তো ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থকদের জুড়ি মেলা ভার। রবিবার, খেলা ছিল না, ছিল প্রতিবাদ। আর সেখানেও দুর্দান্ত সৃষ্টিশীলতার পরিচয় দিলেন তাঁরা। বিস্তারিত পড়ুন: ‘…মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে’, সৃষ্টিশীল স্লোগানে জমল ইস্ট-মোহনের ‘খেলা’
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে প্রতিবাদ চলছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রতিবাদ করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী। এ ছাড়াও প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাসের মতো ফুটবলারও আওয়াজ তুলেছেন। যুবভারতীর বাইরে তিন প্রধানের সমর্থকদের মাঝে মোহনবাগান অধিনায়ক সুভাশিস বোস। বিস্তারিত পড়ুন: প্রতিবাদে রাস্তায় বাগান ক্যাপ্টেন সুভাশিস বোসও; বলছেন, ‘স্ত্রী যদি…’
তিন ঘণ্টার বেশি সময় ধরে যুবভারতী চত্বরে প্রতিবাদ চলছে ফুটবলপ্রেমীদের। পুলিশের ধরপাকরও হয়েছে। আন্দোলন দমানো যায়নি। তিন প্রধান, ফুটবল সমর্থকদের একটাই স্লোগান জাস্টিস ফর আরজি কর। আরও বাহিনী আনা হচ্ছে!
খেলার মাঠে এমন ছবি দেখা গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচে আবেগ থাকে বাধভাঙা। প্রতিবাদে আজ আর ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান কিংবা মহমেডান নয়। আজ সকলেই একসঙ্গে। এমনকি ক্রাচ নিয়েও প্রতিবাদে সামিল এক সমর্থক। সকলের একটাই স্লোগান, জাস্টিস ফর আরজি কর। বিস্তারিত পড়ুন: এত্ত পুলিশ, তাও ডার্বি হল না… ক্রাচ নিয়েই প্রতিবাদে ফুটবলপ্রেমী
প্রতিবাদ চলছেই। পুলিশ ক্রমশ প্রতিবাদকারীদের সরানোর চেষ্টা করছেন। স্লোগান উঠেছে, লাঠি চার্জ করবি কর-জাস্টিস ফর আরজি কর। স্থানীয় বাসিন্দারাও এগিয়ে এসেছেন। তাঁদেরও বক্তব্য, আমাদের বিচার চাই। ভিড় থেকে আবারও স্লোগান- ডার্বি কাড়বি কেড়ে নে, মেয়েটাকে ফিরিয়ে দে।
পুলিশের তাড়া, লাঠিচার্জ, আটক। প্রতিবাদ থামানো যায়নি। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে কেন লাঠিচার্জ করতে হল! প্রশ্ন উঠছে। সমর্থকদের আটক করা হলেও প্রিজন ভ্যান নিয়ে এগতে দিচ্ছেন না সমর্থকরা। একটাই বক্তব্য, এই লড়াই মা-বোনেদের জন্যও। ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে বলছেন, ‘যাদের আটক করা হয়েছিল, ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফুটবল সমর্থকদের জয়।’
পুলিশের কথা অনুযায়ী যুবভারতীর ভিআইপি গেটের ২০০ মিটার দূরেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। এমন কি ঘটল যে পুলিশের লাঠিচার্জ করতে হল? বাদ যাননি মহিলারাও। প্রচুর সমর্থককে প্রিজন ভ্যানে তুলেছে পুলিশ। বাকিরা প্রতিবাদ থামানো যায়নি। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান-মহমেডান সকলেরই একটাই স্লোগান ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’
পুলিশের কথা অনুযায়ী যুবভারতীর ভিআইপি গেটের ২০০ মিটার দূরেই শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন তিন প্রধানের সমর্থকরা। কিন্তু তারপরও পুলিশের লাঠিচার্জ। তাড়া করে পুলিশ। সমর্থকদের অনেককেই আটক করা হয়। মহিলাদের উপরও লাঠিচার্জ। বিস্তারিত পড়ুন: যুবভারতীর সামনে রণক্ষেত্র, টেনে হিঁচড়ে প্রতিবাদীদের প্রিজন ভ্যানে তুলল পুলিশ; মহিলাদের উপরও লাঠিচার্জ
ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকদের সঙ্গে সামিল মহমেডান স্পোর্টিংও। বাংলা ফুটবলের তিন প্রধান। সকলেরই প্রশ্ন, এত পুলিশ এখানে কেন, তা হলে খেলা কেন করা গেল না? বিস্তারিত পড়ুন: ডার্বি বাতিল, যুবভারতীর প্রতিবাদে ইস্ট-মোহনের সঙ্গে সামিল মহামেডান সমর্থকরাও
যেখানে পুলিশের তৎপরতা দরকার ছিল, সেখানে পুলিশ লুকিয়েছে। এ ভাবে জনগণকে আটকানো যাবে না। বলছেন, উষসী চক্রবর্তীও। অন্য দিকে, বিধাননগর পুলিশের তরফে যে সমর্থককে ফোন করা হয়েছিল, সেই সৌরিশ বলছেন, ‘এখানে এত পুলিশ। অথচ খেলার জন্য পুলিশ দেওয়া গেল না!’
নিরাপত্তার জন্য বাতিল করা হয়েছিল ডুরান্ড ডার্বি! অথচ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ডার্বি হলে হয়তো উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগানটাই থাকত। খেলাটাও হত। সত্যিই কি নিরাপত্তার কারণে বন্ধ ডার্বি? তা হলে এখানে এত পুলিশ বাহিনী কী ভাবে মোতায়েন করা গেল? উঠছে প্রশ্ন।
বিকেল ৪টে থেকে রাত ১২টা অবধি ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। ফুটবলের আবেগে আঘাত পড়েছে। বাঙাল-ঘটি এক হয়ে প্রতিবাদে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান আজ এক জোট। এ দৃশ্য বিরল। হাতে নানা প্ল্যাকার্ড। মূল দাবি একটাই, জাস্টিস ফর আরজি কর।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের সামনে জমায়েতে বাধা। স্টেডিয়ামের ২০০ মিটারের মধ্যে কোনও জমায়েত নয়। সমর্থকরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে। বিশাল পুলিশ বাহিনী প্রতিবাদস্থলে। বিস্তারিত পড়ুন: আটক ৫, আরজি করে রাত দখলের মতো আশঙ্কা! জমায়েতে বাধা বিধাননগর পুলিশের
বাঙালির পা থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে ফুটবল। ইস্টবেঙ্গল ফুটবলার সৌভিক চক্রবর্তী ডার্বি বাতিল এবং আরজি কর নিয়ে প্রতিবাদে ফেসবুক পোস্ট করেছিলেন। এরপরই তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলই উধাও! আরজি করের ন্যায় বিচার চেয়ে প্রতিবাদে অন্যান্য ফুটবলাররা। বিস্তারিত পড়ুন: সৌভিক একা নন, আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদ প্রীতম-প্রবীরদের মতো ফুটবলারদেরও
চিংড়ি-ইলিশ ভাই ভাই, আরজি করের বিচার চাই…
উই ওয়ান্ট জাস্টিস…
লোটা-মাচা ভাই ভাই, আরজি করের বিচার চাই…
এই সকল স্লোগান দিয়ে হাওড়ায় প্রতিবাদের মিছিল করছেন দুই প্রধানের সমর্থকরা। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সেই প্রতিবাদ মিছিলে চলছেন ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের ফ্যানেরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই তাঁদের স্লোগানে মুখরিত চারিদিক।
খেলার মাঠ বন্ধ তবে, খেলার বদলে বিচার হবে… ঘটি বাঙাল ভাই ভাই, আরজি করের বিচার চাই… ১৮ তারিখ দেখতে চাই। দুই গ্যালারির একটা স্বর, জাস্টিস ফর আরজি কর… এমন সব বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগানের সমর্থকরা আজ, রবিবার আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বিচার চেয়ে প্রতিবাদে সামিল হবেন।
পড়ুন বিস্তারিত – ডুরান্ড ডার্বি বাতিল, যুবভারতীতে একজোটে ‘বড় ম্যাচ’ ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের
আজকের ডুরান্ড ডার্বি বাতিলের করা নিয়ে সমালোচনা ও জাস্টিস ফর তিলোত্তমা এই দাবিকে সামনে রেখে হাওড়ায় পথে নামল দুই প্রধানের সমর্থকেরা। তিলোত্তমা কাণ্ডে রবিবাসরীয় আজকের ডার্বি বাতিল করেছে প্রশাসন। তাতেই ক্ষুব্ধ দুই দলের সমর্থকরা। আজ বেলা বারোটা নাগাদ হাওড়ার কদমতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে পাওয়ার হাউস মোড় পর্যন্ত তিলোত্তমা কান্ডের সঠিক দোষীদের চিহ্নিত করার কঠোর শাস্তির দাবিতে দুপক্ষের সমর্থকদের একটি পদযাত্রার আয়োজন করেছে। এই পদযাত্রা থেকে স্লোগান ওঠে ‘ডার্বি বাতিল করছিস কর, জাস্টিস ফর আরজি কর’। শুধু ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সদস্যরা ছাড়াও প্রচুর সাধারণ মানুষ বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে এই পদযাত্রায় অংশ নেন।
সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে আজ দুই প্রধানের সমর্থকরা গর্জে ওঠার ডাক দিয়েছে । অভিনব প্রতিবাদে সামিল হবেন দুই দলের সমর্থকরা। এরই মধ্যে ইস্টবেঙ্গলের এক সমর্থকের দাবি, তাঁকে ফোন করে হুমকি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। সেই কথোপকথন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল লাল-হলুদ সমর্থকের।
সোশ্যাল মিডিয়ায় আরজি কর কাণ্ডে সরব হয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলার। অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের কিছুক্ষণ বাদেই সৌভিকের প্রোফাইল আর ফেসবুকে পাওয়া যাচ্ছে না। বাক স্বাধীনতা হারাতে হচ্ছে একজন ফুটবলারকে? এমন অদৃশ্য চাপ কীসের?
পড়ুন বিস্তারিত – কণ্ঠরোধের চেষ্টা, সৌভিক চক্রবর্তীর ফেসবুক প্রোফাইল ডিলিট!
ডার্বির স্রোতে আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার জন্য সুবিচার চাইবেন ভেবেছিলেন ইস্ট-মোহন সমর্থকরা। কিন্তু রবিবারের ডুরান্ড কাপ ডার্বিতে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গের আশঙ্কা করছিল পুলিশ। তাই ডুরান্ড ডার্বি বাতিল হয়েছে।
পড়ুন বিস্তারিত – আরজি কর কাণ্ডের জের, রবিবারের ডুরান্ড ডার্বি বাতিল
ডুরান্ড কাপে কলকাতা ডার্বি বাতিল হয়েছে। শনিবার এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে তোলপাড় চলছে। আজ, রবিবার ডুরান্ড ডার্বি হওয়ার কথা ছিল। ডার্বি হবে না। কিন্তু আজ ইস্ট-মোহন সমর্থকরা একজোট হবেন।