East Bengal: কর্তাদের ফিকে আশ্বাসেই শুধু বেঁচে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল
Indian Super League: ব্রিটিশ কোচের ভ্রান্ত ফর্মেশনে বিরক্ত ফুটবলাররাও। আধুনিক ফুটবল থেকে এক দশক পিছিয়ে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের ফুটবলবুদ্ধি। হারলেও, তিনি নির্বাক দর্শক। বরং হার মানিয়ে নেওয়ার বার্তাই শোনা যায় তাঁর গলায়।

কলকাতা: দেখতে দেখতে ২২ দিন গড়িয়ে গেল। তবু ইস্টবেঙ্গলের ট্রান্সফার ব্যান আর উঠল না। নতুন বিদেশি জ্যাক জার্ভিস দলের সঙ্গে অনুশীলন করে ক্লান্ত হয়ে পড়লেন, তবু এখনও তাঁর মাঠে নামা হল না। আইএসএলে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ বাকি আর ৬টা। লিগ টেবিলের ৯ নম্বরে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের দল। যদিও সাহেব কোচ এখনও স্বপ্ন দেখছেন প্রথম ছয়ের। অঙ্কের বিচারে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ছয়ে যাওয়ার রাস্তা খোলা রয়েছে ঠিকই। ফুটবলবুদ্ধির বিচারে এই ইস্টবেঙ্গল আট নম্বরে উঠতে পারলেও হয়! শেষ তিন বছরে ইস্টবেঙ্গলের পারফরমেন্স একেবারে ঝরতি পড়তির দিকে। কখনও নয় আবার কখনও এগারো, নীচের দিকেই ঘোরাফেরা করছে শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। কী হাল TV9Bangla।
কখনও ইনভেস্টরের সঙ্গে কর্তাদের দূরত্ব, তো কখনও কর্তাদের উদাসীন মনোভাব! এতেই বিপদে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। আইএসএলের অন্যান্য দলগুলো যখন ভালো ফল করতে উদ্যোগী, লাল-হলুদ কর্তারা তখন শুধু ‘সেফ সাইড’-এ খেলে গিয়েছেন। মনের মতো ইনভেস্টর আনতে কখনও নবান্ন ছুটেছেন, আবার ইনভেস্টরের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙতেও পাড়ি দিয়েছেন সেই নবান্নে। কর্পোরেট ভাবনা থেকে কয়েক যোজন দূরেই থেকেছেন লাল-হলুদের বিশেষ বিশেষ কর্তারা। নিজেদের পিঠ বাঁচানোর খেলায় এতটাই মত্ত থেকেছেন যে, ফুটবল দলের পারফরম্যান্স ক্রমশ উচ্ছন্নে গিয়েছে। মধ্য এবং নিম্নমানের ফুটবলারদের ধরে এনেছেন আইএসএলে। দলগঠনে কর্তাদের উপর ‘বিশ্বাস’ রেখে যে ভুল করেছে ইনভেস্টরও, তা ভালোই টের পাচ্ছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারা।
দায় এড়াতে পারেন না ইনভেস্টর কর্তারাও। প্রথম থেকেই শক্ত হাতে হাল ধরা উচিত ছিল তাঁদের। ইস্টবেঙ্গল দিবসে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সমর্থকদের একগুচ্ছ আশ্বাস দিয়েছিলেন কর্তারা। সেই আশ্বাস পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ তাঁরাও। হাইপ্রোফাইল ফুটবলার রিক্রুটে পেশাদার মনোভাব দেখাতে চূড়ান্ত ব্যর্থ ইমামি ইস্টবেঙ্গলের চিফ টেকনিক্যাল অফিসারও। সূত্রের খবর, সিটিও-র ভূমিকা নিয়ে ঘনিষ্ঠমহলে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তারাও। দলের হার দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তাঁরাও। প্রিয় দলের ম্যাচ দেখতে গ্যালারিতেও আসছেন না সমর্থকরা। হারকে অভ্যাসে পরিণত করতে শিখে গিয়েছেন তাঁরাও। মশাল আর জ্বলে না, নিভেই থাকে।
এ দিকে, ব্রিটিশ কোচের ভ্রান্ত ফর্মেশনে বিরক্ত ফুটবলাররাও। আধুনিক ফুটবল থেকে এক দশক পিছিয়ে স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইনের ফুটবলবুদ্ধি। হারলেও, তিনি নির্বাক দর্শক। বরং হার মানিয়ে নেওয়ার বার্তাই শোনা যায় তাঁর গলায়। ইনভেস্টর কর্তারা নিজেদের হাতে ফুটবলের রাশ পুরোপুরি না নিলে, বিপদ আরও বাড়বে। ভালো মানের ফুটবলার বা আধুনিক ফুটবলবুদ্ধি সম্পন্ন কোচের অভাবেই ভুগছে লাল-হলুদ। শোনা যাচ্ছে, আগামি সপ্তাহেই ইস্টবেঙ্গলের ট্রান্সফার ব্যান উঠে যেতে পারে। তবে এই ইস্টবেঙ্গলে না আঁচালে বিশ্বাস নেই। তাই ‘হচ্ছে হবে’-র যুগ কবে শেষ হয়, সেটাই এখন দেখার!





