বড় ম্যাচ ঘিরে উত্তেজনার পরিস্থিতি ময়দানে নতুন নয়। প্রতি ডার্বির পর এমন নানা ঘটনা ঘটে। মাঠে প্লেয়ারদের মধ্যে ঝামেলা হলেও তা দ্রুত মিটে যায়। ডুরান্ড ফাইনালেও দেখা গিয়েছে ম্যাচ চলাকালীন দু-দলের ফুটবলাররা ঝামেলায় জড়ান। ইস্টবেঙ্গল কোচকেও কার্ড দেখানো হয়। কিন্তু ম্যাচ শেষেই পরিস্থিতিটা অন্য। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে ইস্টবেঙ্গল প্লেয়াররা যখন রানার্স মেডেল নিতে উঠছেন, গার্ড অব অনার দেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। একই সৌজন্যতা দেখা যায় ইস্টবেঙ্গলের তরফেও। কিন্তু মাঠের বাইরে সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলার রেশ থাকে দীর্ঘ সময়। স্টেডিয়ামের বাইরে গত কালও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পুলিশ আরও তৎপরতা দেখালে পরিস্থিতি কি কিছুটা বদলাতে পারতো? সমর্থকরা আক্রান্ত। পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়ে পরিস্থিতি বদলায়নি। তাই এ বার মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। বিস্তারিত রইল TV9Bangla Sports-এর এই প্রতিবেদনে।
ডুরান্ড কাপের গ্রুপ পর্বে বড় ম্যাচ জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। ফাইনালে ডার্বি জিতে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান। বড় ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা কাটতে চলল। এখনও রেশ কাটেনি। রক্তাক্ত বেশ কিছু সমর্থক। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। ক্লাবের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে কর্তারা জানান, রবিবার ডার্বি শেষে স্টেডিয়ামের বাইরে আক্রান্ত হন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা। বেশ কয়েকজন সমর্থক গুরুর আহত হন। ঘটনায় সরাসরি মোহনবাগানের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন লাল-হলুদ কর্তারা। সাংবাদিক সম্মেলনে ইস্টবেঙ্গল কর্তারা গত রাতের বেশ কিছু ভিডিয়ো ফুটেজও দেখান।
ইস্টবেঙ্গল শিবির আরও প্রশ্ন তুলছেন, মোহনবাগান কর্তাদের প্ররোচনামূলক মন্তব্যের জন্যই কি রক্ত ঝরছে ময়দানে? কারও প্ররোচনায় হচ্ছে নাকি বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ব্যর্থতায় এই ঘটনা আটকানো যাচ্ছে না। তা খতিয়ে দেখার জন্যই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হতে চান লাল-হলুদ কর্তারা। ক্রীড়ামন্ত্রীকেও ঘটনাটি জানানো হবে। বিশেষ করে কাদাপাড়াতে এর আগেও ডার্বি শেষে অনেকবার রক্ত ঝরেছে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে ঘটনাটি জানিয়ে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
লাল-হলুদের তরফে আরও জানানো হয়েছে, আহত ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের চিকিৎসার খরচ বহন করার দায়িত্ব নিচ্ছে ক্লাব। বুধবার ৪টে থেকে ৭টার মধ্যে আহত সমর্থকদের ক্লাবে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। প্রয়োজনে তাঁদের ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছেও নিয়ে যেতে পারেন লাল-হলুদ কর্তারা।