Kylian Mbappé: বাবা-মাও খেলোয়াড়, এমবাপের রক্তে রয়েছে স্পোর্টস!
French Footballer: ক্রীড়াবিদ হওয়া বোধহয় তাঁর রক্তে রয়েছে। পরিবার থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে সেনানি হওয়ার মশলা মজুদ হয়েছে তাঁর মনে।

প্যারিস: মাত্র ২০ বছর বয়সে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বাদ পেয়েছেন। বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় সেরা যুব ফুটবলারের খেতাব জিতেছেন। বিশ্বকাপের ফাইনালে গোলও রয়েছে তাঁর। তিনি কিলিয়ান এমবাপে। ১৯৯৮ সালের ২০ ডিসেম্বর প্যারিসের শহরতলিতে জন্ম তাঁর। অল্প বয়সেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে তারকার আসনে বসেছেন। ক্রীড়াবিদ হওয়া বোধহয় তাঁর রক্তে রয়েছে। পরিবার থেকেই ক্রীড়াঙ্গনে সেনানি হওয়ার মশলা মজুদ হয়েছে তাঁর মনে। ফ্রান্স দল কাতার বিশ্বকাপেও তাঁর থেকে চোখধাধানো পারফরম্যান্সের আশা করছেন। এই বিশ্বকাপে অনেক বেশি দায়িত্বও থাকবে তাঁর কাঁধে।
কিলিয়ান এমবাপের বাবা উইলফ্রেড এমবাপে স্থানীয় লিগের ফুটবলার ছিলেন। ক্য়ামেরুনে জন্ম উইলফ্রেডের। স্থানীয় ক্লাবে খেলার পাশাপাশি প্য়ারিসের ক্লাব এস বন্ডির কোচও তিনি। এমনকি ছেলের ম্য়ানেজার হিসাবে ভূমিকা পালন করে থাকেন উইলফ্রেড। এক সাক্ষাৎকারে কিলিয়ান এমবাপের ব্য়াপারে তাঁর বাবা বলেছেন, “আমি চাইতাম আমার ছেলে ক্যামেরুনের হয়ে ফুটবল খেলুক। কিন্তু ক্যামেরুন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের এক আধিকারিক টাকা দাবি করেন। আমার টাকা ছিল না। কিন্তু ফ্রান্স আমাদের সহযোগিতা করেছে।”
এমবাপের মাও পেশাদার খেলোয়াড় ছিলেন। ফায়জা লামারির জন্ম আলজিরিয়ায়। সেখানে তিনি হ্য়ান্ডবল খেলতেন। উচ্চপর্যায়ের পেশাদার প্রতিযোগিতাও খেলেছেন। কিলিয়ান এমবাপের দুই ভাইও তাঁর পথে হেঁটেই ফুটবলার হয়ে ওঠার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এমবাপের বাবা-মা
কিলিয়ান এমবাপের বড় ভাই বিরেস কেম্বো ইকোকো। ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে জন্ম তাঁর। কিলিয়ানের বাবা তাঁকে দত্তক নেওয়ার আগে প্যারিসে নিজের কাকার কাছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় চলে এসেছিলেন। এএস বন্ডি যুব অ্যাকাডেমিতে সেখানে উইলফ্রেড কোচিংও করান। তখনই কিলিয়ান এমবাপের বাবা দত্তক নেন ইকোকেকে। কিলিয়ানের থেকে ইকোকো ১০ বছরের বড়। রেনের হয়ে ৬ বছর খেলেছেন তিনি। তার পর সংযুক্ত আরব আমিরশাহির ক্লাবে পাঁচ মরসুম কাটিয়েছেন। এরপর তুরস্কের ক্লাবে যোগ দেন। সেখান থেকেই অবসর নেন।
কিলিয়ান এমবাপের ছোট ভাই ইথান এমবাপেও ফুটবলার হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সেই প্যারিস সেন্ট জার্মান (পিএসজি) সই করিয়েছে তাঁকে। ২০২৪ সাল অবধি পিএসজি অ্যাকাডেমির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রয়েছেন তিনি। ইথান আক্রমণ ভাগের বাঁ-দিকে খেলেন। কিন্তু সেন্ট্রাল পজিশনেও খেলতে পারেন তিনি।
এএস বন্ডিতেই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছিল কিলিয়ান এমবাপের। মাত্র ৬ বছর বয়সে সেখানে যোগ দেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই ১০ নম্বর জার্সির প্রতি আকর্ষণ ছিল কিলিয়ানের। লন্ডনে গিয়ে চেলসি ক্লাবে ছোটবেলায় অডিশনও দিয়েছিলেন। কিন্তু সুযোগ পাননি। ২০১৫ সালে পেশাদার হিসাবে খেলা শুরু করেন তিনি। মোনাকোতে যোগ দেন। ২০১৬-১৭ সালে লিগ১ খেতাব জিতেছিল মোনাকো। সেই জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল এমবাপের। মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ফ্রান্সের জাতীয় দলের জার্সি পরার সুযোগ আসে। সেই থেকে এখন ফ্রান্স দলের নির্ভরযোগ্য সদস্য তিনি।





