নয়াদিল্লি : আর্জেন্টিনা (Argentina) মানেই ফুটবল। যে মাটিতে স্বয়ং ফুটবলের রাজপুত্রের জন্ম সেখানে ফুটবল নিয়ে মাতামাতি, প্রেম তো থাকবেই। শুধু ফুটবলের প্রতি তাঁদের ভালবাসাই নয়, তাঁরা আর্জেন্টিনা জাতীয় দল নিয়ে আবেগেও ভাসেন। মাঝেমধ্যেই দল পিছিয়ে পড়লে,” ভামোস, ভামোস আর্জেন্টিনা” বলতে শোনা যায় তাঁদের। যার বাংলায় অর্থ দাঁড়ায়, “এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা।” অর্থাৎ তাঁরা দলের সঙ্গে সবসময় আছে, দলের পাশে সবসময় আছে। ফুটবলপ্রীতি তাঁদের রক্তেই আছে। তবে এই বার এক ভক্ত আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা দেখাতে করে বসলেন এক কান্ড। পরিবার নাকি ফুটবল! কোনটা আগে? এমনই এক কাহিনি তুলে ধরল TV9 Bangla।
আর্জেন্টিনার মরণ বাঁচন ম্যাচ। তাও আবার তুলনায় অনেকটাই শক্তিশালী মেক্সিকোর বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে দলের পাশে থাকা খুবই জরুরি মনে করেছেন আর্জেন্টিনার এক ফুটবলপ্রেমী। মেয়ের গ্র্যাজুয়েশন ইভেন্টে পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন! শুধু তাই নয়, মেয়েকে জানালেন, বাকি অভিভাবকরাও যাতে কর্তৃপক্ষকে এই আর্জি জানায়। কারণ, তিনি এই ইভেন্টের জন্য কোনওভাবেই আর্জেন্টিনা-মেক্সিকো ম্যাচ মিস করতে চান না। তিনি তাঁর মেয়েকে হোয়াটসঅ্যাপে একটি সুন্দর বার্তাও দিয়েছেন। যাতে লেখা রয়েছে, ‘আমি তোমাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসি। তোমার জন্য আমি সব করতে পারি, তুমি চাইলে আমার কিডনিও তোমায় দিয়ে দিতে পারি কিন্তু কোনওভাবেই আর্জেন্টিনার ম্যাচ মিস করতে পারবো না।’
ইতিমধ্যেই এই বার্তা ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাঁর আরও দাবি, নিজের গ্র্যাজুয়েশনের সার্টিফিকেট কোথায় রেখেছেন কিংবা আদৌ সেটা তিনি সংগ্রহ করেছিলেন কী না মনে নেই। এই একটা পেপারে কারও ভবিষ্যৎ নির্ধারন হয়নি, আর হবেও না। যাঁরা ফুটবল ভালোবাসে না, তাঁদের জীবনে হওয়ার কিছু নেই। মেয়েকে এমনটাই বার্তা দিয়েছেন বাবা। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের কাছে লজ্জার হার হয়েছে আর্জেন্টিনার। এই হার এখনও হজম করতে পারেনি তাঁরা। তাই মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ম্যাচটি আর্জেন্টিনার কাছে জবাব দেওয়ার একটি সুযোগ। জয় নিশ্চিত করতে কঠিন লড়াই দিতে হবে আর্জেন্টিনাকে। তাই মেয়ের চেয়ে জাতীয় দলের পাশে থাকাই এই মুহূর্তে বেশি জরুরি মনে হয়েছে।