FIFA World Cup 2022: ‘বিশ্বকাপে দলকে সমর্থন করতে এসেছি’, বিতর্কে পড়ে বললেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট
Emmanuel Macron: ম্যাক্রঁ রবিবার আবার কাতারে ফিরবেন আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ফাইনাল ম্যাচ দেখতে। তাঁর উপস্থিতি জাতীয় দলের মনোবল বাড়াবে। ঘুষের অভিযোগ ওঠার পরও কাতার জানিয়েছে যে তারা নির্দোষ। তবে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কাতারে থাকাকালীন ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট দেখা করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে।
দোহা: ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ কথা দিয়েছিলেন, টিম কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলে, মাঠে উপস্থিত থাকবেন তিনি। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট ও গাল্ফ রাজতন্ত্রের মাঝে দুর্নীতির ধোঁয়া ওঠা সত্ত্বেও আল বায়াত স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের আয়োজনের দায়িত্ব পেতে কাতার নাকি বিপুল অর্থ ঘুষ দিয়েছিল। ব্রাসেলস পুলিশ তদন্তে নামার পর এই বিতর্ক বেড়েছে। অনেকে জড়িয়েও পড়েছেন। সেই সঙ্গে জুড়েছে আরও নানা ঘটনা, নানা বিতর্ক। যা কাতারকে চাপে ফেলেছে আরও। কাতারে বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এই দেশের শ্রম আইন নিয়ে কাটাচেরা হয়েছে। বিশ্বকাপ আয়োজন করতে গিয়ে স্টেডিয়াম ও পরিকাঠানো তৈরি করতে গিয়ে কার্যত শ্রমিকদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে। বেশ কিছু শ্রমিক প্রাণও হারিয়েছেন। আন্তর্জাতিক শ্রম আইন লঙ্ঘন করে বিশ্বকাপ আয়োজনের মাধ্যমে সব বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টাও চালানো হয়েছে কাতারের তরফে। আর তা করতে গিয়ে নাকি ঘুষও দিয়েছে তারা।
এই বিষয়ে একাধিক তদন্ত করতে গিয়ে বেলজিয়ামের পুলিশ, এক সদস্যের ফ্ল্যাট থেকে ৬ লক্ষ ইউরো উদ্ধার করেছে। তা ছাড়া ব্রাসেলসে আর এক সদস্যের ফ্ল্যাট থেকে এক সুটকেসে ৭.৫ লক্ষ ইউরো মিলেছে। ২০০ থেকে ৫০ ইউরোর নোটের বান্ডিল পাওয়া গিয়েছে ফ্ল্যাটগুলি থেকে। সূত্রে মাধ্যমে জানা গিয়েছে, ১.৫ লক্ষ ইউরো পাওয়া গিয়েছে গ্রিক মেম্বার অব পার্লামেন্টে এভা কাইলিলির ফ্ল্যাট থেকে। চার অভিযুক্তের একজন তিনি। যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। বিপুল অর্থ উদ্ধার হওয়ার পর ইউরোপিয়ান মেম্বার অব পার্লামেন্টের ভোটের মাধ্যমে কাইলিলিকে তাঁর পদ থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এ বিষয়ে পার্লামেন্টে মেম্বার রবের্তা মেতসোলা দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন, “ইউরোপিয়ান গণতন্ত্রের জন্ এটায কঠিন সময়। ” তবে কাইলিলির উকিল বলেছেন, “কাতার নিয়ে কাইলিলি তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপ, যোগাযোগ ও বক্তব্য নিয়ে যা কিছু বলেছেন, তা ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সরকারি পলিসির কাজে লাগানোর জন্য করেছেন।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রঁ সেমিফাইনাল শেষে তাড়াতাড়ি পৌঁছন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের এক সামিট যোগ দেওয়ার জন্য। কাজেই ইউরোপীয় রাজনীতিকরাও এতে জড়িয়ে পড়েছেন। তাঁকে এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, “আমি এ বিষয়ে কোনও রকম অস্বস্তিতে নেই। চার বছর আগেও আমি রাশিয়া গিয়েছিলাম, টিমের পাশে দাঁড়াতে। এ বার কাতারে ওদের পাশে দাঁড়াতে গিয়েছিলাম।”
ম্যাক্রঁ রবিবার আবার কাতারে ফিরবেন আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ফাইনাল ম্যাচ দেখতে। তাঁর উপস্থিতি জাতীয় দলের মনোবল বাড়াবে। ঘুষের অভিযোগ ওঠার পরও কাতার জানিয়েছে যে তারা নির্দোষ। তবে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্ট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কাতারে থাকাকালীন ফ্রেঞ্চ প্রেসিডেন্ট দেখা করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে।