Lionel Messi, FIFA WC: মেসিকে উস্কানি, বিশ্বকাপ সেরা গোল মিস করলেন বেহিচ
FIFA world Cup 2022: পিছিয়ে ছিলেন না বেহিচও। অজি ডিফেন্সের বাঁ দিক থেকে অদ্ভুত ক্ষিপ্রতায় ক্রিসক্রস করে উঠে আসেন মাঝমাঠে। চকিত গতিতে দুই আর্জেন্টাইনকে পিছনে ফেলে অজি আক্রমণভাগে পা মেলান। চোখের পলকে আর্জেন্টাইন বক্সে ঢুকে পড়েন। ওই গোলটা অনবদ্য হতে পারত।
দোহা: অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জিতে প্রত্যাশিত ভাবে কোয়ার্টার ফাইনালে পা দিয়েছে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে লিওনেল মেসি আরও একবার ফুটবল বিশ্বকে দেখিয়েছেন, কাতারে বিশ্বকাপ জেতার জন্য কতটা মরিয়া তিনি। ওই ম্যাচেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। আর্জেন্টাইনরা ২-১ গোলে ম্যাচে জিতেছে। তবে ওই ম্যাচে কম উত্তেজনা ছিল না। বিরতির ১০ মিনিট আগে হাতাহাতি হয় অজি ডিফেন্ডার আজিজ বেহিচ ও মেসির মধ্যে। হল হাতাহাতি, জার্সি ধরে টানাটানি ও চোখাচোখি। কী ঘটেছিল মাঠে, তুলে ধরল TV9 Bangla।
বল দখলের লড়াই থেকেই শুরু হয় অশান্তি। মেসি এমনিতে মাঠে বরাবরই শান্ত থাকেন। কিন্তু ওই ঘটনায় তিনি যে মারাত্মক চটেছিলেন, সন্দেহ নেই। বল লাইন ক্রস করে বাইরে যেতেই বেহিচ টেনে ধরেন মেসির জার্সি। ধাক্কাধাক্কি করতে করতে বেহিচ রুক্ষভাবে তাকান মেসির দিকে। হল উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়। মেসিও পিছুপা হননি। পরিস্থিতি সামলাতে এগিয়ে আসেন রেফারি। ফুটবল মাঠে মেসি এ ভাবে রেগে যান না। জুলাই মাসে কোপা আমেরিকায় কলোম্বিয়ান স্ট্রাইকার ইয়েরি মিনার পেনাল্টি মিস করার পর দেখা গিয়েছিল তাঁর কটাক্ষ। গোলের পর মিনার সেলিব্রেশনের উত্তর দিতে মেসি পাল্টা কটাক্ষ করেছিলেন। কিন্তু কাতারে মুখ খোলেননি মেসি। তবে ক্ষোভও গোপন রাখেননি।
আর্জেন্টাইন মাঝমাঠের ফুটবলার ম্যাক আলিস্টার বলেন, “এই রকম মুহূর্তে মেসির ভিতরের আগুন বেরিয়ে আসে। ম্যাচে ও সব সময় নিজেকে ছাপিয়ে যায়। এই ধরনের উত্তেজক খেলায় ও নিজেকে আরও বেশি করে মেলে ধরতে চেয়েছিল।” আলিস্টার ঠিক কথাই বলেছেন। মেসি-বেহিচ ঝামেলার ঠিক ২ মিনিটের মাথায় উত্তর দেন মেসি। ঠিক তাঁর চেনা মেজাজেই। অনবদ্য এক ওয়ান-টু খেলে অজি রক্ষণভাগ চিরে ঢুকে পড়লেন মেসি। তারপরই মেসি-ম্যাজিক। ঠান্ডা মাথায় বিপক্ষ গোলকিপার ম্যাট রায়ানকে ধরাশায়ী করে বল জালে জড়িয়ে গোল তাঁর। ম্যাচের প্রথম গোল মিলেছে তাঁর পা থেকেই।
পিছিয়ে ছিলেন না বেহিচও। অজি ডিফেন্সের বাঁ দিক থেকে অদ্ভুত ক্ষিপ্রতায় ক্রিসক্রস করে উঠে আসেন মাঝমাঠে। চকিত গতিতে দুই আর্জেন্টাইনকে পিছনে ফেলে অজি আক্রমণভাগে পা মেলান। চোখের পলকে আর্জেন্টাইন বক্সে ঢুকে পড়েন। ওই গোলটা অনবদ্য হতে পারত। হতে পারত বেহিচের জীবনের অন্যতম সেরা শট। কিন্তু শেষটা করতে পারলেন না। আর্জেন্টাইন তারকা গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ প্রমান করে দিলেন তাঁকে পরাস্ত করা সহজ নয়। গোল না করতে পেরে হতাশায় অনেকক্ষণ পড়ে ছিলেন মাঠে।
বেহিচের বাবা সাতের দশকে জীবন বাঁচানোর তাগিদে উত্তর সাইপ্রাস থেকে পালিয়ে আসেন অস্ট্রেলিয়ায়। বেহিচের বাবা ছিলেন বিখ্যাত ফুটবলার । চিউয়িং গামের র্যাপারে তাঁর ছবি ছাপা হত। ঠিক যেমন আটের দশকে কপিল দেব ও ভিভ রিচার্ডসের ছবি ছাপা হত। বিশ্বকাপ সেরা এই গোলটি হয়তো বেহিচের জীবনে ওই চিউয়িং গাম ইমেজ মুহূর্ত হতে পারত।