ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এ মরসুমেই অভিষেক হয়েছে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। রেজাল্ট যেমনই হোক, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের পারফরম্যান্স মুগ্ধ করেছে। প্লেয়ারদের যত অভিজ্ঞতা বাড়বে, এই টিম আরও ভালো পারফর্ম করবে বলাই যায়। গত ম্যাচে কলকাতা মিনি ডার্বিতে মোহনবাগানের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের কাছে একতরফা হেরেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। তার আগের ম্যাচে অবশ্য চেন্নায়িন এফসিকে অ্যাওয়ে ম্যাচে হারিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে সেটিই ছিল তাদের প্রথম জয়। ঘরের মাঠে কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে এগিয়ে থাকলেও অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে পড়ল মহমেডান স্পোর্টিং। ১-২ ব্যবধানে কেরালা ব্লাস্টার্সের কাছে হার।
কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ম্যাচের ২৯ মিনিটে পেনাল্টি পায় মহমেডান স্পোর্টিং। কেরালা ব্লাস্টার্সের ১৯ বছরের গোলকিপারের ভুলে পেনাল্টি পায় মহমেডান স্পোর্টিং। কাসিমোভের পেনাল্টি গোলে এগিয়ে যায় তারা। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত কামব্যাক কেরালা ব্লাস্টার্সের। ম্যাচের ৬৭ ও ৭৫ মিনিটে পরপর গোল কোয়ামে পেপা ও জিমিনেজের। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। প্রত্যাবর্তনের মরিয়া চেষ্টা করে সাদা-কালো ব্রিগেড।
প্রশংসনীয় ফুটবল খেলছিল মহমেডান। নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে বক্সের মধ্যে ফাউল। পেনাল্টির আবেদন করেছিল মহমেডান স্পোর্টিং। কিন্তু দেওয়া হয়নি। রেফারির সিদ্ধান্তে অখুশি সমর্থকদের একাংশ। গ্যালারি থেকে বোতল, জুতোও ছোড়া হয়। কিছুক্ষণ বন্ধ রাখতে হয় ম্যাচ। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের ফুটবলার সামাদ আলি মল্লিক গ্যালারিকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই, এই কারণে রেফারি দু-দলের প্লেয়ারদের ডাগ আউটে পাঠিয়ে দেন। অপেক্ষা করা হয় গ্যালারি শান্ত হওয়ার। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কিছু সমর্থকের জন্য যাতে ম্যাচ বন্ধ না হয়, বাকিরা গ্যালারি শান্ত করার চেষ্টা করেন। কয়েক মিনিটের মধ্যেই খেলা ফের শুরু হয়। গ্যালারিতে যেখানে জলের বোতল নিয়ে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা, সেখানে কিভাবে সমর্থকরা মাঠে বোতল নিয়ে ঢুকলেন তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শাস্তির মুখে পড়তে পারে মহমেডান স্পোর্টিং।
অ্যাডেড টাইম দেওয়া হয় ৯ মিনিট। এমনটাই প্রত্যাশিত ছিল। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দুর্দান্ত একটা সেভ করেন কেরালা ব্লাস্টার্সের তরুণ গোলরক্ষক সোম কুমার। শুরুতে তাঁর ভুলেই পেনাল্টি হয়েছিল। এই গোলটা হলে অন্তত ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারত মহমেডান স্পোর্টিং।