নতুন বছরের শুরুটা দুর্দান্ত মোহনবাগানের। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেঙ্গালুরু এফসির সঙ্গে পাঁচ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করল শীর্ষে থাকা সবুজ মেরুন। মরসুমের শুরুটা স্বস্তির না হলেও মোলিনার কোচিংয়ে ধীরে ধীরে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছে। গত ম্যাচের পরই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ঘোষণা করেছিলেন, এই ম্যাচ বিনামূল্যেই গ্যালারিতে বসে দেখতে পারবেন সমর্থকরা। নতুন বছরের উপহার। আর হাউসফুল যুবভারতী যে কোনও প্রতিপক্ষর স্নায়ুর চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে এ আর নতুন কী! ঘরের মাঠে হায়দরাবাদ এফসিকে হেলায় হারিয়ে বছর শুরু। একটাই আপশোস, স্কোর লাইন আরও বড় হতে পারত।
হাউসফুল যুবভারতী। বিশাল গর্জন। সবুজ মেরুনের অনবদ্য ফুটবল। স্কোরলাইন ৩-০। কামিংসদের দাপুটে ফুটবলে ব্যবধান ঠিক কত হতে পারত, এ যেন কল্পনার বাইরে। খেলা শেষে ম্যাচের সেরা মোহনবাগানের উইঙ্গার লিস্টন কোলাসো স্বীকার করে নিলেন, আরও গোল করা উচিত ছিল তাঁদের। তবে স্কোর লাইন যে মোহনবাগানের অনবদ্য পারফরম্যান্সকে বিচার করছে না, পরিষ্কার বলাই যায়।
ম্যাচের ৯ মিনিটে লিস্টনের উইথ দ্য বল রান, বাঁ দিকে সাহালকে গুছিয়ে দেন। সাহাল গোলে শট নিলেও তা গোলরক্ষকের হাতে। যদিও হায়দরাবাদ এফসির তাতে কোনও লাভ হয়নি। ফিরতি বল ক্লিয়ার করার মতো পরিস্থিতিতে ছিলেন না। তাড়াহুড়োয় বড় ভুল, নিজেদের জালেই বল ঢোকান স্টেফান স্যাপিক। প্রথমার্ধে শেষ দিকে আরও একটি গোল।
লিস্টন কোলাসোর ক্রস, ডাইভিং হেডারে গোল টম অ্যালড্রেডের। যদিও এই গোল নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলেন। রেফারি তাঁর সঙ্গে কথা বলার পর গোলের সিদ্ধান্ত দেন। ২ মিনিট কেন নষ্ট করা হল, এই নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। রিপ্লে-তে পরিষ্কার দেখা গিয়েছে, না কোনও অফসাইড, আর হ্যান্ডবলের তো সম্ভাবনাই নেই। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই যেন নিঃশ্বাস নেওয়ার জো নেই হায়দরাবাদ ফুটবলারদের। ৫০ মিনিটেই স্কোর লাইন ৩-০ করেন কামিংস। ম্যাকলারেনের পারফেক্ট পাস, পারফেক্ট ফিনিশ জেসনের। ফের একবার ব্যক্তিগত ভুলের খেসারত হায়দরাবাদের।
মোহনবাগান এ দিন মাত্র তিনটি গোল করলেও সুযোগ তৈরি হয়েছে একঝাঁক। ভাগ্য সঙ্গ দেয়নি। নয়তো বিশাল স্কোর লাইন হতে পারত। এরপর ১১ জানুয়ারি কলকাতা ডার্বি। যদিও বড় ম্যাচ নিয়ে নিরুত্তাপ মোহনবাগান কোচ মোলিনা। পরের ম্যাচ নিয়ে কী ভাবছেন? মোলিনার পরিষ্কার জবাব, ‘আমি আমার কাজ করব, যেমন অন্য ম্যাচের আগে করি। প্লেয়ারদের রেডি করব। কারও চোট রয়েছে কি না, কী পরিস্থিতি এসব নিয়ে ভাবব। আর কী!’