লিগ শিল্ড আগেই নিশ্চিত করেছিল মোহনবাগান। টানা দু-বার লিগ শিল্ড জয়ের ইতিহাসও গড়েছে। এর আগে কোনও টিম আইএসএলে টানা দু-বার লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। মোহনবাগানের মিশন অবশ্য শেষ হয়ে যায়নি। গত বার শিল্ড জিতলেও নকআউট ট্রফি হাতছাড়া হয়েছিল। এ বার জোড়া ট্রফিতেই নজর। ছন্দ হারাতে নারাজ মোহনবাগান। যদিও মুম্বইয়ের মাঠে মোহনবাগানের পরিসংখ্যান স্বস্তির ছিল না। মুম্বইয়ের মাঠে কখনও মুম্বই সিটি এফসিকে হারাতে পারেনি সবুজ মেরুন। এ বার ২-০ এগিয়ে থাকায় সম্ভাবনা প্রবল ছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ১০ জনের মুম্বইয়ের বিরুদ্ধেও ড্র।
মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ। প্রথমার্ধেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় হোসে মোলিনার টিম। ম্যাচের ৩২ মিনিটে জেমি ম্যাকলারেনের গোলে লিড নেয় মোহনবাগান। এক গোল কখনও সুরক্ষিত নয়। বিশেষ করে প্লে-অফ নিশ্চিত না হওয়া শক্তিশালী মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে তো আরও নয়। জেমির দিমি। ম্যাচের ৪১ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোস ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আরও রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি। ৫৭ মিনিটে একটি গোল শোধ করে মুম্বই সিটি এফসি। এক মিনিটের মধ্যেই দ্বিতীয় হলুদ তথা রেড কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মুম্বই সিটি এফসির উইঙ্গার বিক্রম প্রতাপ সিং। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার রেড কার্ড বিক্রমের। দু-বারই মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। ১০ জনের মুম্বই সিটি এফসি অবশ্য হাল ছাড়েনি। তাদের কাছে এটি মরণ বাঁচন ম্যাচ।
নির্ধারিত সময়ের শেষ দিকে সেট পিস পাঞ্চ করেছিলেন বিশাল কাইথ। যদিও সামনে থাকা ন্যাথান রডরিগজ আবারও শট নেন। বিশাল কাইথ হাত ছোঁয়ালেও গোল আটকাতে পারেননি। স্কোর লাইন ২-২ হয়। ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম দেওয়া হয়। শেষ দিকে কি আত্মতুষ্ট হয়ে পড়েছিল মোহনবাগান? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে।