Praful Patel: ফিফার নির্বাসনের পিছনে প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল প্যাটেল?

FIFA suspends AIFF: ভারতীয় ফুটবলে 'গ্রহণ' লেগেছিল আগেই। ১৫ অগস্ট মধ্যরাতে তা চরম পর্যায়ে পৌঁছল। সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে সাসপেন্ড করেছে বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা। এর পিছনে প্রাক্তন এআইএফএফ প্রধান প্রফুল প্যাটেলের হাত দেখছে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত সিওএ।

Praful Patel: ফিফার নির্বাসনের পিছনে প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল প্যাটেল?
প্রফুলের কলকাঠি?Image Credit source: Twitter
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 16, 2022 | 1:50 PM

নয়াদিল্লি: যে আতঙ্ক এতদিন চেপে বসেছিল, সোমবার গভীর রাতে সেটাই সত্যি হয়েছে। ‘তৃতীয় পক্ষে’র হস্তক্ষেপের কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে (AIFF) নির্বাসিত করেছে ফিফা। সতর্ক বার্তা আগেই দেওয়া হয়েছিল। ফিফা এআইএফএফ-কে নির্বাসনে পাঠাতে পারে, তা নিয়ে আগেই চিঠি এসেছিল ফেডারেশনের কাছে। এই পুরো ঘটনার পিছনে ফেডারেশনের প্রাক্তন সভাপতি প্রফুল প্যাটেলের (Praful Patel) হাত দেখতে পাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট নিয়োজিত কমিটি অব অ্যাডমিনিষ্ট্রেটর্স (CoA)। ফিফার হুমকি চিঠি পাওয়ার পর সম্ভাব্য শাস্তির কথা মাথায় রেখে প্রফুল প্যাটেলের বিরুদ্ধে গত সপ্তাহের বুধবার সুপ্রিম কোর্টে নিয়োজিক সিওএ দ্বারস্থ হয়েছিল অ্যাপেক্স কোর্টের। দাখিল করা হয় অবমাননার আবেদন (কনটেম্পট পিটিশন)। সিওএ-র দাবি, নিজে অপসারিত হওয়ার পর প্রাক্তন ফেডারেশন সভাপতির ‘দৌলতে’ ভারতীয় ফুটবলে অন্ধকার নেমে এসেছে।

এআইএফএফ থেকে আগেই অপসারিত হয়েছিলেন। পিটিশনে প্রফুল প্যাটলকে ফিফা এবং এএফসি থেকে সরানোর দাবি করেছে সিওএ। দুটি জায়গায় প্রফুল প্যাটেল যথাক্রমে এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। প্যাটেল ছাড়াও সিওএ আরও সাতজন ফুটবল প্রশাসকের নাম ওই পিটিশনে দিয়েছে। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করেছেন ওই ফুটবল কর্তারা। গত ৬ অগাস্ট ৩৫টি রাজ্য সংস্থার সঙ্গে প্রফুল প্যাটেল একটি বৈঠক করেন। সেটিকে আদালতের কাজে নাক গলানোর সামিল বলে পিটিশনে জানায় সিওএ। ফুটবল সংক্রান্ত সবরকম বিষয় থেকে প্রফুল প্যাটেলকে সরানোর আবেদন করা হয়েছে আদালতের কাছে। অর্থাৎ, ফিফার চিঠির জন্য সরাসরি প্রফুল প্যাটেলকে দায়ী করেছিল সিওএ। মঙ্গলবার ভারতীয় ফুটবল যে অনিশ্চয়তার অকূল পাথারে পড়ল তার জন্য দায়ী প্রাক্তন এআইএফএফ সভাপতি!

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে ফেডারেশন সংক্রান্ত মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়েছিল। সিওএ-র অভিযোগ বিচারপতি ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সূর্যকান্ত ও এএস বোপান্নার বেঞ্চে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আগেই নেমে এল ফিফার শাস্তির খাঁড়া। এই পরিস্থিতিতে সব কাজ ফেলে শীর্ষ আদালত ফেডারেশনের সমস্যা সংক্রান্ত বিষয়গুলির শুনানিতে সত্বর করতে রাজি হয় কি না সেটাই দেখার।