ডার্বি জিতেও কৃষ্ণাদের ফোকাসে হায়দরাবাদ ম্যাচ

Feb 20, 2021 | 6:22 PM

শনিবার বিকেলেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন রয় কৃষ্ণারা।

ডার্বি জিতেও কৃষ্ণাদের ফোকাসে হায়দরাবাদ ম্যাচ
ডার্বি জিতেও কৃষ্ণাদের ফোকাসে হায়দরাবাদ ম্যাচ। (সৌজন্যে-আইএসএল টুইটার)

Follow Us

মারগাও: বড় ম্যাচ (ISL Derby) জিতেও কোনও ছুটি নেই ফুটবলারদের। ৪৮ ঘণ্টা পরই নয়া চ্যালেঞ্জ। সোমবার সামনে হায়দরাবাদ এফসি। শীর্ষস্থান ধরে রাখতে হলে হায়দরাবাদকে হারাতেই হবে। লিগের শীর্ষস্থান ধরে রেখে এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলাই যে পাখির চোখ হাবাসের। শনিবার বিকেলেই অনুশীলনে নেমে পড়লেন রয় কৃষ্ণারা। বড় ম্যাচ জিতে অবশ্য উচ্ছ্বসিত সবুজ-মেরুনের তিন গোলদাতা। শুক্রবার সন্ধেয় লাল-হলুদের জালে বল জড়ান রয় কৃষ্ণা, ডেভিড উইলিয়ামস এবং জাবি হার্নান্ডেজ।

 

 

এটিকে মোহনবাগানের (ATK Mohun Bagan) সুপারস্টার রয় কৃষ্ণা বলেন, ‘শুক্রবারের ডার্বি জয় আমার ফুটবল জীবনের অন্যতম সেরা মুহূর্ত। স্মরণীয় হয়ে থাকবে এই ডার্বি। নিজে গোল করেছি, গোলের পাস বাড়িয়েছি এবং ম্যাচের সেরাও হয়েছি। নিঃসন্দেহে এটা ভালোলাগা। তবে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের জন্য স্মরণীয় হয়ে এই বড় ম্যাচ। এই ম্যাচটা জেতার জন্য সমর্থকেরা উদগ্রীব হয়ে ছিলেন। নিজেদের হৃদয়, আবেগ সব কিছু বাজি রাখে প্রিয় দলকে এই ম্যাচটা জিততে দেখার জন্য। সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভাল লাগছে। তাই ডার্বির এই সাফল্য সমর্থকদের উৎসর্গ করতে চাই আমি।’

 

 

এরই সঙ্গে হাবাসের প্রাণভোমরা যোগ করেন, ‘টানা ৬ ম্যাচে গোল এর আগেও করেছি। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পেরে ভাল লাগছে। আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়েছে। সোমবার আরও একটা কঠিন ম্যাচ খেলতে নামব। অন্য ম্যাচের মতো হায়দরাবাদ ম্যাচেও গোল করে দলকে জেতাতে তৈরি।’ রয় কৃষ্ণা এও বলেন, ‘প্রত্যেকবারই মরসুম শুরুর সময় শেষ মরসুমের পারফরম্যান্সকে টপকে যাওয়ার শপথ নিয়ে মাঠে নামি। গতবছরের ১৫ গোলের রেকর্ডকে টপকে যাওয়াই এ বারে প্রধান লক্ষ্য। গোল করার নেপথ্যে রয়েছে দলগত সংহতি। তাই গোল করাটাকে আমি বোনাস হিসেবেই দেখি। আশা করি, সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েই টুর্নামেন্ট শেষ করতে পারব।’

 

 

এটিকে মোহনবাগানের হয়ে ডার্বিতে দ্বিতীয় গোলটি করেন ডেভিড উইলিয়ামস। বড় ম্যাচে গোল করে উচ্ছ্বাসে ভাসছেন তিনিও। ডার্বিতে নিজের গোল প্রসঙ্গে ডেভিড উইলিয়ামস বলেন, ‘যে কোনও ফুটবলারের কাছেই ডার্বির গোল স্মরণীয় হয়ে থাকে। তবে গতকাল আমার মায়ের জন্মদিন ছিল। গোলটা আমি আমার মা-কেই উৎসর্গ করেছি। তবে আফশোস এটাই যে, এই জয়টা ফুল হাউস যুবভারতীর সামনে হলে ভালোলাগার পরিমাণটা দ্বিগুণ হত। যুবভারতীর পরিবেশ এবং দর্শকদের উন্মাদনাকে গতকাল খুব মিস করেছি।’

আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ কঠিন হলেও অসম্ভব নয়: শঙ্করলাল

এরই সঙ্গে ডেভিড উইলিয়ামস বলেন, ‘হয়তো আমার গোলটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওই গোলটাই মানসিক ভাবে এসসি ইস্টবেঙ্গলকে চাপে ফেলে দিয়েছিল। সেই সঙ্গে আমাদের আত্মবিশ্বাসও কয়েক যোজন বাড়িয়ে দিয়েছিল। আরও গোল হলে ভাল লাগত।’

 

 

পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেই শুক্রবার গোল করেছিলেন জাবি হার্নান্ডেজ। গোল করে চার আঙুল উঁচিয়ে অভিনব সেলিব্রেশনও করেছিলেন এই স্প্যানিশ ফুটবলার। কিন্তু তার কারণ কী? রহস্য ফাঁস করলেন জাবি নিজেই। তিনি বলেন, ‘দলের কোটি কোটি সদস্য-সমর্থক এবং আমার স্ত্রীর কথা ভেবেই ওই সেলিব্রেশন। ওরা মাঠে থাকলে উচ্ছ্বাসে ভাসত। ওদের কথা বারবার মনে পড়ছিল। ১-১ হওয়ার পরও আমাদের উপর কোনও চাপ ছিল না। আমাদের নিজেদের প্রতি আত্মবিশ্বাস ছিল। ম্যাচটা যে জিতে মাঠ ছাড়ব, সে ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। বিরতির সময় মাথা ঠাণ্ডা এবং রক্ষণ অটুট রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন কোচ। আর বলেছিলেন গোল করার জন্য ঝাঁপাতে। নিজেদের লক্ষ্যে আমরা সচেষ্ট থাকতে পেরেছি।’

Next Article