Kolkata Football: মোহনবাগান দিবস না ইস্টবেঙ্গল দিবস? এগিয়ে কারা, ময়দানে আলোচনা তুঙ্গে!
East Bengal Day Celebration: মোহনবাগানের ২৯ জুলাই এবার পালিত হয় নেতাজি ইন্ডোরে। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। মোহনবাগানে সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ আর ইমনের পারফরম্যান্স ছিল। ইস্টবেঙ্গলে পারফর্ম করলেন লাল-হলুদ ভক্ত মনোময় ভট্টাচার্য।

কলকাতা: ২৯ জুলাই আর ১ অগস্ট। মোহনবাগান দিবস আর ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ময়দানে দুই প্রধানের পিঠোপিঠি দুই উৎসব। কে কাকে টেক্কা দিল? বছরভর ময়দানে এই আলোচনা চলে। ফুটবলের বাইরেও ক্লাব কর্তারা কতটা জাঁকজমক ভাবে অনুষ্ঠান করতে পারলেন, আপ্যায়ন করতে পারলেন তা নিয়ে চলে চর্চা। মোহনবাগানের ২৯ জুলাই এবার পালিত হয় নেতাজি ইন্ডোরে। ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। মোহনবাগানে সৌরেন্দ্র-সৌম্যজিৎ আর ইমনের পারফরম্যান্স ছিল। ইস্টবেঙ্গলে পারফর্ম করলেন লাল-হলুদ ভক্ত মনোময় ভট্টাচার্য। সদস্য সমর্থকদের ভিড় দুই প্রধানের অনুষ্ঠানেই ছিল চোখে পড়ার মতো। গত কয়েক বছর মাঠের পারফরম্যান্স বা ট্রফি যাই বলুক, এই সমগ্র বিষয় মিলিয়ে মোহনবাগানের চেয়ে ইস্টবেঙ্গলকে সামান্য এগিয়ে রাখছে ময়দান।
ইস্টবেঙ্গলের ভারতগৌরব সম্মান দেওয়া হল ভারতের প্রাক্তন হকি অধিনায়ক পিআর শ্রীজেশকে। দেশের হয়ে অলিম্পিক পদক পেয়েছেন শ্রীজেশ। তাঁকে সম্মান জানানো হল। ইস্টবেঙ্গলের এই সম্মানে অভিভূত শ্রীজেশ। বাংলার সন্তোষজয়ী কোচ সঞ্জয় সেনকেও সংবর্ধিত করে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। যে সম্মান পেয়ে অভিভূত সঞ্জয় সেন বলেই দিলেন, ‘ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে আমার ১ শতাংশও অবদান নেই। এই কাজ সারা ভারতে একমাত্র ইস্টবেঙ্গলের পক্ষেই সম্ভব। এই সম্মান পেয়ে আমি অভিভূত। যদি কখনও সুযোগ হয়, ফিরিয়ে দেওয়ার সুযোগ আসে, তাহলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে সুদে আসলে পুষিয়ে দেব।’
ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও মঞ্চে উঠে বলে দিলেন, ‘ক্রীড়ামন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ময়দানের সমস্ত ক্লাবেই আমার যাতায়াত। তবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব কখনও অতীতকে ভুলে যায় না। প্রাক্তন ফুটবলারদের মঞ্চে তুলে সংবর্ধিত করতে জানে, সম্মান দিতে জানে। আর এই ভারতগৌরব সম্মান শুধুমাত্র এই ক্লাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেনি। ভারতবর্ষে সমস্ত নক্ষত্রের সম্মানিত করেছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব। বাংলার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, ঝুলন গোস্বামী, বাচেন্দ্রী পাল, লিয়েন্ডার পেজ থেকে মহম্মদ হাবিব, কপিল দেব, রতন টাটা, ধনরাজ পিল্লাই, পিআর শ্রীজেশ। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সম্মান দিতে জানে। এটাই অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের পার্থক্য।’ নাম না করে কোন ক্লাবকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য কররেন ক্রীড়ামন্ত্রী তা সহজেই অনুমেয়।
ইস্টবেঙ্গলের প্রতিষ্ঠা দিবসে কোচ অস্কার ব্রুজো থেকে দলের ফুটবলাররা উপস্থিত ছিলেন। বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মান পাওয়া সৌভিক চক্রবর্তীও উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে শহরে থেকেও মোহনবাগান দিবসে গরহাজির ছিলেন বর্ষসেরা ফুটবলারের সম্মান পাওয়া আপুইয়া। ক্লাব কর্তারা সেই বিতর্ক ঢাকার চেষ্টা করলেও, ময়দানী টক্করে এক্ষেত্রে সবুজ-মেরুনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে লাল-হলুদ। এমনকি মোহনবাগানের যে কোনও অনুষ্ঠানেই সচরাচর বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্তাদের দেখা না গেলেও, ইস্টবেঙ্গলের প্রত্যেক অনুষ্ঠানেই ইনভেস্টর কর্তাদের চোখে পড়ে। এসব মিলিয়েই কি ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে রাখা যায়? ময়দানে আলোচনা তুঙ্গে।
