দোহা: কাতারে বিশ্বকাপ শুরু হতে বাকি আর মাত্র ১১ দিন। লিওনেল মেসির নেতৃত্বে এই বিশ্বকাপ অভিযানে নামবে আর্জেন্টিনা। সম্ভবত এটিই মেসির শেষ বিশ্বকাপ। এর আগে যে কটি বিশ্বকাপে মেসি খেলেছেন, সে সময় তিনি ছিলেন বার্সেলোনার ফুটবলার। এই প্রথম বার সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে। প্রথম বার বার্সেলোনা ব্যতীত অন্য ক্লাবের ফুটবলার হিসাবে বিশ্বকাপ খেলবেন তিনি। প্যারিস সাজাঁর তারকা হিসাবে কাতারে আর্জেন্টিনাকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্যে নামবেন তিনি।
২০০৬ সালে প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলেছিলেন মেসি। তখন বার্সার হয়ে মাঠে নেমে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখানো শুরু করেছিলেন। সেই বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেছিলেন মেসি। বিশ্বকাপে নামার আগে বার্সার হয়ে মেসি খেলেছিলেন চেলসির বিরুদ্ধে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাউন্ড অব ১৬-এর সেই ম্যাচ ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল। সেই ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন এলএম টেন। ২৩ মিনিটে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এর পর ক্লাবের হয়ে আর মাঠে নামেননি। চোট সারিয়ে একেবারে বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন।
২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপে ম্যাচে নামার আগে লা লিগার ম্য়াচ খেলেছিলেন মেসি। ১৬ মে ভাল্লাদলিদের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ ৪-০ গোলে জিতেছিল বার্সেলোনা। সেই ম্যাচে জোড়া গোল করেছিলেন মেসি। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা রানার্স হয়েছিল। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার খুব কাছে পৌঁছেও শেষ রক্ষা হয়নি। বিশ্বকাপ শুরুর আগে অ্যাটলেকিটো মাদ্রিদের বিরুদ্ধে ক্লাব ফুটবলের ম্যাচ খেলেছিলেন। ১-১ গোলে অমীমাংসিত ছিল লা লিগার সেই ম্যাচ। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বকাপ অভিযানের আগেও লা লিগার ম্যাচই খেলেছিলেন তিনি। তখনও তিনি বার্সার এক নম্বর তারকা। সেই ম্যাচে রিয়াল সোসিদাদকে ১-০ গোল হারায় বার্সা। ম্যাচে ৬৭ মিনিটে পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন মেসি। কিন্তু এ বছর বার্সার হয়ে ম্যাচ খেলার পর বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হচ্ছে না মেসির। প্যারিস সাজাঁর হয়ে খেলার পর কাতারে দেখা যাবে মেসিকে। জীবনের শেষ বিশ্বকাপে নেমে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন্স মেসি হতে পারবেন না কি না, তা জানতে অপেক্ষা আর কয়েক দিনের।