Mohun Bagan: ক্রীড়া লাইব্রেরি উদ্বোধনেই বিরাট সুখবরের আভাস পেল মোহনবাগান সমর্থকরা
Mohun Bagan Library: স্পোর্টস লাইব্রেরি উদ্বোধনে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকল বেশ কয়েকটি বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম, মোহনবাগানের নামের আগে থেকে 'এটিকে' সরে যাওয়ার আভাস মিলল পুরোদমে। দীর্ঘদিন ধরেই এটিকে মোহনবাগান ইসুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সমর্থকরা।
কলকাতা: ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকল কলকাতা ময়দান। এই প্রথম ময়দানে ক্রীড়া লাইব্রেরির উদ্বোধন। দু’দিন আগে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে গ্রন্থাগারের উদ্বোধন করা হয়। মোহনবাগান ক্লাবে সম্পূর্ণরূপে ক্রীড়া লাইব্রেরির উদ্বোধন করা হল। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস উপস্থিত থাকেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এ ছাড়া তিন ক্রীড়া সাংবাদিককে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করে মোহনবাগান ক্লাব। বিভিন্ন ধরনের খেলা সংক্রান্ত বই পাওয়া যাবে এই গ্রন্থাগারে। বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষার বই হাতে পাবেন পাঠকরা। বর্তমান যুগে স্পোর্টস মেডিসিন বা স্পোর্টস সায়েন্স অনেক উন্নত হয়ে উঠেছে। তাই সেই সংক্রান্ত বইও পাওয়া যাবে এই স্পোর্টস লাইব্রেরিতে। শুধু মোহনবাগান নয়, যে কোনও দলের সমর্থকরাই এই গ্রন্থাগার থেকে বই সংগ্রহ করতে পারবেন। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
স্পোর্টস লাইব্রেরি উদ্বোধনে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকল বেশ কয়েকটি বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম, মোহনবাগানের নামের আগে থেকে ‘এটিকে’ সরে যাওয়ার আভাস মিলল পুরোদমে। দীর্ঘদিন ধরেই এটিকে মোহনবাগান ইসুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন সমর্থকরা। মাঠে, মাঠের বাইরে কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ভাবে মোহনবাগানের নামের আগে থেকে ‘এটিকে’ সরানোর দাবি তুলেছেন। ‘হচ্ছে’, ‘হবে’ করে কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা মাস। নতুন কমিটি ক্ষমতায় আসার পর আশ্বাস দিয়েছিল, মোহনবাগানের নামের আগে থেকে এটিকে সরানোর জন্য যাবতীও প্রচেষ্টা চালাবে তারা। সেই মতো আলাদা কমিটিও তৈরি হয়। এটিকে মোহনবাগানের অন্যতম ডিরেক্টর সঞ্জীব গোয়েঙ্কাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন ক্লাবকর্তারা। সেই বরফ নাকি অনেকটাই গলে গিয়েছে। সেই আভাস মিলল এ দিনের অনুষ্ঠানে। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত ও ক্লাবের সহ সভাপতি কুণাল ঘোষ তেমনই ইঙ্গিত দিলেন। আইনি প্রক্রিয়া অনেকটাই শেষ হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি হয়তো সরকারি ভাবে সেই সুখবর ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
মোহনবাগান ক্লাবে এ দিন উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সচিব সৃঞ্জয় বসু। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ডিডি-টুম্পাইকে একফ্রেমে বেশ খোশমেজাজে দেখা গেল। দেখে মনে হল, সম্পর্কের বরফ হয়তো অনেকটাই গলেছে। এমনকি স্টেজ থেকে ‘বন্ধু’ সৃঞ্জয়কে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে কাছে ডাকলেন দেবাশিস। সামনাসামনি একে অপরের প্রশংসাও করলেন। গত বছর নির্বাচনের সময় ডিডি-টুম্পাই সম্পর্কে যে ফাটল ধরেছিল, তা হয়তো এখন অনেকটাই মজবুত হয়েছে। নতুন কমিটির ‘ভালো’ কাজের সুনামও গাইলেন সৃঞ্জয়। প্রয়াত বাগান সচিব অঞ্জন মিত্রের একটা কথা ময়দানে আজও মিথ হয়ে আছে- ‘ময়দানে কোনও কিছুই স্ট্যাটিক নয়।’