রবি রাতের মহারণের অপেক্ষায় ফুটবলবিশ্ব। ইউরোর নকআউটের হাইভোল্টেজ ম্যাচ। রোনাল্ডো বনাম লুকাকু। শেষ ষোলোর এমন এক মেগা ম্যাচ যা দেখে সম্প্রচারকারী সংস্থাও মুচকি মুচকি হাসছে। চরচরিয়ে টিআরপি বাড়ানোর সমস্ত উপকরণই এই ম্যাচে রয়েছে। আকর্ষণের যাবতীয় মসলা মজবুত।
পৃথিবীর অন্যতম ফিটেস্ট ম্যান ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর এটাই হয়তো শেষ ইউরো। সিআর সেভেন একের পর রেকর্ড গড়েছেন, ভেঙেছেন। লুকাকুদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগেও একটা রেকর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে পর্তুগিজ সুপারস্টার। একটা গোল করলেই আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতার শীর্ষে পৌঁছে যাবেন তিনি। বয়স ছত্রিশ প্লাস। গোল করার খিদে এখনও কমেনি। চলতি ইউরোয় এখনও সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় প্রথমেই রয়েছে রোনাল্ডোর নাম। এখনও নিজেদের ডি বক্স থেকে বিপক্ষের ডি বক্সে পৌঁছে যান কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে। বড় ম্যাচে বড় ফুটবলাররা নিজেদের জাত চেনান। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো তেমনই এক ফুটবলার। বিশ্বের এক নম্বর দলের বিরুদ্ধে নামার আগে নিজের বুটে শান দিচ্ছেন সিআর সেভেন।
প্রতিপক্ষ বেলজিয়াম দলে যখন তারকার ছড়াছড়ি, পর্তুগালের আশা ভরসা সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোই। দলটার নাবিক তো তিনিই। তিনিই তো পারেন দিকভ্রষ্ট নৌকাকে সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিতে। অতীতে বহুবার এমনটা হয়েছে। গ্রুপ অব ডেথ থেকে দলকে শেষ ষোলোয় তুলেছেন। এ বার বেলজিয়াম বাধা পেরোতে সেই রোনাল্ডোই আশা ভরসা।
গত পাঁচ বছরে ফুটবলবিশ্বকে চমকে দিয়েছে বেলজিয়াম। বিশ্ব ফুটবলে উল্কার গতিতে উত্থান হয়েছে লুকাকু-হ্যাজার্ডদের। রোনাল্ডোদের বিরুদ্ধে নামার আগে খাতায় কলমে এগিয়ে বেলজিয়ামই। টিম গেমই দলের প্রধান অস্ত্র। তবে নজরে অবশ্যই তিন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার। রোমেলু লুকাকু, কেভিন ডি ব্রুইন আর ইডেন হ্যাজার্ড।
রোনাল্ডো বনাম লুকাকু-ডি ব্রুইন-ইডেন হ্যাজার্ডদের বেলজিয়াম। ধারাবাহিকতা দেখিয়ে চলেছে টিনটিনের দেশ। পর্তুগাল ইউরো অভিযানের প্রথম থেকেই শক্ত গাঁট পেরোতে ব্যস্ত। বেলজিয়ামের টিম গেম নাকি রোনাল্ডো ম্যাজিক! ইউরোর শেষ ষোলোর মহাযুদ্ধে কে বাজিমাত করবে, তা দেখার অপেক্ষায় ফুটবলবিশ্ব।
আরও পড়ুন: EURO 2020 : এরিকসনকে ‘বুকে ‘নিয়ে বেল-দের বিরুদ্ধে নামবে ডেনমার্ক