বুয়েনস আইরেস: দিয়েগো মারাদোনার (Diego Maradona) মৃত্যু কি চিকিৎসকদের দায়িত্বজ্ঞানহীনতার কারণেই হয়েছে? এই অভিযোগ উঠেছে আগেই। এ নিয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে দু’বছর আগে ফুটবলের রাজপুত্রের মৃত্যুর পর থেকেই। মারা যাওয়ার যে মেডিক্যাল টিম মারাদোনার চিকিৎসার দায়িত্বে ছিল, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকলেন আইনজীবী। আর্জেন্টিনার (Argentina) বিশ্বকাপজয়ী (FIFA World Cup) কিংবদন্তি ফুটবলার মারা গেলেও সারা বিশ্ব জুড়ে তাঁর ভক্তের সংখ্যা একই থেকে গিয়েছে। গত বছর নভেম্বরে তাঁর প্রথম প্রয়াণ দিবস পালন করেছে মারাদোনার অগণিত ভক্ত। তখনও মাত্র ৬০ বছর বয়সে মারাদোনার মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি ফুটবল বিশ্ব। ৮ জনের মেডিক্যাল টিম দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলারের। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। সেখান থেকে হঠাৎই মারা যান তিনি।
মারাদোনা মারা যাওয়ার পরই তাঁর মৃত্যু রহস্য নিয়ে আর্জেন্টিনার সর্বোচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হন একজন। মারাদোনার পারিবারিক চিকিৎসক এবং নিউরোসার্জেন লিওপোল্ড লিউক, মনোবিদ অগাস্টিন কোসাকভ শেষ ক’দিন মারাদোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে তাঁদের দায়িত্ব যথাযথা পালন করেছিলেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কার্লোস দিয়াস, ন্যান্সি ফোর্লিনি ও বাকিরাও অভিযুক্ত হয়েছেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তদন্তও চলছে। এ বার আদালত তাঁদের হাজিরা দিতে বলল। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তা হলে নুন্যতম ২৫ বছর জেল হতে পারে ওই আট চিকিৎসকের।
একটা ব্যাপার নিয়ে ক্রমশ সন্দেহ বাড়ছে। অস্ত্রোপচারের পর বাড়িতেই রাখা হয়েছিল অসুস্থ মারাদোনাকে। প্রাক্তন আর্জেন্টেনিয়ান ফুটবলারের প্রতি ওই সময় আরও বেশি করে চিকিৎসকদের দায়িত্বশীল থাকা দরকার ছিল। যা হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার তা হলে বেঁচে যেতেন, এমনও বলা হচ্ছে। সারা বিশ্বে মারাদোনা অন্যতম জনপ্রিয়। অগণিত ভক্তের পাশাপাশি তাঁকে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার বলে ধরা হয়। ফুটবল ছাড়ার পর কোচ হিসেবেও দেখা গিয়েছে মারাদোনাকে। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনারও কোচ ছিলেন। কিন্তু কোচ হিসেবে দেশকে বিশ্বকাপ দিতে পারেননি। বিশৃঙ্খল জীবনযাপন, মাদক সেবনের কারণে প্রায়ই অসুস্থ হচ্ছিলেন। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের পর ভাবা হয়েছিল সুস্থ হয়ে আবার ফিরতে পারবেন তিনি। তা আর হয়নি।
আরও পড়ুন: IPL 2022: ‘বিরাটের পথে হাঁটুক রোহিত’, বড়সড় মন্তব্য মঞ্জরেকরের