প্যারিস: চ্যাম্পিয়ন্স লিগের (UEFA Champions League) ফাইনাল ঘিরে তুমুল বিতর্ক মাঠের বাইরে। যার প্রভাব পড়ে মাঠেও। খেলা শুরু হয় নির্ধারিত সময়ের আধঘণ্টা পর। প্যারিসে খেলা শুরুর আগে মাঠের বাইরে পুলিশ-দর্শক খণ্ডযুদ্ধের জেরেই ম্যাচ শুরুতে বিঘ্ন ঘটে। নিরাপত্তাজনিত কারণে ম্যাচ পিছিয়ে যায় ৩০ মিনিট। ঠিক কী ঘটেছিল? প্যারিসের স্তাদ দ্য ফ্রান্স স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল লিভারপুল (Liverpool)-রিয়াল মাদ্রিদ (Real Madrid)। ম্যাচের টিকিট অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। দুই দলের সমর্থকদের এই ম্যাচ ঘিরে ছিল তুমুল উন্মাদনা। তবে মাঠের লড়াই শুরু হওয়ার আগেই, মাঠের বাইরে ছাড়ায় উত্তেজনা। উয়েফার বিবৃতিতে জানা যায়, জাল টিকিট নিয়ে মাঠে ঢোকার চেষ্টা করে লিভারপুলের বেশ কয়েকজন সমর্থক। বিনা টিকিটেই নাকি অনেকে স্টেডিয়ামের ভেতরে প্রবেশ করে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামতে হয় স্থানীয় পুলিশকে। স্টেডিয়ামের গেটের বাইরে ব্যারিকেড তৈরি করে পুলিশ। এরপর উত্তেজনা আরও তীব্র আকার ধারণ করে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। খণ্ডযুদ্ধের জেরে আহত হন লিভারপুলের বেশ কয়েকজন সমর্থক। খেলা দেখতে আসা লিভারপুলের ডিফেন্ডার জোয়েল মাতিপের ভাই আর ভাইয়ের বউকেও হেনস্থার শিকার হতে হয়। মাতিপের ভাইয়ের বউ সন্তানসম্ভবা। তিনিও রেহাই পাননি। স্টেডিয়ামের গেটের বাইরে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকেন লিভারপুলের কিংবদন্তি ফুটবলার অ্যালান কেনেডি।
মাঠের বাইরের এই ঘটনায় লিভারপুলের সমর্থকদের যেমন দোষারোপ করছে একাংশ, তেমনই প্যারিসের পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। উদ্যোক্তাদের নিন্দায় সরব সোশ্যাল মিডিয়া। ম্যাচে লিভারপুলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়ালের হয়ে জয়সূচক গোল ভিনিসিয়াস জুনিয়র।
আরও পড়ুন: Indian Cricket: প্রোটিয়া সিরিজ থেকেই বাবল মুক্তি রাহুলদের