দোহা: নকআউট নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় নিজেদের শেষ ম্যাচে কার্যত রিজার্ভ টিম খেলিয়েছিল ফ্রান্স। নকআউট নিশ্চিত হওয়ার পর দলের তারকা মুখগুলিকে বিশ্রাম দেওয়ার পথে হাঁটছে দলগুলি। ক্যামেরুনের বিরুদ্ধে ম্যাচে তেমনই ভাবনাচিন্তা ব্রাজিল কোচ তিতের। একই পথে হাঁটছেন পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো স্যান্টোস। দলের প্রধান মুখ ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকে (Cristiano Ronaldo) আজ, শুক্রবার গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে নাও খেলাতে পারেন স্যান্টোস। তাহলে কি ধরে নেওয়াই যায় সন হিউং মিনদের বিরুদ্ধে দেখা যাবে না সি আর সেভেনকে? সাংবাদিক বৈঠকে এসে পর্তুগাল কোচ বললেন, রোনাল্ডোর খেলার সম্ভাবনা পঞ্চাশ শতাংশ। অর্থাৎ এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ম্যাচে বল গড়ানোর আগে কিছু ধারণা করে নেওয়া মুশকিল। উরুগুয়ের বিরুদ্ধে জয়ে নকআউট (Qatar World Cup 2022) নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে পর্তুগালের। নকআউটের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে দলের সেরা তারকাকে যতটা সম্ভব বিশ্রামে রাখা যায় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছেন স্যান্টোস।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে জিতে পর্তুগালের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য। কোরিয়ার কাছে এটি মরণ বাঁচন লড়াই। জিততেই হবে। ড্র হলেও রক্ষা নেই। জিতেও অঙ্কটা সোজা নয়। গ্রুপের অন্য একটি ম্যাচে ঘানাকে হার বা ড্র করতে হবে উরুগুয়ের কাছে। সব অঙ্ক মিলে গেলে তবেই শেষ ষোলোর ঘর পাকা হতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার। সনরা প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের সঙ্গে গোল শূন্য। ড্র করে। পরের ম্যাচে ঘানার কাছে ২-৩ গোলে হার। ২০১০ সালে শেষবার বিশ্বকাপের নকআউটে পৌঁছেছিল এশিয়ান জায়ান্টরা। গত দুটি আসরের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়। এ বারও সেই শঙ্কা শুরু হয়েছে। বিশ্বকাপের আসরে পর্তুগাল-দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হওয়া এই প্রথম নয়। ২০০২ সালে মুখোমুখি সাক্ষাতে ১-০ গোলে জেতে এশিয়ার দেশটি।
গ্রুপের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি ঘানা এবং উরুগুয়ে। নকআউটে যেতে হলে দুটো দলেরই জয়ের প্রয়োজন রয়েছে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয়স্থানে ঘানা। ১ পয়েন্ট নিয়ে সবার নীচে উরুগুয়ে। ২০১০ সালে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুটি দেশ। ম্যাচে সুয়ারেজ হ্যান্ডবল করায় পেনাল্টি পায় ঘানা। তবে গোল করতে পারেনি। এরপর টাইব্রেকারে ঘানাকে হারিয়ে সে বার সেমিতে চলে যায় উরুগুয়ে। সেই সুয়ারেজ এখনও ঘানার মানুষের কাছে সাক্ষাৎ ভিলেন। তাই শুক্রবারের ম্যাচের আগে দুটি দলের সমর্থকদের ঘিরে বেশ উত্তাপ ছড়াচ্ছে। ১২ বছর আগের শোধ তুলে শেষ ষোলোর পর্ব নিশ্চিত করতে পারে কি না আফ্রিকার দেশটি, সেটাই দেখার।