Kolkata Football: কর্তাদের সদস্যপদ খারিজ হোক, ময়দানে রাজনীতির খেলায় বিস্ফোরক সুব্রত-পার্থ

কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায় | Edited By: সঙ্ঘমিত্রা চক্রবর্ত্তী

Nov 07, 2024 | 1:53 PM

হঠাৎই খেলার দুনিয়া কেন রাজনীতির অলি গলিতে ঢুকে পড়ছে? সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে পার্থ সেনগুপ্ত, চেনা ময়দানের এমন বদল দেখে হতবাক।

Kolkata Football: কর্তাদের সদস্যপদ খারিজ হোক, ময়দানে রাজনীতির খেলায় বিস্ফোরক সুব্রত-পার্থ
Kolkata Football: কর্তাদের সদস্যপদ খারিজ হোক, ময়দানে রাজনীতির খেলায় বিস্ফোরক সুব্রত-পার্থ
Image Credit source: X

Follow Us

কলকাতা: তিন প্রধান সহ আইএফএ নজিরবিহীন ভাবে ভোটের ময়দানে নেমে পড়েছে। নৈহাটির উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দের সমর্থনে প্রচার চালিয়েছে ময়দানের তিন শতাব্দী প্রাচীন প্রতিষ্ঠান। আর তাতেই নানা মহল থেকে উঠে আসছে নানা মন্তব্য। এতেই ব্যাপারটা শেষ হচ্ছে না। সম্প্রতি বীরভূমের জেলা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনালে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মন্ডলকে। তৃণমূল নেতার পাশে তখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিষ গঙ্গোপাধ্যায়। যা নিয়ে চর্চা এবং বিতর্ক কম নেই। প্রশ্ন তুলছে নানা মহল, হঠাৎই খেলার দুনিয়া কেন রাজনীতির অলি গলিতে ঢুকে পড়ছে? সুব্রত ভট্টাচার্য থেকে পার্থ সেনগুপ্ত, চেনা ময়দানের এমন বদল দেখে হতবাক।

প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুব্রত ভট্টাচার্য বলে দিলেন, ‘সাংগঠনিক পদে যারা আছে, এটা তাদের দুর্বলতা। ক্লাবের মূল জায়গায় যারা থাকে, তাদেরই উচিত এই সমস্ত ব্যাপার কন্ট্রোল করা। তারাই ভয় পাচ্ছে। কীসের ভয়? রাজনীতি আর ক্রীড়ানীতি দুটো আলাদা বিষয়। এই সমস্ত কর্তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এসেছে। ক্লাবের ভালো করতে আসেনি। রাজ্য যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁদের তোষামোদ করছে। অবিলম্বে এই কর্তাদের সদস্যপদ কেড়ে নেওয়া উচিত। ধীরেন দে-র আমলে কিন্তু এটাই হত।’

ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন সচিব এবং নামী আইনজীবী পার্থ সেনগুপ্ত কিন্তু আরও গভীরে ঢুকলেন। তাঁর যুক্তি, ‘দলীয় লোক যদি মাঠ করেন, আপত্তির নয়। কখন তাঁরা মাঠের লোকদের ডেকে নিয়ে যান, যখন তাঁদের পায়ের তলার মাটি শক্ত নয়। সোমেন মিত্র মাঠ করেছেন। কখনও কংগ্রেস পরিচয় দেননি। মানস মুখার্জি মাঠ করেছেন নিজের পরিচয়ে। রাজনৈতিক পরিচয়ে নন। তাঁদের প্রয়োজন পড়েনি ক্লাবের কর্তাদের নিয়ে গিয়ে প্রোজেক্ট করা। যখন ক্লাব কর্তাদের ডেকে আনতে হয়, তখন বুঝতে হয় তাঁদের রাজনৈতিক আধিপত্য তলানিতে পৌঁছেছে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহমেডান ক্লাবের কয়েক কোটি সমর্থক। এই ক্লাবগুলোকে আসলে ব্যবহার করা হচ্ছে।’

সুব্রত এবং পার্থ যতই যুক্তি খাঁড়া করুন না কেন, তিন প্রধান কিন্তু নিজেদের জায়গা ছেড়ে এক বিন্দু নড়ছে না। কর্তারা কিন্তু বলছেন, রাজনীতির কারণে নয়, ক্রীড়া সংগঠক সনতের পাশে আছেন তাঁরা।

 

Next Article