দোহা : কাতার বিশ্বকাপ এবং বিতর্কের ইতি নেই। এতদিন মাঠের বাইরের নানা ইস্যুতে বারবার শিরোনামে উঠেছে কাতার। গত কয়েক দিন আরও অস্বস্তিতে ফেলেছে বিশ্বকাপের আয়োজক দেশকে। গ্রান্ট ওয়াহল, খালিদ আল-মিসালামের পর এ বার রজার পিয়ের্স। তৃতীয় সাংবাদিকের মৃত্যু হল কাতার বিশ্বকাপে। একের পর এক সাংবাদিকের মৃত্য়ুর কারণ নিয়ে অবশ্য ধোঁয়াশা কাটছে না। গত ২১ নভেম্বর তাঁর মৃত্যু হলেও, এই তথ্য় সামনে এসেছে এ দিনই। নিজের চ্যানেলের (আইটিভি) হয়ে ওয়েলস বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ম্য়াচে কাজও করেছেন। এরপর থেকেই ধোঁয়াশা ছিল পিয়ের্সকে নিয়ে। এ দিন সেই চ্যানেলের তরফেই পিয়ের্সের মৃত্য়ুর খবর জানানো হয়। বিস্তারিত TV9Bangla-য়।
সঞ্চালক মার্ক পোগাচ ঘোষণা করেন-‘কাতার থেকে খুবই দুঃখের একটা সংবাদ জানাতে চাই।’ এরপর যোগ করেন ‘আমাদের টেকনিকাল ডিরেক্টর রজার্স পিয়ের্স কেরিয়ারের অষ্টম বিশ্বকাপ কভার করতে কাতারে এসেছিলেন। তাঁর মৃত্য়ু হয়েছে। স্পোর্টস ব্রডকাস্টের দুনিয়ায় পিয়ের্স অতি পরিচিত নাম।’ ফুটবল বিশ্বকাপের মতো বড় টুর্নামেন্টের পাশাপাশি, রাগবি বিশ্বকাপ, ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টেও কভার করেছেন পিয়ের্স। সর্বদা মুখে হাসি লেগে থাকতো। তাঁর পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও জায়গা ছিল না, এমনটাও জানান সঞ্চালক।
রজার্স পিয়ের্সের মৃত্য়ুর কারণও জানানো হয়নি। এর আগে গ্র্যান্ট ওয়াহল এবং খালিদ আল-মিসালামের মতো এটাও যেন ধোঁয়াশাই। গ্রান্ট ওয়াহলের ক্ষেত্রে গুরুতর অভিযোগ করেছিলেন তাঁর ভাই। কাতারে নিষিদ্ধ সমকামিতা। গ্রান্ট রেনবো পোশাক পরে ম্যাচে আসায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন তাঁর ভাই। গ্রান্টের মৃতদেহ দেশে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। নিউ ইয়র্কের মেডিক্যাল সেন্টারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে গ্রান্টের দেহ। পরিবারের অনুরোধ, অটপ্সির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও মার্কিন ডিপ্লোম্য়াসি মুখপত্রের দাবি, মৃতদেহে এমন কিছু আঘাত চিহ্ন পাওয়া যায়নি, যা থেকে খুন বলে সন্দেহ করা যায়।