কলকাতা: কিছুটা চেষ্টা করছেন রোহিত শর্মা। হাফসেঞ্চুরি, সেঞ্চুরিও এসেছে। আর বাকি গল্পে নাম খুঁজে পাওয়া যাবে না। সূর্যকুমার যাদব ঝোড়া ইনিংস খেলেছেন এক-দুটো। কিন্তু কার্যকর হয়ে উঠতে পারেননি। ঈশান কিষাণ থেকে তিলক ভার্মা, টিম ডেভিড, কেউই সেই অর্থে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মুখ হয়ে উঠতে পারেননি। আর হার্দিক পান্ডিয়া? নতুন ক্যাপ্টেন এতটাই বিপর্যস্ত যে, তাঁকে নিয়ে নিত্যনতুন বিতর্ক রয়েছে। কিন্তু ধারাবাহিকতা নেই। এ হেন পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন যে খুব বেশি দূর এগোতে পারবে না, তা মোটামুটি নিশ্চিত। পরিস্থিতি যখন এমন, কেকেআরের মতো কঠিন প্রতিপক্ষের মুখে নামতে চলেছে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই ম্য়াচ যদি গৌতম গম্ভীরের টিম জিতে যায়, তা হলে প্লে-অফের অঙ্ক আরও পরিষ্কার হয়ে যাবে।
মুম্বই-কেকেআর ৩২বার মুখোমুখি হয়েছে আইপিএলে। কিন্তু নাইটদের ট্র্যাক রেকর্ড কখওনই ভালো নয়। ২৩বার হেরেছে কেকেআর। তার উপর আবার ওয়াংখেড়ে কখনওই কেকেআরের পয়া মাঠ নয়। ১০বার ওয়াংখেড়েতে খেলে মাত্র ১বার জিতেছে নাইটরা। অতীত দিয়ে অবশ্য এ বারের কেকেআরকে বিচার করা যাবে না। বরং শ্রেয়স আইয়ারের টিম এ বারের কাপ জেতার অন্যতম দাবিদার। আজ কেকেআরের কাঁটা হতে পারেন একজনই, জসপ্রীত বুমরা। দুরন্ত ফর্মে থাকা বুমরা প্রতি ম্যাচেই চমৎকার বোলিং করছেন। উইকেট যেমন পাচ্ছেন, তেমনই অভিজ্ঞ বুমরাকে খেলা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। গতি, স্লোয়ার, বাউন্সের চমৎকার মিশেল দেখা যাচ্ছে বুমরার বোলিংয়ে। কেকেআরের মতো সফল টিমের বিরুদ্ধে তিনি আরও একবার নিজেকে মেলে ধরার চেষ্টা করবেন, ভালোই জানেন গম্ভীর।
কেকেআর বেশ কিছু প্লাস পয়েন্ট এ বার অন্য টিমের সঙ্গে ফারাক গড়ে দিচ্ছে। এক, ওপেনিং জুটির ফর্মে থাকা। সুনীল নারিন আর ফিল সল্ট দুরন্ত শুরু দিচ্ছেন প্রতি ম্যাচেই। যা এগিয়ে দিচ্ছে কেকেআরকে। আত্মবিশ্বাসও পেয়ে যাচ্ছে টিম। ক্যাপ্টেন শ্রেয়সও ছন্দে রয়েছেন। রান পাচ্ছেন আন্দ্রে রাসেলও। মিচেল স্টার্ক পুরোপুরি চিন্তামুক্ত করতে না পারলেও কেকেআরের বোলিং বেশ ভালোই পারফর্ম করছে। বিশেষ করে দুই স্পিনার নারিন ও বরুণ চক্রবর্তী। এরই মধ্যে একটাই খারাপ খবর, আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ মায়ের অসুস্থতার কারণে কাবুল উড়ে গিয়েছেন। ওয়াংখেড়েতে মুম্বই ম্যাচে কেকেআরের টিমে একটাই বদল হতে চলেছে। এক ম্যাচ নির্বাসিত হর্ষিত রানার বদলে বেগুনি জার্সিতে প্রথম খেলতে পারেন চেতন সাকারিয়া।