কলকাতা: আর কয়েকদিন পরই প্যারিস প্যারালিম্পিকের (Paris Paralympics) ঢাকে কাঠি। কর্নাটকের মেয়ে রক্ষিতা রাজুকে (Rakshitha Raju) সেখানে দেখা যাবে। মেয়েদের ১৫০০ মিটার T-11 বিভাগে অ্যাকশনে দেখা যাবে তাঁকে। প্যারিস প্যারালিম্পিকে নামার আগেই ইতিহাস গড়েছেন তিনি। কারণ এই টুর্নামেন্টের ইতিহাসে রক্ষিতাই প্রথম অ্যাথলিট যিনি ভারতের হয়ে এই ১৫০০ মিটার T-11 বিভাগে নামবেন। জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন রক্ষিতা। কিন্তু আঁধার তাঁর খেলাধূলার প্রতি টান কমাতে পারেনি। ফলে প্যারিস প্যারালিম্পিকে পদকের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন রক্ষিতা।
অত্যন্ত অল্প বয়সে মা-বাবাকে হারান রক্ষিতা। মামা দিদার কাছে মানুষ তিনি। দৃষ্টিহীনদের স্কুল আশাকিরণে পড়ার সময় থেকেই রক্ষিতার অ্যাথলেটিক্সে ঝোঁক বাড়ে। এরপর তিনি তাঁর স্কুলের শারীরশিক্ষার শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে অনুশীলন করতে শুরু করেন। তাঁর কোচ ও গাইড রাহুল বালকৃষ্ণ।
কর্নাটকের এই দৃষ্টিহীন রানার হানঝাউ প্যারা এশিয়ান গেমসে সোনা জিতেছিলেন। এ বার তাঁর লক্ষ্য প্যারালিম্পিকের মঞ্চ থেকে সোনা নিয়ে দেশে ফেরা। CBM India-র পক্ষ থেকে সাপোর্ট পান রক্ষিতা। এটি একটি অলাভজনক সংস্থা, যেখানে বিশেষভাবে সক্ষমদের খেলাধূলার প্রতি আগ্রহ থাকলে সমর্থন করা হয়। ২২ বছর বয়সী রক্ষিতা প্যারিসে যেতে পেরে উচ্ছ্বসিত। তিনি ডেকান হেরল্ডকে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সেরা অ্যাথলিটদের সঙ্গে লড়ব ভেবে আমি খুব উচ্ছ্বসিত। এই মেগা ইভেন্টে আমি পদক জিততে চাই। জানি সেই সুযোগও রয়েছে। এ বার আমি সোনা জেতার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করব।’
রক্ষিতা রাজু হানঝাউ প্যারা এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার পর দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন। শুধু তাই নয়, দেশের প্যারা অ্যাথলিটরা মোদীর বাসভবনেও গিয়েছিলেন। সেই সময় রক্ষিতার সঙ্গে কথা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর।