লন্ডন: জালিয়াতির অভিযোগ টেনিস কিংবদন্তি বরিস বেকারের (Boris Becker) বিরুদ্ধে। কপর্দক শূন্য হয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন ২০১৭ সালে। তখন তিনি নাকি নিজের স্থাবর অস্থাবর কী রয়েছে, তার পুরো তালিকা দেননি। আর তার ভিত্তিতেই ঘোষণা করা হয় তিনি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। বেকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর মামলা হয় আদালতে। তার তদন্ত নেমেই দেখা গিয়েছে, সত্যিই তাঁর সম্পতির পুরো খতিয়ান দেননি বেকার। ১৯৮৫ ও ১৯৮৯ সালের উইম্বলডন (Wimbledon) চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ট্রফি এবং ১৯৯২ সালে অলিম্পিকে (Olympics) জেতা সোনার পদকের কথা জানাননি তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের বিলাসবহুল মার্সিডিজ বিক্রি করে পাওয়া ১.১৩ মিলিয়ন ইউরো লুকিয়েছিলেন। জার্মানিতে থাকা তাঁর দুটো সম্পত্তির পাশাপাশি প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ ইউরোর ব্যাঙ্ক লোনও লুকিয়েছিলেন প্রাক্তন টেনিস তারকা।
জামিনে ছাড়া পাওয়া বেকার কিন্তু যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাতেও কিন্তু অভিযোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না। বরং তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ ক্রমশ মাথাচাড়া দিচ্ছে। আইনজীবী রেবেকা চাকলে বলছেন, ‘বেকার নিজের সম্পত্তির অনেকটাই গোপন করেছেন। সেই কারণেই সে সব খুঁজে বের করা হচ্ছে। এবং এই লুকনোর কাজটা কিন্তু দেউলিয়া ঘোষণার আগে ও পরে করেছেন উনি।’
টেনিস ইতিহাসে বরিস বেকার অত্যন্ত জনপ্রিয় তারকা। ৬টা গ্র্যান্ড স্লাম দখলে রয়েছে তাঁর। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস প্লেয়ার ৪৯টা খেতাব জিতেছেন। ৭৭বার ফাইনালে উঠেছেন। ১৬ বছরের কেরিয়ার জুড়ে অনেক সাফল্য রয়েছে। সেই তিনিই এই কাণ্ডে জড়িয়েছেন, অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। টেনিস ছাড়ার পর বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন। ধারাভাষ্যও দিয়েছেন। সেই তিনিই কেন নিজের সম্পত্তি লুকোলেন, তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। বেকার সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও তাঁকে কিন্তু আদালত ক্লিনচিট দিচ্ছে না।
আরও পড়ুন: Lakshya Sen: বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ১০-এ ঢুকে পড়লেন লক্ষ্য সেন