Boris Becker: ‘আমার পক্ষে অর্থ রোজগার সম্ভব নয়’, আদালতে বললেন বেকার

TV9 Bangla Digital | Edited By: কৌস্তভ গঙ্গোপাধ্যায়

Mar 30, 2022 | 8:30 AM

লন্ডনের আদালতে বেকার বলেন, 'আমার পক্ষে অর্থ রোজগার করা আর সম্ভব নয়। আমার বদনামের কারণেই আর কোনও ভাবে অর্থ রোজগার করতে পারছি না। খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আগের মতো আর ব্র্যান্ড বেকার কাজ করে না। সেই ব্র্যান্ডও আর আমার সঙ্গে থাকতে চাইছে না।'

Boris Becker: আমার পক্ষে অর্থ রোজগার সম্ভব নয়, আদালতে বললেন বেকার
বরিস বেকার। ছবি: টুইটার
Image Credit source: Twitter

Follow Us

লন্ডন: জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল টেনিস কিংবদন্তি বরিস বেকারের (Boris Becker) বিরুদ্ধে। কপর্দক শূন্য হয়ে নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করেছিলেন ২০১৭ সালে। তখন তিনি নাকি নিজের স্থাবর অস্থাবর কী রয়েছে, তার পুরো তালিকা দেননি। সেই ভিত্তিতেই ঘোষণা করা হয়, তিনি দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন। বেকারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর মামলা হয় আদালতে। টেনিস ইতিহাসে বরিস বেকার অত্যন্ত জনপ্রিয় তারকা। ৬টা গ্র্যান্ড স্লাম দখলে রয়েছে তাঁর। বিশ্বের প্রাক্তন এক নম্বর টেনিস প্লেয়ার ৪৯টা খেতাব জিতেছেন। ৭৭বার ফাইনালে উঠেছেন। ১৬ বছরের কেরিয়ার জুড়ে অনেক সাফল্য রয়েছে। সেই তিনিই এই কাণ্ডে জড়িয়েছেন, অনেকেই বিশ্বাস করতে পারছেন না। টেনিস ছাড়ার পর বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করেছেন। ধারাভাষ্যও দিয়েছেন। সেই তিনিই কেন নিজের সম্পত্তি লুকোলেন, তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। বেকার সব অভিযোগ অস্বীকার করলেও তাঁকে কিন্তু আদালত ক্লিনচিট দেয়নি। তদন্তে নেমেই দেখা যায়, তাঁর সম্পতির পুরো খতিয়ান দেননি বেকার। ১৯৮৫ ও ১৯৮৯ সালের উইম্বলডন (Wimbledon) চ্যাম্পিয়ন ট্রফি, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ট্রফি এবং ১৯৯২ সালে অলিম্পিকে (Olympics) জেতা সোনার পদকের কথা জানাননি তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের বিলাসবহুল মার্সিডিজ বিক্রি করে পাওয়া ১.১৩ মিলিয়ন ইউরো লুকিয়েছিলেন। জার্মানিতে থাকা তাঁর দুটো সম্পত্তির পাশাপাশি প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ ইউরোর ব্যাঙ্ক লোনও লুকিয়েছিলেন প্রাক্তন টেনিস তারকা।

 

লন্ডনের আদালতে বেকার বলেন, ‘আমার পক্ষে অর্থ রোজগার করা আর সম্ভব নয়। আমার বদনামের কারণেই আর কোনও ভাবে অর্থ রোজগার করতে পারছি না। খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। আগের মতো আর ব্র্যান্ড বেকার কাজ করে না। সেই ব্র্যান্ডও আর আমার সঙ্গে থাকতে চাইছে না। কারণ সংবাদমাধ্যমেও ওদের অনেক সমালোচনা করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহেই সংবাদের শিরোনামে আসে আমার দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার খবর। তাই আমার পক্ষে অর্থ জোগার করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

 

জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরও অভিযোগ থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না বেকার। বরং তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ আরও মাথাচাড়া দিচ্ছে। আইনজীবী রেবেকা চাকলে এর আগে বলেছিলেন, ‘বেকার নিজের সম্পত্তির অনেকটাই গোপন করেছেন। সেই কারণেই সে সব খুঁজে বের করা হচ্ছে। এবং এই লুকনোর কাজটা কিন্তু দেউলিয়া ঘোষণার আগে ও পরে করেছেন উনি।’

 

 

আরও পড়ুন: Naomi Osaka: প্রথমবার মিয়ামি ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠার চ্যালেঞ্জ ওসাকার

Next Article