Ashleigh Barty: একা বার্টি নন, আরও ৫ টেনিস তারকা সরে গিয়েছিলেন মধ্যগগনে
কারও কারও উত্থান আচমকা হয়। তাঁর ছটায় মুগ্ধ করে দেন দুনিয়াকে। আবার দ্রুত চলেও যান। অ্যাশলি বার্টির হঠাৎ অবসর মনে পড়িয়ে দিচ্ছে এমন বেশ কিছু তারকার, যাঁরা সাফল্যের শীর্ষে থাকতে থাকতেই হঠাৎ সরে গিয়েছিলেন। কারা তাঁরা?
সিডনি: মাত্র ২৫-এই কি শেষ হয়ে যায় সাফল্যের খিদে? অ্যাশলি বার্টির (Ashleigh Barty) হঠাৎ অবসর সেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। মেয়েদের টেনিসের এক নম্বর প্লেয়ার সরে দাঁড়ালেন আচমকাই। বার্টির এই সিদ্ধান্ত রীতিমতো চমকে দিয়েছে টেনিস দুনিয়াকে। উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন লালন করেছেন ছেলেবেলা থেকে। গত মরসুমে সেই উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর অবসরের কথা জানিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর টিমকে। তবু সরে যাওয়া হচ্ছিল না। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন হয়তো তাঁকে টানছিল। কিংবা তাঁর টিম হয়তো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে খেলার জন্য রাজি করিয়ে ফেলেছিল বিশ্বের এক নম্বর টেনিস প্লেয়ারকে। তাতে নামলেন। এবং ৪৪ বছর পর প্রথম কোনও অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হলেন ওই টুর্নামেন্ট। তার পর আর পিছনে তাকাননি। টেনিস ব়্যাকেটের সঙ্গে পাকাপাকি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। টেনিসে অবশ্য বার্টিই প্রথম কেউ নন, যিনি আচমকাই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁরা কারা, তারই খোঁজ দিল ‘টিভি নাইন বাংলা’।
বিয়র্ন বর্গ
ছেলেদের টেনিস অন্যতম বিধ্বংসী টেনিস প্লেয়ার ধরা হয় বিয়র্ন বর্গকে। সাতের দশক এবং আটের দশকের শুরুতে বিশ্ব টেনিসে দাপিয়ে বেরিয়েছেন তিনি। ছ’বার ফরাসি ওপেন জিতেছেন। পাঁচবার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন। সুইডিশ তারকা এমনই ধংস্বাত্মক টেনিস খেলতেন যে, কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছিলেন। একমাত্র ইউএস ওপেন জিততে পারেননি। জন ম্যাকেনরো ছিলেন তাঁর অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই বর্গ ১৯৮৩ সালে মাত্র ২৬ বছর বয়সে হঠাৎই অবসর নিয়ে নেন।
মার্টিনা হিঙ্গিস
১৯৯৭ সালে সবচেয়ে কম বয়সে মেয়েদের টেনিস গ্র্যান্ড স্লাম জেতার রেকর্ড করেছিলেন। মাত্র ১৬ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতেছিলেন হিঙ্গিস। বিশ্বের এক নম্বর হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে তিনটে গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন। শুধু ফরাসি ওপেনটাই যা অধরা ছিল। দ্রুত তাঁর ট্রফি ক্যাবিনেটে পাঁচটা গ্র্যান্ড স্লাম জায়গা করে নিয়েছিল। সর্বকালের সেরা কারও আবির্ভাব হল কিনা, তা নিয়ে যখন কথা শুরু হয়েছে, তখনই চোটের কারণে টেনিস থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। হিঙ্গিসের বয়স তখন ২২। পরে আবার ফিরে এসেছিলেন টেনিসে। কিন্তু আর কখনও গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে ওঠা হয়নি টেনিস সুন্দরীর।
জাস্টিন হেনিন
বার্টির মতো তখন তিনিও ২৫। বার্টির মতোই তখন তিনিও বিশ্বের এক নম্বর টেনিস প্লেয়ার। ২০০৮ সালে আটটা গ্র্যান্ড স্লাম জেতার পর টেনিস থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। টানা খেলার ক্লান্তি নিতে পারছিলেন না। ফর্মও তেমন ছিল না। হেনিনের আচমকা অবসর টেনিস দুনিয়াকে চমকে দিয়েছিল।
অ্যান্ডি রডিক
১২ বছরের কেরিয়ার। ৩২টা খেতাব জেতা প্লেয়ার ২০১২ সালের ইউএস ওপেনের সময়ই ঘোষণা করেছিলেন, টেনিস আর নয়। তখন ফেডেরার এসে গিয়েছেন। নাদাল, জোকারও ধীরে ধীরে ডালপালা মেলছেন। রডিকের হয়তো মনে হয়েছিল, বিশ্বের এক নম্বর জায়গায় তিনি আছেন ঠিকই, কিন্তু নিরাপদ নয়। যে কোনও সময় চলে যেতে পারে। তার কেরিয়ার জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য ভালো লাগার মুহূর্ত নিয়েই সরে গিয়েছিলেন তিনি।
কিম ক্লিস্টার্স
২০০৫ সালে ইউএস ওপেন জিতেছিলেন। ৩৪টা ডব্লিউটিএ সিঙ্গল খেতাব সেই সঙ্গে। তবু মাত্র ২৩ বছর বয়সে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সেই ক্লিস্টার্স ফিরে এসেছিলেন আবার। প্রত্যাবর্তন অবশ্য নিরাশ করেনি তাঁকে। আরও দুটো ইউএস ওপেন চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। একটা অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।