নয়াদিল্লি: ইউকি ভামব্রি (Yuki Bhambri) ও রামকুমার রামানাথনের (Rankumar Ramanathan) হাত ধরে ডেভিস কাপের (Davis Cup) প্লে-অফে ডেনমার্কের বিরুদ্ধে দারুণ শুরু করল ভারত। প্রথম দিন দুটো সিঙ্গলসে জিতে আপাতত ২-০ এগিয়ে। প্রথম সিঙ্গলসে রামকুমার যেমন উড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর প্রতিপক্ষকে, ইউকিও তাই করেছেন। দুই ভারতীয় টেনিস প্লেয়ারই দারুণ ছন্দে ছিলেন। ঘরের মাঠে খেলার পূর্ণ সুবিধা নিয়েছেন। ২০১৭ সালের পর আবার ডেভিস কাপে খেলতে দেখা গেল ইউকি ভামব্রিকে। দীর্ঘদিন পর ভারতীয় টিমে ফিরেই চমৎকার পারফর্ম করেছেন তিনি। ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে দুই টেনিস প্লেয়ারকেই। ঘরের মাঠে ডেনিস প্লেয়ারদের থামানোর জন্য ঘাসের কোর্টে টাই রাখা হয়েছে। লো বাউন্সের সঙ্গে সে ভাবে মানিয়েও নিতে পারেননি তাঁরা। সব মিলিয়ে ভারত এখন অ্য়াডভান্টেজে রয়েছে।
শুরুতেই রামকুমার দুরন্ত পারফর্ম করেন। ৮২৪ ব়্যাঙ্কিংয়ের প্রতিপক্ষ ক্রিশ্চিয়ান সিগসগার্ডের বিরুদ্ধে স্ট্রেট সেটে জেতেন ভারতীয় প্লেয়ার। ৬-৩, ৬-২ জেতার পথে ক্রিশ্চিয়ান কোনও রকম প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি। দিল্লির জিমখানা ক্লাবে পুরো ম্যাচেই আধিপত্য ছিল রামকুমারের। তাঁর ছন্দই ইউকি ভামব্রিকে তাতিয়ে দেয়। মাইকেল ট্রপগার্ডের বিরুদ্ধে ৬-৪, ৬-৪ জেতেন তিনি। শনিবার সকালে রোহন বোপান্না-দ্বিবিজ শরণ ডাবলস খেলতে নামবেন ডেনমার্কের জুটি ফ্রেডেরিক নিয়েলসন-জোনাস ইঙ্গিল্ডসেনের বিরুদ্ধে। ভারত যদি ওই ম্যাচ জিতে যায়, তা হলে ওয়ার্ল্ড গ্রুপ-ওয়ানে সহজেই চলে যাবে। তবে ডাবলস টাইটা খুব সহজ হবে ভারতের জন্য। নিয়েলসন ২০১২ সালের উইম্বলডনের ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন।
প্রথম দিন দুটো সিঙ্গলস জিতে যাওয়ায় এখন পুরো টাপটাই ডেনমার্কের উপর। আগ্রাসী স্ট্র্যাটেজি নিয়েই যে ভারত ডেভিস কাপ টাই খেলতে নেমেছিল, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই আক্রমণাত্মক টেনিসটাই শনিবারও তুলে ধরতে চাইছে ভারতীয় টিম। ক্যাপ্টেন রোহিত রাজপাল বলেছেন, ‘ইউকির প্রথম সেটটা একটি কঠিন ছিল। কিন্তু ওই সেটটা থেকেই নিজের ক্লাস দেখানো শুরু করে দিয়েছিল ও। প্রথম ম্যাচটা জেতার পর দ্বিতীয়টাও আমরা জিতেছি। প্রথম দিনই ২-০ করে ফেলাটা আমাদের কাছে নিশ্চিত ভাবেই একটা বড় অ্যাডভান্টেজ। এখন কিন্তু পুরো চাপটাই ওদের উপর।’
চলতি বছরটা খুব যাচ্ছে রামকুমারের কাছে। বোপান্নার সঙ্গে একটা টুর্নামেন্টের ডাবলসে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। সেই তিনি প্রথম ম্যাচ জেতার পর বলেছেন, ‘সার্ভিসটা চমৎকার করতে পারছিলাম। ওটাই আমার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।’ আবার ইউকি ভামব্রি বলছেন, ‘পুরো ম্যাচটাতেই আমি আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমি নিজের খেলাটাকে তুলে ধরতে পেরেছি।’
আরও পড়ুন: Ranji Trophy: চালকের আসনে বাংলা