Ranji Trophy: চালকের আসনে বাংলা
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে চণ্ডীগড়। ব্যাট হাতে দাপট দেখানোর পর বল হাতেও ২ উইকেট সায়নশেখরের। আকাশদীপের বদলে মাঠে নেমে চণ্ডীগড়কে ঝটকা দিলেন নীলকন্ঠ দাসও। দিনের শেষে চণ্ডীগড়ের স্কোর ৬ উইকেটে ১৩৩। নীলকন্ঠ নিলেন ৩ উইকেট। সায়নশেখরের ২ উইকেট ছাড়া ১ উইকেট নেন মুকেশ কুমার।
কটক: রঞ্জি ট্রফিতে (Ranji Trophy) চালকের আসনে বাংলা (Bengal Cricket Team)। বরোদা, হায়দরাবাদকে হারানোর পর চণ্ডীগড়ের বিরুদ্ধেও জয়ের গন্ধ বঙ্গ ড্রেসিংরুমে। ব্যাটিং বিক্রমের পর বোলিং দাপট। বিপক্ষকে দাঁড়াতেই দেয়নি বাংলা। ব্যাট হাতে এ দিন অর্ধশতরান করেন মনোজ তিওয়ারি (Manoj Tiwari)। গতকালই অভিমন্যু ঈশ্বরন ১১৪, অনুষ্টুপ মজুমদার ৯৫ রানে আউট হন। আজ মনোজ-সায়নশেখর জুটি বাংলার স্কোরবোর্ডকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যায়। ব্যক্তিগত ৫৩ রানে আউট হন মনোজ। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে অপরাজিত ৯৭ রানের অনবদ্য ইনিংস সায়নশেখর মণ্ডলের। মুকেশ কুমার আউট হন ২৮ রানে। সায়ন-মুকেশ জুটি বাংলার স্কোরবোর্ডকে ৪০০ পার করিয়ে দেয়। ইনিংসে সাজানো ১৩টা বাউন্ডারি। বাংলার প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৩৭ রানে।
প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপর্যয়ের মুখে চণ্ডীগড়। ব্যাট হাতে দাপট দেখানোর পর বল হাতেও ২ উইকেট সায়নশেখরের। আকাশদীপের বদলে মাঠে নেমে চণ্ডীগড়কে ঝটকা দিলেন নীলকন্ঠ দাসও। দিনের শেষে চণ্ডীগড়ের স্কোর ৬ উইকেটে ১৩৩। নীলকন্ঠ নিলেন ৩ উইকেট। সায়নশেখরের ২ উইকেট ছাড়া ১ উইকেট নেন মুকেশ কুমার। শনিবার সকালে চণ্ডীগড়কে দ্রুত অলআউট করে ফলো অন দেওয়াই লক্ষ্য বাংলার।
ম্যাচের পর মনোজ বলেন, ‘দল হিসেবে আমরা ভালো পারফর্ম করছি। এতদিন পর্যন্ত আমরা ঠিক ভাবে ব্যাট করতে পারছিলাম না। এই ম্যাচে রানে ফিরতে মুখিয়ে ছিলাম। যাতে বোলাররাও অনেক চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারে। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিং বিভাগও ভালো পারফর্ম করেছে। বিপক্ষের ২০ উইকেট নেওয়ার আমাদের ক্ষমতা আছে। চণ্ডীগড়ের বাকি ৪ উইকেট নিয়ে বিপক্ষকে দুরমুশ করাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’
সেঞ্চুরি না পেলেও হতাশ নন সায়নেশখর। তিনি বলেন, ‘দলের জন্য কিছু করতে পেরে অবশ্যই ভালো লাগছে। আজ শুরুতে বল অনেকটা মুভ করছিল। তবে মনোজদা আমাকে গাইড করে। ধৈর্য্য ধরে ব্যাটিং করার পরামর্শ দেয়। সেঞ্চুরি না এলেও হতাশ নই।’
আরও পড়ুন: ICC Women’s World Cup 2022-এ কোন ৫ ভারতীয় ক্রিকেটারের ওপর থাকবে নজর?