প্যারিস: সময় যত গড়াচ্ছে, ততই ফরাসি ওপেনে (French Open নোভাক জকোভিচের (Novak Djokovic) খেলা নিয়ে সংশয় কমছে। তার কারণ ফরাসি সরকার ভ্যাকসিন নীতি নিয়ে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু করেছে। এমনও শোনা যাচ্ছে, কঠোর মনোভাব অনেকটাই শিথিল হতে পারে। আর তা যদি হয়, তা হলে জোকারের পক্ষেই ভালো হবে। করোনার প্রতিষেধক না নেওয়ার জন্যই অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেলা হয়নি জোকারের। তীব্র বিতর্ক দেখা দিয়েছিল যা নিয়ে। তার পরই চর্চা চলছিল, ফরাসি ওপেনে কি নামতে পারবেন তিনি? ওই সময় সারা ইউরোপ জুড়েই করোনার প্রতিষেধক নিয়ে কঠোর নিয়ম চালু হয়েছিল। জোকারকে ঘিরে তাই আশঙ্কা বেড়েছিল আরও। কিন্তু ওমিক্রন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। তাই বহির্বিশ্বের জন্য ধীরে ধীরে দরজা খুলে দিচ্ছে ফ্রান্স সহ সারা ইউরোপই।
ফরাসি প্রধানমন্ত্রী জিন কাস্টেক্স বৃহস্পতিবার ঘোষণা করে দিয়েছেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আর কাউকে প্রতিষেধকের সপক্ষে তথ্য পেশ করতে হবে না। এর অর্থই হল, করোনার প্রতিষেধক না নেওয়া জোকারের ফরাসি ওপেন খেলতে কোনও সমস্যা হবে না।
কাস্টেক্সের কথায়, ‘আমাদের সমবেত চেষ্টার ফলে পরিস্থিতি আগের থেকে অনেক ভালো হয়েছে। আর সেই কারণেই অবস্থা অনেকটাই শিথিল হতে পারে। ১৪ মার্চ থেকে ভ্যাকসিন পাস বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে।’
করোনার কারণে জকোভিচকে নিয়ে কম নাটক হয়নি। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন না খেলতে পারার পর বাকি টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও সংশয় ছিল। ধীরে ধীরে করোনা আবহ থেকে বেরিয়ে আসছে পৃথিবী। জোকারের কাছেও সহজ হয়ে উঠছে দুনিয়া। কোর্টে তাঁকে আবার স্বমহিমায় দেখা যাবে, এমনই আশা তাঁর ভক্তদের।