হানঝাউ: সোনার লক্ষ্যে নেমেছিলেন। কিন্তু সোনালি মুহূর্ত তৈরি করতে পারলেন না। রুপোতেই সন্তুষ্ট হতে হল মণিপুরের উসু প্লেয়ার রোশিবিনা দেবীকে (Roshibina Devi)। আজ, বৃহস্পতিবার সকাল সকাল ভারতকে এশিয়ান গেমস (Asian Games 2023) থেকে রুপো এনে দিলেন রোশিবিনা দেবী। এ বারের এশিয়াডে উসু (Wushu) থেকে ভারতের এটি প্রথম পদক প্রাপ্তি। এশিয়ান গেমসে যাওয়ার আগে থেকেই উসু প্লেয়াররা আলোচনায়। সীমান্ত জটিলতার কারণে অরুণাচলের তিন অ্যাথলিটকে ভিসা দেয়নি চিন। তাতে যে টিমের মনোবলে ধাক্কা লেগেছিল, তাতে সন্দেহ নেই। কিন্তু হানঝাউ গেমসে নেমে সে সব ভুলে পদকে ফোকাস করেছিলেন অ্যাথলিটরা। তারই ফলস রোশিবিনার রুপো। মণিপুরী অ্যাথলিটের এই পদকের ফলে ভারতের ঝুলিতে ২৩টা মেডেল। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
লক্ষ্মীবারে এশিয়াড থেকে দেশবাসী উসুতে সোনার আশা করেছিল। কিন্তু এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ৬০ কেজি বিভাগে উসুতে সান্দায় গত বারের চ্যাম্পিয়ন চিনের জিয়াওয়ি উ-ই কার্যত দাঁঁড়াতেই দেননি রোশিবিনা দেবীকে। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁদের ফাইনাল বাউট শেষ হয়ে যায়। আক্রমণাত্মক শুরু করেন চিনা উসু প্লেয়ার। চিনের জিয়াওয়ি উ-ই ছিলেন সান্দ্রার ৬০ কেজিতে ফেভারিট। হলও তাই। দুই রাউন্ডের বাউটে জিয়াওয়িই প্রাধান্য রেখেছিলেন। প্রথম রাউন্ডে চিনের প্রতিদ্বন্দ্বী রোশিবিনাকে বিপাকে ফেলে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট তুলে নেন। সেখান থেকে ফিরে আসার চেষ্টা করেন মণিপুরী। জিয়াওয়ির পা চেপেও ধরেছিলেন। কিন্তু ম্যাট থেকে চিনা অ্যাথলিটকে বের করতে পারেননি রোশিবিনা। যে কারণে লড়াইয়ে ফেরা হয়নি। দ্বিতীয় রাউন্ডে অনেক চনমনে দেখাচ্ছিল রোশিবিনাকে। আগের রাউন্ডের ব্যর্থতা ভুলে দ্রুত খেলায় ফিরতে চাইছিলেন। কিন্তু চিনা অ্যাথলিটের একটা কিক থেকে বাঁচাতে পারেননি নিজেকে। বিচারকের সিদ্ধান্তে চিনা অ্যাথলিটই চ্যাম্পিয়ন হন।
সোনা না পেলেও উসুতে যথেষ্ট সফল রোশিবিনা। ২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে মহিলাদের ৬০ কেজি বিভাগে উসুতে সান্দায় ব্রোঞ্জ পেয়েছিলেন রোশিবিনা দেবী। এ বার হানঝাউতে তিনি পদকের রং বদলে ফেললেন। ২০১০ সালের এশিয়ান গেমসে উসুতে ফাইনালে উঠেছিলেন সন্ধ্যারানী দেবী। তার পর কেউ এই বিভাগের ফাইনালে উঠলেন। এটা রোশিবিনার দ্বিতীয় এশিয়ান গেমস পদক। গত বার জাকার্তা এশিয়ান গেমসের সান্দ্রা থেকে ব্রোঞ্জ নিয়ে ফিরেছিলেন। এশিয়ান গেমসের এই সাফল্য অরুণাচলের যে তিন অ্যাথলিট হানঝাউ যেতে পারেননি, তাঁদের উৎসর্গ করেছেন রোশিবিনা।