টোকিও: ২০০৮ সালে বেজিং দেখেছিল এক ছোটখাটো মেয়ের উত্থান। চুলে নানারকম রং করা। আর চোখের পলকে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেন। ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিক তাঁর নাম দিয়েছিল, ‘মেয়ে বোল্ট’। ওই দুটো অলিম্পিকেই (Olympics) ১০০ মিটারে সোনা জিতেছিলেন তিনি। সেই শেলি অ্যান ফ্রেজ়ার প্রাইস (Shelly-Ann Fraser-Pryce) কি এ বারও সোনা জিতবেন? যদি পারেন, তা হলে রেকর্ড করে ফেলবেন। মেয়েদের অ্যাথলেটিক্সে (Athletics) কেউ কখনও তিনটে অলিম্পিকের ১০০ মিটারে সোনা জেতেনি। ইতিহাসে ঢুকে পড়ার জন্য তৈরি শেলি।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ৯টা সোনার মালিক জামাইকান অ্যাথলিট বলছেন, ‘অলিম্পিকে কখনও নামব, আমি ভাবিইনি। এমনকি, পেশাদার স্প্রিন্টার হব, তাও ভাবিনি। বেজিং কিংবা লন্ডনে আমি যা করেছি, সেটা নিয়ে যখন ভাবি, তখন কিন্তু হাতে চিমটি কাটতে ইচ্ছে করে। সত্যিই ঘটেছে তো আমার সঙ্গে? নাকি কোনও স্বপ্ন দেখেছি!’
৩৪ বছর বয়স তাঁর। ট্র্যাকের নিরিখে যা বেশিই। কিন্তু পারফরম্যান্স দেখলে তা মনে হবে না। জুনে ১০.৬৩ সেকেন্ডে দৌড়েছেন ১০০ মিটার। মেয়েদের সর্বকালের সেরা অ্যাথলিট ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ জয়নারকে (১০.৪৯ সেকেন্ড) টপকে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন তিনি। ‘ওই একটা স্বপ্ন বারবার তাড়িয়ে বেড়িয়েছে আমাকে। জুনে হয়তো রেকর্ডটা ভেঙেই দিতাম। সেটা হয়নি। টোকিওতে হতে পারে।’
তবু শুধু ১০০ নয়, এ বার ২০০ মিটারেও সোনা চাইছেন শেলি। যা নিয়ে তিনি বলছেন, ‘অলিম্পিকের মতো বড় আসরে কেউই কখনও আপনাকে হারতে দেখলে বলবে না, ও তো দুটো সোনা জিতেছে এর আগে। সবাই এখানে নিজের সেরাটা দেওয়ার জন্যই নামে।’
“Mommy” is the best title I could have ever earned. pic.twitter.com/VDF7uZ4WGV
— ShellyAnnFraserPryce (@realshellyannfp) June 4, 2021
মা হিসেবে এই প্রথম অলিম্পিকে নামছেন। ২০১৭ সালে ছেলে জ়িওনের জন্ম হয়েছে। এ বার সেই শেলিই নিজের নাম চিরস্মরণীয় করতে নামছেন টোকিওয়।
আরও পড়ুন: Tokyo Olympics 2020: ফিটনেস বিতর্ক থাকলেও টোকিও যাচ্ছেন মুরলী