লড়াই কি সহজ হবে? কখনও হয়! তাঁর থেকে ভালো আর কে জানেন। কিন্তু তিনি ভেবেছিলেন, সহজ করেই লড়বেন। যাতে চাপ না থাকে। যাতে আত্মবিশ্বাস পেয়ে যান। যাতে মোটিভেট করে ফেলতে পারেন। ঠিক সেই পথেই কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে নেমেছিলেন। টোকিও গেমসের সোনার ছেলে সোনার স্বপ্নই উস্কে দিলেন আরও একবার। জ্যাভলিনের যোগ্যতা পর্বেও নীরজ চোপড়া ৮৯.৩৪ মিটার ছুড়লেন। ধারে কাছে কেউ নেই। ৮ অগাস্ট সোনার ইভেন্ট। ফাইনালেও ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যেতে চান নীরজ।
ভারতের আর এক ছেলে কিশোর জেনা ফাইনালেও উঠতে পারেননি। কিন্তু নিজের ইভেন্টে প্রত্যাশা মতোই সোনা ফলানোর একধাপ আগেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন নীরজ। ভারতের সোনার ছেলে ছুড়েছেন ৮৯.৩৪ মিটার। তাঁর কাছে-পিঠে আছেন অ্যান্ডারসন পিটার্স। ৮৮.৬৩ মিটার ছুড়েছেন তিনি। জুলিয়ান ওয়েবের ৮৭.৭৬ মিটার ছুড়েছেন। পাকিস্তানের আর্শাদ নাদিমও ভালো পারফর্ম করেছেন। তিনি প্রথম থ্রোতে ৮৬.৫৯ মিটার ছুড়ে ফাইনালে উঠে পড়েছেন।
নীরজ বলছেন, ‘কোয়ালিফিকেশন রাউন্ড এক রকম। ফাইনাল অন্য রকম খেলা। ইভেন্টে নামার আগেই টার্গেট করেছিলাম, প্রথম থ্রোতে যেন ফাইনালে উঠতে পারি। সেটা হয়েছে। যে কোনও কোয়ালিফিকেশন রাউন্ডে এটাই আমার সেরা থ্রো। কনফিডেন্স বেড়ে যায়, মোটিভেট লাগে। এমন পারফর্ম করলে ফাইনালটাও নিশ্চয়ই ভালো যাবে। সব থ্রো যেন সেরা হয়, এই টার্গেট নিয়েই নামব।’
অলিম্পিক থেকে ভারত এখনও পর্যন্ত তিনটে পদক এনেছে। তিনটেই ব্রোঞ্জ। গতবারের মতো এ বারও সোনা আনার দায়িত্ব পালন করতে হবে নীরজকেই। ১১ প্রতিপক্ষের মধ্যে কে কঠিন? নীরজ বলেছেন, ‘যারা অটোমেটিক কোয়ালিফাই করেছে, তারা সবাই কঠিন লড়াই দেবে। ফাইনালে সর্বস্ব দেব। সন্ধেয় যখন ইভেন্ট, তখন একটু ঠান্ডা হবে। একটাই কথা বলতে পারি, ফাইনালের জন্য আমি তৈরি।’