নয়াদিল্লি: ৩৮ পার করে ৩৯-এ পা দেবেন। কিন্তু স্বপ্নে এখনও ঘাটতি নেই তাঁর। বরং টোকিও অলিম্পিক (Tokyo Olympics) নিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছেন মেরি কম (Mary Kom)। ছ’বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সার টোকিওতেই থামবেন। তাই টোকিওতে শেষ বারের জন্য নিজেকে সাফল্যের মঞ্চে দেখতে চান।
প্রায় কুড়ি বছর রিংয়ে আছেন মেরি। সাফল্যও কম নেই। ২০১২ সালে লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয় তাঁর জীবনটাই পাল্টে দিয়েছিল। মণিপুরী বক্সার বলেছেন, ‘টোকিওতেই আমি শেষ বার অলিম্পিকে নামব। বয়সটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন ৩৮ বছর আমার। ৩৯-এ পা দেব। প্যারিস অলিম্পিক ২০২৪ সালে। তখন আমার বয়স আরও চারটে বছর বেড়ে যাবে। আমার মনে হয় না তখনও আমি রিংয়ের নামার মতো জায়গায় থাকব।’
আরও পড়ুন: দুরন্ত কামব্যাকেও জয় হাতছাড়া মহমেডানের
এমনিতে বক্সারদের অলিম্পিকে নামার বয়সসীমা ৪০। কিন্তু অতিমারীর জন্য টোকিও অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় তা বাড়ানো হয়েছে আরও এক বছর। ২০১২ সালে অলিম্পিকে নামলেও রিওতে নামার সুযোগ পাননি। মেরি বলেছেন, ‘যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছে অলিম্পিক একটা বিরাট মঞ্চ। অলিম্পিকে পদক জেতার স্বপ্ন সবার থাকে। এই চ্যালেঞ্জটা সামনে রেখেই ক্রীড়াবিদরা বাঁচে। নিজের ক্ষেত্রে বলতে পারি, লন্ডন অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ জয় আমার জীবনটাই পাল্টে দিয়েছিল। বক্সিং তো বটেই, আমার ওই সাফল্য মেয়েদের নানা ভাবে প্রেরণাও দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: সৌরভের মোতেরা সফরে সঙ্গী ডাক্তার
মেরি চান, তাঁর পরবর্তী প্রজন্ম যেন তাঁকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়। এগিয়ে আসে বক্সার হওয়ার জন্য। তাঁর কথায়, ‘আমি যা অর্জন করেছি, তার জন্য গর্বিত। যে কারণে চাই আরও মেয়ে এগিয়ে আসুক। রিংয়ে লড়াই করুক, সাফল্য পাক। আমার অন্তত কোনও দিন মনে হয়নি, স্বপ্নের পিছনে ছোটার জন্য দেশ, স্থান, পাত্র কোনও কিছুই বাধা হয়ে উঠতে পারে।’