Mohammad Hussamuddin : কবরস্থানে বক্সিংয়ের হাতেখড়ি ইতিহাস গড়া হুসামুদ্দিনের!

TV9 Bangla Digital | Edited By: তিথিমালা মাজী

May 18, 2023 | 9:35 AM

Indian Boxer : কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে হাঁটুতে চোট পেয়ে সেমিফাইনালে রিংয়ে নামতে পারেননি হুসামুদ্দিন। সেমিফাইনালে ওয়াক ওভার দিতে বাধ্য হন।

Mohammad Hussamuddin : কবরস্থানে বক্সিংয়ের হাতেখড়ি ইতিহাস গড়া হুসামুদ্দিনের!
Image Credit source: Twitter

Follow Us

নয়াদিল্লি : তাসখন্দে আয়োজিত পুরুষদের বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি পদক পেয়েছে ভারত। দীপক কুমার, নিশান্ত দেবের পাশাপাশি পদক পেয়েছেন মহম্মদ হুসামুদ্দিন। তাসখন্দ থেকে ইতিহাস গড়ে ফিরেছেন হুসামুদ্দিনরা। এই প্রথমবার একসঙ্গে বক্সিংয়ের এই মেগা ইভেন্টে তিনটি পদক জয় ভারতের। ৫৭ কেজি বিভাগে ব্রোঞ্জ পান হুসামুদ্দিন। যদিও টুর্নামেন্টে ভাগ্য তাঁর সঙ্গ দেয়নি। কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে হাঁটুতে চোট পেয়ে সেমিফাইনালে রিংয়ে নামতে পারেননি হুসামুদ্দিন। সেমিফাইনালে ওয়াক ওভার দিতে বাধ্য হন। ব্রোঞ্জ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। দিল্লির নিজামাবাদের বক্সার হুসামুদ্দিন এই প্রথম বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ খেললেন। প্রথমবারই পদক জয়। এই সাফল্যের পর ২৯ বছরের হুসামুদ্দিন জানিয়েছেন বক্সিংয়ের কেন্দ্র করে তাঁর বাড়ির পরিবেশের কথা। বাবার হোটেলের কাছেই একটি কবরস্থানে গিয়ে অনুশীলন করতেন হুসা। বিস্তারিত রইল TV9 Bangla Sports-র এই প্রতিবেদনে।

হুসামুদ্দিনের রক্তে বক্সিং। তাঁর বাবা মহম্মদ সামসামুদ্দিন একসময়ের জাতীয় স্তরের বক্সার। পরিবারের চার ছেলেকই বক্সার তৈরি করেছেন তিনি। হুসামুদ্দিনের তিন ভাই মহম্মদ এহতেসামুদ্দিন, মহম্মদ এতেসামুদ্দিন এবং মহম্মদ কায়ামুদ্দিনও বক্সিংয়ে কেরিয়ার গড়ছেন। প্রথম দিকে হুসামুদ্দিন বক্সিংয়ের গ্লাভস তুলে নিতে ভয় পেতেন। তাঁর বাবা সামসামুদ্দিন সেই ভয় দূর করেছিলেন। বক্সিংয়ে বলেছেন, “বাবা একটি খাবারের হোটেল চালাতেন এবং একইসঙ্গে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের ট্রেনিং করাতেন। সেখানে একটা কবরস্থান ছিল। বাবা আমাকে বলেছিলেন, বক্সিং শেখার উত্তম স্থান ওই কবরস্থান। প্রথমদিকে বক্সিং আমার একেবারেই ভালো লাগত না। এসব মারধোর পছন্দ ছিল না। বাবা আমাকে শিখিয়েছে যে এই খেলা মারধোরের থেকে অনেক বেশি টেকনিকের খেলা।”

ছেলেবেলায় জিমন্যাস্টিকসে ঝোঁক ছিল হুসামুদ্দিনের। বর্তমানে বক্সিংয়ে তাঁর যাবতীয় ধ্যান জ্ঞান। হুসামুদ্দিন বলেছেন, “ছেলেবেলায় আমি ভীষণ দুষ্টু ছিলাম। যে কারণে বাবা আমাকে জিমন্যাস্টিকস সেন্টারে ভর্তি করে দেয়। বিশেষ করে আমার ফিটনেসের জন্য। জিমন্যাস্টিকস ভালো লাগতে শুরু করে। বেশ রপ্ত করে উঠেছিলাম। কিন্তু বাবার পরামর্শ মেনে বক্সিংয়ের দিকে মনোনিবেশ করি।”

Next Article