বড় সাধ করে একটা Tata Nexon অর্ডার করেছিলেন বেঙ্গালুরুর এক ব্যক্তি। পরিবর্তে শোরুম থেকে তাঁকে যে গাড়িটি পাঠানো হল, সেটা ত্রুটিপূর্ণ। তা নিয়েই বেজায় বিরক্ত ব্যক্তি ইনস্টাগ্রামে একটি লম্বা পোস্ট করলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, ডিলার প্রি-ডেলিভারি ইনস্পেকশন (PDI) বা কোয়ালিটি কন্ট্রোল (QC) না করেই তাঁর গাড়িটি রেজিস্টার করেছে। তিনি আরও দাবি করেছেন, কোম্পানি বা ডিলার কেউই সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেনি। ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বেঙ্গালুরুর ওই ব্যক্তি তাঁর ‘ত্রুটিপূর্ণ’ গাড়ির একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন।
শরৎ কুমার টি তাঁর ইনস্টা পোস্টে ভিডিয়ো পোস্ট করে লিখছেন, ‘আমার পরিবারের স্বপ্ন মুহূর্তে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়, যখন ইয়েলাহাঙ্কার টাটা মোটরসের কাছ থেকে 18.2 লাখ টাকা দামের Tata Nexon Facelift অটোমেটিক পেট্রল ফিয়ারলেস প্লাস ডেলিভারি নিতে যাই। কারণ, তাঁরা প্রি-ডেলিভারি ইনস্পেকশন না করেই গাড়িটি আমাকে গছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা আমার গাড়িটির কোয়ালিটি কন্ট্রোলও করেনি।’
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, টাটা মোটরস বা ওই ডিলার কেউই তাঁর সমস্যার সমাধান করেনি। শরৎ কুমারের কথায়, “তারা চাইছিল যে, আমরা তাদের গাড়িটি 2 বছরের এক্সটেন্ডেড ওয়ারান্টি দিয়ে মেরামত করার পরেই গ্রহণ করি। টাটা মোটরস বা ওই ডিলারের নিজেদের ভুল মেনে নেওয়ার কোনও সহানুভূতি বা সাহস নেই। তারা কেবলই আমাকে বোঝানোর চেষ্টা করে যাচ্ছিল, গাড়িটি চালিয়ে আমার খুবই ভাল লাগবে। অনুগ্রহ করে সবার কাছে আমার বার্তা শেয়ার করে দিন, PDI বা QC ছাড়া কখনও গাড়ির জন্য আগেভাগে টাকা দিয়ে বসবেন না।”
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে ওই কাস্টমার Tata Nexon গাড়িটির ত্রুটিগুলি তুলে ধরছেন। হেডলাইটে জল, ফ্রন্ট বাম্পারে স্ক্র্যাচ, কোয়ার্টার প্যানেল, টেইলগেট ফ্রেম, খারাপ ওয়েলডিং, দরজার রাবার বিডিংও অনুপযুক্তভাবে লাগানোর মতো ত্রুটিগুলি পরিষ্কার ভাবে গাড়িটি নেওয়ার পরে শোরুমেই বলছেন শরৎ কুমার।
তবে এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসে Tata Motors কর্তৃপক্ষ। সরাসরি Tata Nexon-এর অফিসিয়াল হ্যান্ডেল থেকে কাস্টমারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়। তার উত্তরে কাস্টমার শরৎ লিখেছেন, ‘ওই ডিলারের মালিক পৃথ্বী এবং টাটা কর্ণাটকের জোনাল ম্যানেজার মহম্মদ আহমেদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে আমার আলোচনা চলছে। সমাধান নিয়ে আমি মোটেও খুশি নই। আমরা বরং খুব শীঘ্রই আদালতে দেখা করব।’