কোভিডের একদম শুরুর দিকে যে প্যান্ডেমিক আমাদের সবাইকে অতিমারির ছবি দেখিয়েছিল, সেখানে গেমিং ইন্ডাস্ট্রির ইতিহাসে এই সময়টা অন্যতম পিক এনেছিল। গত এক বছরে, গ্লোবাল ক্লাউড গেমিংয়ের চাহিদা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী চার বছরে (২০২০-২০২৪ পর্যন্ত) ২.৭৫ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২,০৪২ কোটি টাকা) ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। ক্লাউড গেমিং যে অন্য মাত্রায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। এই প্রযুক্তি ইউজারদের একাধিক সুবিধা দিতে সক্ষম। ক্লাউড গেমিংয়ের প্ল্যাটফর্মগুলি খুব দামি গেমিং কনসোল বা বিশাল আয়োজন ছাড়াই গেমারদের কিছু নির্দিষ্ট গেম খেলার প্রভূত সুযোগ করে দেয়।
অধিকন্তু, ক্লাউডের প্রসেসিং পাওয়ারের জন্য ইউজারদের গেম ডাউনলোড করতে হয় না, যার ফলে বড় মিডিয়া ফাইলকে ইনস্টল করা এবং তাকে আপডেট করার যে বিস্তর সময়, তা বেঁচে যায়। যেহেতু গেমগুলি প্রোভাইডারদের সার্ভারেই খেলা হয় তাই গেমাররা ইন্সট্যান্ট যেকোনো গেমে ঢুকতে পারে। ক্লাউড গেমিং প্ল্যাটফর্মে ইউজারদের হঠাৎ করে এতটা বেশি আগ্রহী হয়ে যাওয়া গেমিং ইন্ডাস্ট্রিতে রীতিমত আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
কোভিড পরবর্তী পর্যায়েও যাতে ক্লাউড গেমিংয়ের এই চল বজায় থাকে সেইজন্য কোম্পানিগুলিকে নতুনত্ব আনার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, Kubernetes-এর নেতৃত্বে বেশ কিছু নতুনত্ব এসেছে ক্লাউড গেমিংয়ে। এরা খুব জটিল হাইব্রিড ক্লাউড আর্কিটেকচারকেও নিজেদের সাপোর্ট দিয়েছে। একটি কুবেরনেটস-চালিত গেম ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ডেভেলপারদের ক্লাউডে নতুনত্ব আনতে এবং অটো-স্কেলিং, অটো-রিকভারির মতো গতিশীল কাজ করার সুযোগ করে দেয়। কুবেরনেটস পোর্টেবল এবং খুব তাড়াতাড়ি দলগুলিকে এক ক্লাউড থেকে অন্য ক্লাউডে স্কেল করতে সাহায্য করে, যা ডেভেলপারদের উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।
ক্লাউড প্রযুক্তির ক্ষমতাই ক্লাউড গেমিংয়ের অস্তিত্ব নিশ্চিত করবে। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে ৫জি ক্লাউড গেমিংয়ের ব্যাপ্তিতে আরও সাহায্য করবে। ৫জির স্পিডের জন্য ইউজাররা ক্লাউড গেমিংয়ে AR বা VR-এর মজা নিতে পারবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে ব্যাটেলগ্রাউন্ডস মোবাইল ইন্ডিয়া গেমের নতুন উদ্যোগ