এই বছর ভারতে চালু হওয়ার পর থেকে সনি প্লে ষ্টেশন ৫ আর প্লে ষ্টেশন ৫ ডিজিটাল এডিশনের সরবরাহ কম হচ্ছে। ভারতে গেমিং কনসোলগুলি চালু করার প্রাথমিক বিলম্বও অনেক গেমারদের চোখেই ঠিক ভাল ভাবে হজম হয় নি। যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্ল্যাক ফ্রাইডে এবং সাইবার সোমবার বিক্রির সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ক্রেতাদের নতুন কনসোল কেনার আশা কিছুটা হলেও বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এখন পর্যন্ত রিপোর্ট খুব আশাপ্রদ ছিল না। চিপের ঘাটতি সোনির জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। যা আখেরে সরবরাহকে কমিয়ে চলেছে। স্বল্প সরবরাহ শুধুমাত্র প্লেস্টেশন ৫-এর চাহিদার বৃদ্ধিকে বাড়িয়ে তুলেছে। ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী খুচরা বিক্রেতাদের স্থানীয় আউটলেটগুলিতে যোগান দিতে পারছে না সোনি। খুচরা বিক্রেতারাও তাদের দোকানে আরও লোক আনতে প্লেস্টেশন ৫ বেশি পরিমাণে অর্ডার করছে।
ওয়ালমার্ট, একটি জনপ্রিয় খুচরা বিক্রেতা সংস্থা। পিএস৫-এর চাহিদার পিছনে ওয়ালমার্ট+ তাদের অর্থপ্রদানের মেম্বারশিপ প্রোগ্রামকেও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ওয়ালমার্ট গ্রাহকরা পিএস৫-এর কয়েকটি ইউনিট বুক করতে পারবেন। বেস্ট বাই টোটালটেকও সদস্যদের জন্য অনুরূপ সুবিধা প্রদান করেছে।
ভারতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেলের প্রচন্ড চাহিদা দেখা দিয়েছে। এমনকি কিছু ক্রেতা তাদের কনসোল বুক করার জন্য খুচরা আউটলেটে যাচ্ছেন। যাইহোক, স্টক সীমিত ছিল আর সেই কারণে তা দ্রুত ফুরিয়ে যায়। গেমিং কনসোল এখনও প্রাক-মালিকানাধীন ওয়েবসাইটগুলিতে একটি হিট। কিছু বিক্রেতারা মূল্য দ্বিগুণ করেও বিক্রি করে চলেছে। বেশিরভাগ বিক্রেতা প্ল্যাটফর্মের প্রবিধানগুলিকে বাইপাস করার জন্য এবং স্ক্যালপার হিসাবে লাল-পতাকা এড়াতে, অনেক কম দামের উদ্ধৃতি দিচ্ছেন। যখন প্রশন করা হয় তখন এই বিক্রেতারা অনেক বেশি দাম দাবি করেছিলেন।