Self-Healing Display: বাতাসেই ফোনের স্ক্র্যাচ গায়েব! চর্চায় ‘সেল্ফ-হিলিং’ স্ক্রিনের মোবাইল

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Oct 12, 2023 | 6:04 PM

Self-Healing Display In Phones: 'সেল্ফ-হিলিং' ডিসপ্লে কী? CCS Insight-এর অ্যানালিস্ট এক্সপার্টরা জানাচ্ছেন, একটা স্মার্টফোনে 'সেল্ফ-হিলিং' ডিসপ্লে থাকার অর্থ হল সেই ফোনটিতে ন্যানো কোটিং দেওয়া হয়েছে। এর সাহায্যে কোনও ফোন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ছোট স্ক্র্যাচ থেকে শুরু করে স্ক্র্যাপ পর্যন্ত সারিয়ে তুলবে। হ্যাঁ, মেকানিকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।

Self-Healing Display: বাতাসেই ফোনের স্ক্র্যাচ গায়েব! চর্চায় সেল্ফ-হিলিং স্ক্রিনের মোবাইল
অটোমেটিক্যালি ডিসপ্লের স্ক্র্যাচ সারানোর ভাবনা।

Follow Us

Self-Healing Screen: স্মার্টফোনের প্রযুক্তি যে কতটা উন্নত হতে পারে, সময় আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সময় যতই এগিয়েছে, উন্নত থেকে উন্নততর হয়েছে স্মার্টফোন ও তার প্রযুক্তি। এবার ‘সেল্ফ-হিলিং’ স্ক্রিনের ফোন নিয়ে তীব্র চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই ধরনের ফোন নিয়ে একাধিক কোম্পানি এর মধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছে। টেকনোলজি ফার্ম CCS Insight-এর বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে ‘সেল্ফ-হিলিং’ ডিসপ্লের ফোন বাজারে ছেয়ে যাবে।

‘সেল্ফ-হিলিং’ ডিসপ্লে কী?

অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগবে যে, ‘সেল্ফ-হিলিং’ ডিসপ্লে কী? CCS Insight-এর অ্যানালিস্ট এক্সপার্টরা জানাচ্ছেন, একটা স্মার্টফোনে ‘সেল্ফ-হিলিং’ ডিসপ্লে থাকার অর্থ হল সেই ফোনটিতে ন্যানো কোটিং দেওয়া হয়েছে। এর সাহায্যে কোনও ফোন স্বয়ংক্রিয় ভাবে ছোট স্ক্র্যাচ থেকে শুরু করে স্ক্র্যাপ পর্যন্ত সারিয়ে তুলবে। হ্যাঁ, মেকানিকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না। আপনাআপনিই ছোট স্ক্র্যাচ, স্ক্র্যাপ মুক্ত হবে ফোনটি। বাতাসের সংস্পর্শে এসে ফোনের ন্যানো কোটিং প্রযুক্তি তার ডিসপ্লে মেরামত করবে।

তবে আজ নয়। অনেক বছর ধরেই স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি সেল্ফ রিপেয়ারিং প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে। এই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পথিকৃৎ হিসেবে যদি কোনও সংস্থার নাম আসে, তাহলে সেটি হল LG। সেই 2013 সাল থেকে ব্র্যান্ডটি সেল্ফ-হিলিং স্মার্টফোন টেকনোলজির কথা বলে আসছে। এই ধরনের প্রযুক্তি যে ফোনে থাকে, তার স্ক্রিন লম্বালম্বি ভাবে একটু বাঁকা হয়। ফোনের পিছনে থাকে সেই ‘সেল্ফ হিলিং’ লেয়ার। LG বাজারে এর মধ্যে এরকম একটি ফোনও এনেছিল, যার নাম G Flex। সে সময় এই প্রযুক্তি সম্পর্কে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। ফলে, ফোনটি সে ভাবে জনপ্রিয়তাও পায়নি।

CCS Insight-এর চিফ অ্যানালিস্ট এই প্রযুক্তি সম্পর্কে জানিয়েছেন, সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল মানুষের মধ্যে এই ডিসপ্লে সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা। তিনি আরও যোগ করে বলছেন, “এমন বেশ কিছু প্রযুক্তি আছে, যা নিয়ে মানুষ কাজ করছেন। তা দেখে মনে হচ্ছে, মানুষের ফোন সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধান হবে এতে। ফেটে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাওয়া ফোনের ডিসপ্লে জাদুকরি উপায়ে ঠিক হওয়ার কথা আমরা বলছি না। শুধু ছোটখাটো স্ক্র্যাচগুলি দূর করতে পারবে, তাই আবার কম কী!”

এই মুহূর্তে বিশ্ববাজারে যে দুটি ব্র্যান্ডের মনোপলি চলছে, তাদের একটি হল স্যামসাং এবং অপরটি অ্যাপল। এখনও পর্যন্ত ‘সেল্ফ-হিলিং’ ডিসপ্লে নিয়ে এই দুটি ব্র্যান্ড সে ভাবে উৎসাহ দেখায়নি। এ প্রসঙ্গে জেনে রাখা ভাল যে, 2017 সালে Motorola তাদের ‘শেপ মেমোরি পলিমার’ ব্যবহৃত স্ক্রিনের ফোন নিয়ে হাজির হয়েছিল। এই স্ক্রিনের মধ্যেও ক্র্যাক রিপেয়ার করার ক্ষমতা ছিল। তবে তা কাজ করত একমাত্র তাপপ্রয়োগ করার পরেই।

Next Article