New Image Conversion Tech: বাঙালির যুগান্তকারী আবিষ্কার, এবার ডেপথ এক রেখে 2D ছবিকে 3D-তে কনভার্ট করা যাবে
2D To 3D Image Conversion: যুগান্তকারী আবিষ্কার করলেন সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় নামের এক বাঙালি। এমনই প্রযুক্তি নিয়ে এলেন যার মাধ্যমে ডেপথ এক রেখে যে কোনও ছবিকে টুডি থেকে থ্রিডি-তে কনভার্ট করা যাবে।
স্টিল ছবির জগৎে বড় আবিষ্কার করলেন সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় নামের এক বাঙালি। নতুন ইমেজ কনভার্সন টেকনোলজি (Image Conversion Technology) ডেভেলপ করলেন, যার দ্বারা যে কোনও 2D ছবিকে (Image) স্টিডিওস্কোপিক (Stereoscopic) 3D ছবিতে কনভার্ট করা যাবে। এই উদ্ভাবনের জন্য ভারত সরকারের কাছ থেকে তিনি একটি পেটেন্টও পেয়ে গিয়েছেন। গুগল বলছে, বিভিন্ন ইন্টারনেট পেটেন্ট সার্চ রয়েছে। তবে 2D ছবিকে স্টিডিওস্কোপিক 3D ছবিতে কনভার্সনের এহেন পেটেন্ট ভারতে প্রথম। স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের কাছ থেকে পেটেন্ট পেয়ে উচ্ছ্বসিত সন্দীপ বলছেন, “এই মুহূর্তে উপলব্ধ একাধিক ইমেজ কনভার্সন প্রযুক্তির মধ্যে বিভিন্ন দিক থেকে আমারটি অনন্য। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল, কোনও 2D ছবি আপনি যখন 3D-তে কনভার্ট করছেন, তখন ছবির ডেপথ একই থাকছে। অর্থাৎ কনভার্সন যাই হোক না কেন, ছবির ডেপথের সঙ্গে কোনও ভাবেই আপস করছে না।”
এই সম্পর্কিত প্রচলিত প্রযুক্তিগুলি কোনও 2D ছবি থেকে জ়েড-অ্যাক্সিসে প্রকাশ করার জন্য গণনাকৃত অনুমান তৈরি করে, যখন তাদের স্টিরিওস্কোপিক 3D ছবিতে রূপান্তরিত করা হয়। সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি জে়ড অ্যাক্সিস ডেটা বা ডেপথ অফ ফিল্ড, এক্স এবং ওয়াই অক্ষের ডেটা অনুসারে সবচেয়ে সতর্কতার সঙ্গে, নিখুঁত অনুপাতে প্রকাশ করতে পারে যদি সহগামী ইমেজ থিওরি অনুযায়ী বিজ্ঞতার সঙ্গে ব্যবহার করা যায়। এই নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে একটি একক 2D চিত্র বা অনুক্রমিক 2D চিত্রের একটি সেটকে (যেমন ভিডিয়ো/চলচ্চিত্র) 3D স্টিরিওস্কোপিক চিত্র/ছবিতে রূপান্তরিত করা যায় এবং ফলাফলটি ধারণা দিতে পারে যে, এটি আসলে স্টিরিওস্কোপিক 3D-তে শট করা হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই প্রযুক্তি কোন কোন দিক দিয়ে মানুষের সাহায্য করতে পারে? সন্দীপ চট্টোপাধ্যায় বলছেন, “বিজ্ঞাপন জগৎ থেকে শুরু করে প্রকাশনা, পড়াশোনা, সিনেমা বা ডিজিটাল বিনোদন জগৎ, ইন্টার্যাক্টিভ সফ্টওয়্যার এবং রিসার্চের বিভিন্ন ক্ষেত্রে (আর্ট, মেডিক্যাস, স্পেস, আর্কিওলজি, ফরেন্সিক, টেরেস্ট্রিয়াল ম্যাপিং, ডিফেন্স, মিউজ়িয়াম/ডিজিটাল কিউরেশন ইত্যাদি) সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে চলেছে। যদিও সম্ভাবনার এই তালিকা সম্পূর্ণ নয়। এই প্রযুক্তি খুবই সরল, কম খরচের এবং কম পরিমাণে যান্ত্রিক ইনপুটের কারণে এর সাধ্যের পরিধিকে আরও বিস্তৃত করতে পারে।”
এই প্রযুক্তির ফলাফল দেখা যেতে পারে বা তার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা যেতে পারে আউটপুট মিডিয়াম অফ চয়েসের উপরে ভিত্তি করে। হতে পারে সেই মিডিয়াম ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, ডিজিটাল স্ক্রিন/মনিটর, থ্রিডি স্ক্রিন, হলোগ্রাফিক ইমেজ, লেন্টিকুলার প্রিন্ট ইত্যাদি। অথবা তার থেকেও সাধারণ হতে পারে এই প্রযুক্তির এন্ড রেজ়াল্ট – একটা কাগজেই হয় তো দেখা গেল তার ফল।