মাথার হেলমেট নাকি মানুষের মন পড়তে পারবে! সম্প্রতি শোনা গিয়েছে এমনটাই। আপনার মাথায় কী চলছে, মনে মনে আপনি কী ভাবছেন সবই নাকি বোঝা যাবে এই হেলমেট মাথায় পড়লেই। ব্যবহারকারীর মন বুঝে নেবে এই অত্যাধুনিক হেলমেট। মার্কিন মুলুকে হু হু করে চাহিদা বাড়ছে এই ‘আশ্চর্য হেলমেট’- এর। দাম ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। ক্যালিফোর্নিয়ার একটি স্টার্টআপ কোম্পানি ‘Kernel’ এই হেলমেট নির্মাণ করেছে। আমেরিকা জুড়ে বেশ কিছু গ্রাহককে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ‘মাইন্ড রিডার’ হেলমেট ডেলিভারি দেবে এই সংস্থা।
এই হেলমেটের মধ্যে রয়েছে পাখির বাসার মতো একগুচ্ছ সেনসর। সেই সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স সূক্ষ্ম ডিভাইস, যার সাহায্যে মস্তিষ্কের মধ্যে চলতে থাকা ইলেকট্রিকাল ইমপালস বা ভাবনাচিন্তা পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। শুধু তাই নয়, মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনও ভাবনাচিন্তার গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পর্যবেক্ষণ করা যাবে এইসব সেনসরের সাহায্যে। বাস্তব জীবনে বিশ্বের বিভিন বিষয়ের পরিবর্ত হিসাবে কীভাবে মস্তিষ্ক জবাব দেয়, আর তার ফলে দেহের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সাহায্যে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়— এই জটিল প্রক্রিয়াই বোঝা যাবে হেলমেটের সাহায্যে। এর ওজন কয়েক পাউন্ড।
ক্যালিফোর্নিয়ার যে কোম্পানি এই হেলমেট তৈরি করেছে, তারা জানিয়েছে, বেসিক প্রযুক্তি আমাদের চারপাশেই ছিল। তবে একটা ছোট্ট জায়গার মধ্যে সমস্ত প্রযুক্তির সম্মিলিত প্রকাশ ঘটানো নিঃসন্দেহে সময়সাপেক্ষ এবং খরচসাপেক্ষ। কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ হবে এরকম ডিভাইস তৈরি করতে। পাশাপাশি এই হেলমেট তৈরির ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘ সময় ক্লিনিকাল সেটিংসের মধ্যে থাকার পর্ব রয়েছে। তবে হেলমেট পড়ে হাঁটাচলা করা সম্ভব।
আরও পড়ুন- নতুন জিও ফাইবার পোস্টপেড প্ল্যান আনছে রিলায়েন্স, লাগবে না ইন্সটলেশন চার্জ এবং ডিপোজিট মানি
চিকিৎসাশাস্ত্রের গবেষকরা এই হেলমেট প্রসঙ্গে যথেষ্ট আগ্রহী হয়েছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, মস্তিষ্কের বয়স বৃদ্ধি, মানসিক ব্যাধি বা সমস্যা, স্ট্রোক এবং বিভিন্ন মেন্টাল ডিসঅর্ডার বা মেটাফিজিক্যাল অভিজ্ঞতার পিছনে কী যুক্তি রয়েছে, তা বোঝার চেষ্টা করা যাবে এই হেলমেটের ব্যবহার করলে। Kernel সংস্থার অধিকর্তা কার্যান জনসন জানিয়েছেন, এই হেলমেন্ট তৈরি করতে ৫ বছরের বেশি সময় লেগেছে। তাঁর কথায়, সব দিক থেকে সমাজকে উন্নত করতে চাইলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন স্তরকেও অনলাইনের মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা প্রয়োজন। আর তাই হেলমেট নির্মাণ করা হয়েছে।