প্লেফিট ডায়াল এবং প্লেফিট এক্সএল।
ভারতে লঞ্চ হয়েছে দুটো নতুন স্মার্টওয়াচ প্লেফিট ডায়াল এবং প্লেফিট এক্সএল (Playfit Dial and Playfit XL smartwatches)। নতুন প্লেফিট ডায়াল স্মার্টওয়াচে রয়েছে ব্লুটুথ কলিং সাপোর্ট (Bluetooth-calling support)। এর ফলে ইউজাররা ফোনের সঙ্গে এই স্মার্টওয়াচ (smartwatches) যুক্ত করে তারপর ওই স্মার্টওয়াচের মাধ্যমেই ফোনকল ধরতে পারবেন এবং ফোন কাটতে পারবেন। এক্ষেত্রে ইউজারের ফোন অন্যত্র থাকলেও (ধরে নেওয়া যাক পকেটে) অসুবিধা নেই। স্মার্টওয়াচের সাহায্যেই হবে সব কাজ। প্লেফিট ডায়াল এবং প্লেফিট এক্সএল, এই দুই স্মার্টওয়াচ যথাক্রমে IP67 এবং IP68 রেটিং প্রাপ্ত ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার রেজিসট্যান্ট (dust- and water-resistant) ডিভাইস। অর্থাৎ ধুলো এবং জলে এই স্মার্টওয়াচ নষ্ট হবে না। দুই স্মার্টোয়াচেই রয়েছে একাধিক স্পোর্টস মোড এবং অসংখ্য ওয়াচ ফেসের সুবিধা। এইসব ওয়াচফেস প্লেফিট অ্যাপের মাধ্যমে কাস্টোমাইজ করতে পারবেন। প্লেফিট ডায়াল স্মার্টওয়াচে রয়েছে একটি চৌকো আকৃতির ১.৭৫ ইঞ্চির আইপিএস টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে। অন্যদিকে প্লেফিট এক্সএল স্মার্টওয়াচে রয়েছে একটি ১.৬৯ ইঞ্চির টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে।
ভারতে প্লেফিট ডায়াল এবং প্লেফিট এক্সএল- এই দুই স্মার্টওয়াচের দাম এবং উপলব্ধতা
ভারতে প্লেফিট ডায়াল স্মার্টওয়াচের দাম ৩৯৯৯ টাকা। একটিই রঙে- গোল্ড বা সোনালি রঙে পাওয়া যাবে এই স্মার্টওয়ায়চে। অন্যদিকে প্লেফিট এক্সএল স্মার্টওয়াচের দাম ২৯৯৯ টাকা। এই স্মার্টওয়াচ পাওয়া যাবে স্টিল গ্রে রঙে। প্লেফিট সংস্থার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের পাশাপাশি ই-কমার্স সংস্থা ফ্লিপকার্ট এবং অ্যামাজন, দু’টি সাইট থেকেই কেনা যাবে এই দুই স্মার্টওয়াচ।
প্লেফিট ডায়াল এবং প্লেফিট এক্সএল- এই দুই স্মার্টওয়াচের স্পেসিফিকেশন এবং ফিচার
- প্লেফিট ডায়াল এবং প্লেফিট এক্সএল, দুটো স্মার্টওয়াচেই রয়েছে চৌকো আকৃতির ডায়াল। প্রথম ডিভাইসে ১.৭৫ ইঞ্চির আইপিএস টাচস্ক্রিন ডিসপ্লে এবং দ্বিতীয়টিতে ১.৬৯ ইঞ্চির আইপিএস ডিসপ্লে রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে সিলিকন স্ট্র্যাপ, যা সূর্যের আলোতেও সবদিক থেকে দৃশ্যমানতা (all-angle view) বজায় রাখতে পারে বলে দাবি করেছে সংস্থা।
- এই দুই স্মার্টওয়াচেরই সাইডে নেভিগেশনের জন্য রয়েছে একটি বাটন। এর সাহায্যেই ওয়াচ ফেসও বদল করা সম্ভব। প্লেফিট অ্যাপের মাধ্যমে এই সমস্ত ওয়াচ ফেস কাস্টোমাইজ করা যাবে। এই প্লেফিট অ্যাপ আইওএস এবং অ্যানড্রয়েড, দুই ভার্সানেই কাজ করতে সক্ষম।
- স্মার্টফোনের সঙ্গে এই দুই স্মার্টওয়াচ যুক্ত করলে ফোনের পাশাপাশি মেসেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার নোটিফিকেশনও আসবে এই স্মার্টওয়াচ দু’টিতে। এছাড়াও যে স্মার্টফোন এই স্মার্টওয়াচের সঙ্গে যুক্ত থাকবে সেই ফোনের মিউজিক প্লেব্যাক এবং ক্যামেরা ফাংশন কন্ট্রোল করা যাবে স্মার্টওয়াচের সাহায্যেই।
- প্লেফিট ডায়াল স্মার্টওয়াচে রয়েছে ব্লুটুথ ভি৫ কানেক্টিভিটি এবং এটি একটি IP67 রেটিং প্রাপ্ত ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার রেজিসট্যান্ট ডিভাইস। আর প্লেফিট এক্সএল স্মার্টওয়াচ একটি IP68 রেটিং প্রাপ্ত ডাস্ট অ্যান্ড ওয়াটার রেজিসট্যান্ট ডিভাইস।
- এই দুই স্মার্টওয়াচেই রয়েছে বেশ কিছু হেলথ ট্র্যাকিং ফিচার। এই তালিকায় রয়েছে হার্ট রেট মনিটর এবং স্লিপ ট্র্যাকার। আবার প্লেফিট ডায়ালে রয়েছে ব্লাড অক্সিজেন স্যাচুরেশন (SpO2) মনিটর, তবে প্লেফিট এক্সএল স্মার্টওয়াচে এই ফিচার নেই। তবে দুটো স্মার্টওয়াচেই রয়েছে পেডোমিটার যা সেডেন্টারি রিমাইন্ডার দেয়।
- প্লেফিট এক্সএল স্মার্টওয়াচে রয়েছে বেশ কিছু বেসিক ফিচার যেমন- অ্যালার্ম দেওয়ার সুবিধা বা স্টপওয়াচের সুবিধা। এই দুই স্মার্টওয়াচই স্মার্টফোনের সঙ্গে যুক্ত করা সম্ভব। ফোনে কোনও কল, মেসেজ বা মেল এলে ভাইব্রেশন হবে স্মার্টওয়াচে। এছাড়া অন্যান্য নোটিফিকেশনও আসবে ভাইব্রেশনের মাধ্যমেই।
- প্লেফিট দায়াল স্মার্টওয়াচে রয়েছে ২১০ এমএএইচ ব্যাটারি। একবার চার্জ দিলে ৫ দিন পর্যন্ত রান টাইম এবং ৩০ দিন পর্যন্ত স্ট্যান্ডবাই টাইম পাওয়া যাবে। মাঝামাঝি রেঞ্জে ব্যবহার হলে ১৫ দিন পর্যন্ত ব্যাটারি লাইফ বা চার্জ থাকবে বলে দাবি করেছে প্লেফিট সংস্থা। মাত্র ২ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ চার্জ হয়ে যাবে এই স্মার্টওয়াচের। অন্যদিকে প্লেফিট এক্সএল স্মার্টওয়াচে একবার চার্জ দিলে ব্যাটারি লাইফ বজায় থাকবে ১৫ দিন পর্যন্ত।
আরও পড়ুন- Apple Watch: চিকিৎসা শুরুর কয়েক মাস আগেই থাইরয়েডের উপসর্গ জানান দেবে অ্যাপেল ওয়াচ!