AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

তিন হাজার বছরের পুরনো কঙ্কালে ৮০০ আঘাতের চিহ্ন! কীসের আক্রমণের সন্দেহ করছেন বিজ্ঞানীরা?

গবেষক এবং বিজ্ঞানীদের ধারণা এই কঙ্কাল কোনও তরুণ বা মাঝবয়সী যুবকের। হাঙরের আক্রমণের মুখে পড়েছিলেন তিনি। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এটিই সবচেয়ে পুরনো হাঙর আক্রান্তের কঙ্কাল।

তিন হাজার বছরের পুরনো কঙ্কালে ৮০০ আঘাতের চিহ্ন! কীসের আক্রমণের সন্দেহ করছেন বিজ্ঞানীরা?
এই সেই তিন হাজার বছরের পুরনো কঙ্কাল।
| Edited By: | Updated on: Jun 27, 2021 | 6:18 PM
Share

ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা সবসময়ই বলে থাকেন, মৃতদেহরাও অনেক কথা বলে। আর জীবাশ্ম বা ফসিল কিংবা বহু প্রাচীন কঙ্কাল আবিষ্কার করে, তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবিশ্বাস সব তথ্যের হদিশ দেন বৈজ্ঞানিকরা। এবার তেমনই এক কঙ্কালের হদিশ পাওয়া গিয়েছে জাপানের সেতো ইনল্যান্ড সি সংলগ্ন এলাকায়। প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো এই কঙ্কালে পাওয়া গিয়েছে অন্তত ৮০০টি আঘাতে চিহ্ন। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাঙরের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন এই ব্যক্তি। তাঁদের অনুমান, সম্ভবত সবচেয়ে প্রাচীন হাঙর আক্রান্তর কঙ্কাল এটি।

Journal of Archaeological Science- এ সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক গবেষকদের দল ওই গবেষণা করেছেন। Okayama prefecture এলাকার Tsukumo archaeological সাইট থেকে ওই গবেষকের দল এই কঙ্কালটি খুঁজে পেয়েছিলেন। সমাধিস্থল থেকে খুঁড়ে বের করা হয়েছিল এই কঙ্কাল। প্রায় তিন হাজার বছরের পুরনো কঙ্কালের মধ্যে ৮০০ আঘাতের চিহ্ন দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। কী হয়েছিল আসলে, সেটা ঘটনা পুনর্নিমাণের চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। গবেষকরা জানিয়েছেন, তাঁদের গবেষণার মাধ্যমে বোঝা গিয়েছে যে এই কঙ্কাল সম্ভবত কোনও মাঝবয়সী যুবকের। ১৩৭০ থেকে ১০১০ খ্রীষ্ট পূর্বাব্দে অস্তিত্ব ছিল এই যুবকের।

এই কঙ্কালের মধ্যে যেসমস্ত আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে, তা দেখে গবেষকদের অনুমান এইসবই হাঙরের আক্রমণের চিহ্ন। কারণ অসংখ্য কাটাছেঁড়া এবং ফ্র্যাকচার রয়েছে। অনুমান, এইসব আঘাত কোনও ধারালো ভি আকৃতির ছুঁচলো জিনিসের ফলে হয়েছে। হাঙরের ধারালো দাঁতের ফলে এইসব আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন গবেষকরা। সাধারণ হাঙরের আক্রমণে দেখা যায় তারা শিকারের পা-কেই প্রাথমিক নিশানা বানায়। এই কঙ্কালের ডান পা কিন্তু উধাও ছিল। আর বাঁ পা শরীরের উপরের অংশে অর্থাৎ একেবারেই বিপরীয় অবস্থানে ছিল। এইসব থেকেই গবেষকরা অনুমান করেছেন, এই কাজ সম্ভবত হাঙরের।

গবেষকরা আরও জানিয়েছেন যে, এই আক্রমণ অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ছিল সম্ভবত অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ কিংবা শকের কারণে বেশ তাড়াতাড়িই মৃত্যু হয় ওই তরুণ বা মাঝবয়সী যুবকের। কখন কীভাবে ওই যুবকের উপর আক্রমণ হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে কঙ্কালের মধ্যে সর্বত্র দাঁতের চিহ্ন রয়েছে। এর থেকেই অনুমান করা হচ্ছে, সম্ভবত কোনও রাক্ষুসে পেল্লাই হাঙর আক্রমণ করে সমুদ্রের ভিতর টেনে নিয়ে গিয়েছিল যুবককে।

আরও পড়ুন- নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity-র সঙ্গে ‘ঐতিহাসিক সেলফি’ তুলেছে রোভার পারসিভের‍্যান্স