AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity-র সঙ্গে ‘ঐতিহাসিক সেলফি’ তুলেছে রোভার পারসিভের‍্যান্স

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লাল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছিল রোভার। প্রায় সাতমাস সফর করে মঙ্গলগ্রহে পৌঁছয় এই ছয় চাকার যান। এই রোভারের মধ্যেই ছিল নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity।

নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity-র সঙ্গে 'ঐতিহাসিক সেলফি' তুলেছে রোভার পারসিভের‍্যান্স
মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠোদেশে নাসার রোভার পারসিভের‍্যান্স এবং মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity।
| Edited By: | Updated on: Jun 26, 2021 | 8:45 PM
Share

ঐতিহাসিক সেলফি তুলেছে নাসার মার্স রোভার পারসিভের‍্যান্স। সঙ্গে ছিল নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। গত ৬ এপ্রিল এই সেলফি তোলা হয়েছে। যে ক্যামেরা এই সেলফি তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে, তার নাম WATSON। রোভারের রোবটিক আর্মের একদম শেষ প্রান্তে লাগানো রয়েছে এই ক্যামেরা। মার্কিন স্পেস এজেন্সি শেষ পর্যন্ত যে ছবি প্রকাশ করেছে, সেখানে কিন্তু এই রোবোটিক আর্ম দেখা যায়নি। দর্শকরা হয়রান হয়েছেন এই ভেবে যে তাহলে কীভাবে তোলা হল এই সেলফি?

এই প্রসঙ্গেই বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন নাসা কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, রোভার মোট ৬২টি আলাদা আলাদা ছবি তুলেছে। আর সেই সব ছবিকে একত্রিত করে ফাইনাল ইমেজ বা সিঙ্গল সেলফি প্রকাশ করেছে নাসা। শুনতে যত কঠিন লাগছে, এই ৬২টি আলাদা ছবিকে একসঙ্গে করে একটি ছবি তৈরি করা তার থেকেও অনেক বেশি ঝক্কির। বৈজ্ঞানিকরা যথেষ্ট পরিমাণ ইমেজ ওভারল্যাপিংয়ের মাধ্যমে শেষ পর্যন্ত ফাইনাল ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এই ছবিতে রোভারের রোবোটিক আর্ম, যেখানে ক্যামেরা ফিট করা ছিল, সেটিকে আর রাখেননি বিজ্ঞানীরা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি লাল গ্রহের মাটি ছুঁয়েছিল রোভার। প্রায় সাতমাস সফর করে মঙ্গলগ্রহে পৌঁছয় এই ছয় চাকার যান। এই রোভারের মধ্যেই ছিল নাসার মার্স হেলিকপ্টার Ingenuity। এই হেলিকপ্টার এপ্রিল মাসের প্রথম দিকেই রোভারের মধ্যে থেকে বেরিয়ে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ ছুঁয়েছিল। গত ১১ এপ্রিল প্রথমবার উড়েছিল এই হেলিকপ্টার। পৃথিবীর বাইরে এই প্রথম অন্য কোনও গ্রহে সফল ভাবে উড়েছে হেলিকপ্টার।

৬২টি ছবি নিয়ে তৈরি হয়েছে একটি ‘সিঙ্গল সেলফি’, এই প্রসঙ্গে নাসা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছে, দেখুন…

মঙ্গল গ্রহের অপরিচিত আবহাওয়া এবং অত্যন্ত ফিনফিনে বায়ুমণ্ডলে এই হেলিকপ্টারের ওড়া মোটেই সহজ ছিল না। শুধু তাই নয়, লাল গ্রহের বুকে দিনের বেলায় চরম উষ্ণ এবং রাতের বেলায় তীব্র শীতল আবহাওয়ায় টিকে থাকাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ ছিল Ingenuity- র কাছে। আর শুধু হেলিকপ্টার ঠিক থাকলেই তো হবে না, সঠিক ভাবে তার সমস্ত যন্ত্রাংশও কাজ করতে হবে। কারণ লাল গ্রহের বুক থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পৃথিবীতে ফিরে আসবে এই কপ্টার। সেইসব তথ্য গবেষণা করে তবেই বিজ্ঞানীরা মঙ্গল গ্রহ প্রসঙ্গে বিস্ময়কর কোনও তথ্য জানাতে পারবেন।

মঙ্গল গ্রহের বুকে প্রাণ এবং জলের সন্ধান করছে নাসার এই মার্স হেলিকপ্টার। এর পাশাপাশি সেখানকার ভূ-প্রাকৃতিক গঠন, বায়ুমণ্ডলীয় স্তর এবং অন্যান্য বিষয়ও খতিয়ে দেখছে Ingenuity।

আরও পড়ুন- আমেরিকাকে টক্কর! ২০৩৩-এ মঙ্গলে প্রথম মানুষ পাঠানোর দাবি চিনের