মঙ্গলে প্রাণের খোঁজে বড় ধাক্কা! সত্যিই কী জলের হদিশ মিলবে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Jul 30, 2021 | 12:18 PM

বিজ্ঞানীদের কথায়, গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে আইস ক্যাপের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্লেটাইটাইট নামে একপ্রকার মাটির উজ্জ্বল সংকেত ছাড়া আর কিছু নয়।

মঙ্গলে প্রাণের খোঁজে বড় ধাক্কা! সত্যিই কী জলের হদিশ মিলবে?
লাল গ্রহের বুকে গভীর হ্রদগুলিতে এখনও জলের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে

Follow Us

মঙ্গল থেকে সব জল উবে যায়নি। লাল গ্রহের বুকে গভীর হ্রদগুলিতে এখনও জলের খোঁজ পাওয়া যেতে পারে। নয়া গবেষণায় প্রাণের সন্ধানের রহস্যের কিছুটা উন্মোচন করা গিয়েছে বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। সম্প্রতি মঙ্গল গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে পুরু বরফের নীচে উপসাগরীয় হ্রদের মাটির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, মঙ্গলে প্রাণের সম্ভাব্য প্রমাণের জন্য শীতল ও শুষ্ক এই গ্রহে লিকুইড ওয়াটারের উপস্থিতি সম্পর্কে আরও প্রমাণের জন্য অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারে থাকা একটি রাজার যন্ত্র থেকে সংগৃহিত প্রমাণ অনুযায়ী, ইতালির বিজ্ঞানীদের একটি দল মঙ্গল গ্রহরে দক্ষিণ মেরুতে বরফের নীচে উপসাগরীয় হ্রদের সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছিল। নাসার মতে, রাডারের সংকেতগুলি পরিবর্তনশীল হয়, কারণ সেগুলি বিভিন্ন পদার্থ বা জিনিসের প্রতিবিম্ব ও প্রতিচ্ছবি দেখে সংকেতগুলি পরিবর্তন করতে থাকেন। এক্ষ্ত্রে সাবসার্ফেস ও আয়নোস্ফিয়ারিক সাউন্ডিং বা মার্সিসের (MARSIS) জন্য় মঙ্গলে উন্নত রাডারগুলি আইস ক্যাপের নীচে উজ্জ্বল জিনিসের সংকেত বহন করেছিল। যা দেখে বিজ্ঞানীরা তরল জল হিসেবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

নাসার মতে, ভূগর্ভস্থ হ্রদগুলিকে কেন্দ্র করে প্রচুর আলোচনা করা হয়েথে কারণ সেখানে সমুদ্রের জল হিমাঙ্কে পৌঁছে ঠান্ডা তরল জলে পরিণত হয়ে যেতে পারে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায়নি।

নাসার জেট প্রপালসন ল্যাবরেটরির জেফরি প্লট ও জেপিএলের ইন্টার্ন ছাত্র আদিত্য খুল্লার জানিয়েছেন, ১৫ বছরের মার্সিস ডেটা জুড়ে প্রায় ৪৪ হাজারের বেশি রাডার প্রতিধ্ব্নি বিশ্লেষণ করেছে ২০১৮ সালের এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কয়েক ডজন আরও অনেক উজ্জ্বল প্রতিফলন বিশ্লেষণ করেছে রাডারগুলি। গ্রহের বুকে বিভিন্ন এলাকায় উজ্জ্বল সংকেতগুলি বিশ্লেষণ করে বলা হয়েছে যে সেখানে জল তরল থাকার জন্য কঠিন ঠান্ডা হওয়া দরকার।

আরেকদল বিজ্ঞানীদের কথায়, গ্রহের দক্ষিণ মেরুতে আইস ক্যাপের আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা স্লেটাইটাইট নামে একপ্রকার মাটির উজ্জ্বল সংকেত ছাড়া আর কিছু নয়।

আরও পড়ুন: করোনা আবহে ফের ভাইরাস আতঙ্ক! তিব্বতে হিমবাহের নীচে মিলল ১৫ হাজার বছরের পুরনো ভাইরাস!

Next Article